৩৬ ঘন্টা আটকে নির্যাতন, ভাটারা থানার দুই ওসি-তিন এসআইসহ সোর্সের বিরুদ্ধে মামলা - Porikroma News
Connect with us

অপরাধ

৩৬ ঘন্টা আটকে নির্যাতন, ভাটারা থানার দুই ওসি-তিন এসআইসহ সোর্সের বিরুদ্ধে মামলা

Published

on

ভাটারা থানায় হেফাজতে নির্যাতন মামলা
ছবি : সংগৃহীত

পরিক্রিমা ডেস্ক : ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন ২০১৩ এর অধীনে একটি পিটিশন মামলা (নং-০৬/২০২৫) দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি করেছেন ভুক্তভোগীর বাবা মোঃ মনিরুজ্জামান (৫৬)।অভিযোগে বলা হয়েছে, ভাটারা থানার এসআই কামরুজ্জামান, এসআই নাজমুল আমীনসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য ও তাদের সোর্স যৌথভাবে তার ছেলে মোঃ সৈকত (২৫)-কে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় এবং থানায় এনে ভয়াবহ শারীরিক নির্যাতন চালায়।

অভিযোগের বিবরণ২০২৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১২টার দিকে খিলক্ষেত উত্তরপাড়ার বাসা থেকে সৈকতকে তুলে নেয় অভিযুক্তরা। এসময় বাসায় থাকা তার স্ত্রী নুসরাত জাহান সুজলার সামনেই ঘরে তল্লাশি চালিয়ে ৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা নিয়ে যায় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। পরবর্তীতে ভাটারা থানার কম্পাউন্ডে দীর্ঘ প্রায় ৩৬ ঘণ্টা ধরে তাকে মারধর, রোলার চাপা, হাত-পায়ে পেরেক ঠোকাসহ ভয়াবহ নির্যাতন করা হয়।

অবস্থার অবনতি হলে ৩০ ডিসেম্বর দুপুরে সৈকতকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।এরপর তাকে ভাটারা থানার একটি মামলায় (নং-২৮(১০)২০২৪, ধারা ৪৫৭/৩৮০) আসামি হিসেবে আদালতে পাঠিয়ে পাঁচ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়।আদালতের পর্যবেক্ষণ৩০ ডিসেম্বর আদালতে হাজির করা হলে সৈকত তখনও তীব্র যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিলেন। উপস্থিত আইনজীবীরা নির্যাতনের ছবি আদালতে দাখিল করেন। মহানগর হাকিম মনিরুল ইসলাম ছবিগুলো ফাইলে অন্তর্ভুক্ত করেন।

পরবর্তীতে ৫ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে জামিন মঞ্জুরের আদেশে আদালত হেফাজতে নির্যাতনের বিষয়টি উল্লেখ করেন। আইনি ধারা ও অভিযোগঅভিযুক্ত এসআই কামরুজ্জামান, এসআই নাজমুল আমীন এবং তাদের সোর্স মাহমুদুল হাসান আরিফ ও রেজুয়ান আহমেদের বিরুদ্ধে আইনটির ১৩(১) ধারা অনুযায়ী নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়েছে। তদন্তকারী এসআই আব্দুল বাকী, তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক সুজন হক ও ভাটারা থানার ওসি মাজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে আইনটির ১৩(২) ধারা অনুযায়ী সহযোগিতা, প্ররোচনা ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছে।

বাদী জানান, তার মায়ের অসুস্থতার কারণে চিকিৎসা ও পারিবারিক ব্যস্ততায় মামলা করতে কিছুটা দেরি হয়েছে। তবে তিনি আশা করছেন আদালতের মাধ্যমে তার ছেলে ন্যায়বিচার পাবেন।

বর্তমান অবস্থা

এ বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে এবং মামলাটি বর্তমানে আদালতের বিচারাধীন রয়েছে। মামলাটির তদন্ত ভার দেওয়া হয়েছে সিআইডি কে। মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, এ মামলাটি হেফাজতে নির্যাতন ও জবাবদিহিতা প্রশ্নে একটি গুরুত্বপূর্ণ নজির তৈরি করতে পারে।

Share

পরিক্রিমা ডেস্ক : ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন ২০১৩ এর অধীনে একটি পিটিশন মামলা (নং-০৬/২০২৫) দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি করেছেন ভুক্তভোগীর বাবা মোঃ মনিরুজ্জামান (৫৬)।অভিযোগে বলা হয়েছে, ভাটারা থানার এসআই কামরুজ্জামান, এসআই নাজমুল আমীনসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য ও তাদের সোর্স যৌথভাবে তার ছেলে মোঃ সৈকত (২৫)-কে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় এবং থানায় এনে ভয়াবহ শারীরিক নির্যাতন চালায়।

অভিযোগের বিবরণ২০২৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১২টার দিকে খিলক্ষেত উত্তরপাড়ার বাসা থেকে সৈকতকে তুলে নেয় অভিযুক্তরা। এসময় বাসায় থাকা তার স্ত্রী নুসরাত জাহান সুজলার সামনেই ঘরে তল্লাশি চালিয়ে ৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা নিয়ে যায় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। পরবর্তীতে ভাটারা থানার কম্পাউন্ডে দীর্ঘ প্রায় ৩৬ ঘণ্টা ধরে তাকে মারধর, রোলার চাপা, হাত-পায়ে পেরেক ঠোকাসহ ভয়াবহ নির্যাতন করা হয়।

অবস্থার অবনতি হলে ৩০ ডিসেম্বর দুপুরে সৈকতকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।এরপর তাকে ভাটারা থানার একটি মামলায় (নং-২৮(১০)২০২৪, ধারা ৪৫৭/৩৮০) আসামি হিসেবে আদালতে পাঠিয়ে পাঁচ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়।আদালতের পর্যবেক্ষণ৩০ ডিসেম্বর আদালতে হাজির করা হলে সৈকত তখনও তীব্র যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিলেন। উপস্থিত আইনজীবীরা নির্যাতনের ছবি আদালতে দাখিল করেন। মহানগর হাকিম মনিরুল ইসলাম ছবিগুলো ফাইলে অন্তর্ভুক্ত করেন।

পরবর্তীতে ৫ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে জামিন মঞ্জুরের আদেশে আদালত হেফাজতে নির্যাতনের বিষয়টি উল্লেখ করেন। আইনি ধারা ও অভিযোগঅভিযুক্ত এসআই কামরুজ্জামান, এসআই নাজমুল আমীন এবং তাদের সোর্স মাহমুদুল হাসান আরিফ ও রেজুয়ান আহমেদের বিরুদ্ধে আইনটির ১৩(১) ধারা অনুযায়ী নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়েছে। তদন্তকারী এসআই আব্দুল বাকী, তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক সুজন হক ও ভাটারা থানার ওসি মাজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে আইনটির ১৩(২) ধারা অনুযায়ী সহযোগিতা, প্ররোচনা ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছে।

বাদী জানান, তার মায়ের অসুস্থতার কারণে চিকিৎসা ও পারিবারিক ব্যস্ততায় মামলা করতে কিছুটা দেরি হয়েছে। তবে তিনি আশা করছেন আদালতের মাধ্যমে তার ছেলে ন্যায়বিচার পাবেন।

বর্তমান অবস্থা

এ বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে এবং মামলাটি বর্তমানে আদালতের বিচারাধীন রয়েছে। মামলাটির তদন্ত ভার দেওয়া হয়েছে সিআইডি কে। মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, এ মামলাটি হেফাজতে নির্যাতন ও জবাবদিহিতা প্রশ্নে একটি গুরুত্বপূর্ণ নজির তৈরি করতে পারে।

Share