যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের শুল্ক দ্বিগুণ, লাভবান হতে পারে বাংলাদেশ - Porikroma News
Connect with us

আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের শুল্ক দ্বিগুণ, লাভবান হতে পারে বাংলাদেশ

Published

on

ভারতের ওপর শুল্ক দ্বিগুণ, বিরাট সম্ভাবনা বাংলাদেশের
বাংলাদেশ, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা। ছবি : সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের ওপর আমদানি শুল্ক দ্বিগুণ করে ৫০ শতাংশ নির্ধারণ করায় বাংলাদেশের জন্য বড় রপ্তানি সুযোগ তৈরি হয়েছে।

বুধবার (৬ আগস্ট) রাতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই ঘোষণা দেন। রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল আমদানি অব্যাহত রাখার কারণে ভারতের ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়।

এদিকে, বাংলাদেশসহ প্রায় ৯০টি দেশের জন্য নতুন শুল্ক কাঠামো ঘোষণা করা হলেও বাংলাদেশের শুল্কহার ৩৫ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশে আনা হয়। ফলে বাংলাদেশ এখন যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের তুলনায় ৩০ শতাংশ কম শুল্ক সুবিধা পাচ্ছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, তৈরি পোশাক, চামড়া ও জুতা খাতে ভারতের প্রতিযোগিতা কমে যাওয়ার ফলে বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা মার্কিন বাজারে বেশি সুবিধা পেতে পারেন।

যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের সবচেয়ে বড় পোশাক আমদানিকারক দেশ, যেখানে ভারত ও বাংলাদেশ প্রধান প্রতিযোগী। ভারতের ওপর শুল্ক বাড়লে মার্কিন খুচরা ক্রেতারা কম শুল্কের সুবিধা নিতে বাংলাদেশের পণ্যকে অগ্রাধিকার দিতে পারে।

এশিয়ার অন্য রপ্তানিকারক দেশগুলোর মধ্যে ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া এবং ফিলিপাইনও ভারতের তুলনায় ভালো অবস্থানে রয়েছে। বিশেষ করে ইলেকট্রনিকস ও হালকা শিল্পপণ্যের ক্ষেত্রে ভারতের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি হতে পারে।

তবে এই কৌশলগত সুযোগ কাজে লাগাতে হলে বাংলাদেশকে দ্রুত উৎপাদন দক্ষতা, পণ্যের গুণগত মান এবং সরবরাহ চেইন উন্নত করতে হবে।

ঘোষিত নতুন শুল্কহার আগামী ৭ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে।

Share

যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের ওপর আমদানি শুল্ক দ্বিগুণ করে ৫০ শতাংশ নির্ধারণ করায় বাংলাদেশের জন্য বড় রপ্তানি সুযোগ তৈরি হয়েছে।

বুধবার (৬ আগস্ট) রাতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই ঘোষণা দেন। রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল আমদানি অব্যাহত রাখার কারণে ভারতের ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়।

এদিকে, বাংলাদেশসহ প্রায় ৯০টি দেশের জন্য নতুন শুল্ক কাঠামো ঘোষণা করা হলেও বাংলাদেশের শুল্কহার ৩৫ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশে আনা হয়। ফলে বাংলাদেশ এখন যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের তুলনায় ৩০ শতাংশ কম শুল্ক সুবিধা পাচ্ছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, তৈরি পোশাক, চামড়া ও জুতা খাতে ভারতের প্রতিযোগিতা কমে যাওয়ার ফলে বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা মার্কিন বাজারে বেশি সুবিধা পেতে পারেন।

যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের সবচেয়ে বড় পোশাক আমদানিকারক দেশ, যেখানে ভারত ও বাংলাদেশ প্রধান প্রতিযোগী। ভারতের ওপর শুল্ক বাড়লে মার্কিন খুচরা ক্রেতারা কম শুল্কের সুবিধা নিতে বাংলাদেশের পণ্যকে অগ্রাধিকার দিতে পারে।

এশিয়ার অন্য রপ্তানিকারক দেশগুলোর মধ্যে ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া এবং ফিলিপাইনও ভারতের তুলনায় ভালো অবস্থানে রয়েছে। বিশেষ করে ইলেকট্রনিকস ও হালকা শিল্পপণ্যের ক্ষেত্রে ভারতের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি হতে পারে।

তবে এই কৌশলগত সুযোগ কাজে লাগাতে হলে বাংলাদেশকে দ্রুত উৎপাদন দক্ষতা, পণ্যের গুণগত মান এবং সরবরাহ চেইন উন্নত করতে হবে।

ঘোষিত নতুন শুল্কহার আগামী ৭ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে।

Share