বাংলাদেশ
ট্রাম্পের পাল্টা শুল্কে দর-কষাকষির ব্যর্থতা, শঙ্কায় বাংলাদেশ

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন পাল্টা শুল্ক আরোপ এবং দর-কষাকষিতে বাংলাদেশ কাঙ্ক্ষিত সুবিধা পায়নি। তিন মাসের আলোচনায় মাত্র ২ শতাংশ শুল্ক কমানো সম্ভব হয়েছে, যা বাংলাদেশের প্রত্যাশার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক আলোচনায় বেসরকারি খাতকে উপেক্ষা করা হয়েছে। শুল্ক ছাড়ের বিষয়ে সরকারি প্রতিনিধিদলে বিশেষজ্ঞ বা বেসরকারি খাতের প্রতিনিধির অভাব ছিল। ফলে আলোচনায় বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়েছে বলে মনে করছেন তারা।
বিকেএমইএ’র সাবেক সভাপতি ফজলুল হক বলেন, ‘‘ট্রাম্প ৩৭ শতাংশ থেকে শুল্ক কমিয়ে ৩৫ শতাংশ করেছেন। এটি মোটেও সন্তোষজনক নয়। ভিয়েতনাম ইতিমধ্যে ২০ শতাংশ শুল্ক সুবিধা আদায় করেছে। ফলে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতায় আরও পিছিয়ে পড়েছে।’’
তিনি আরও জানান, সরকারের উচিত ছিল লবিস্ট নিয়োগ ও দক্ষ আলোচক দিয়ে বিষয়টি এগিয়ে নেওয়া। শুল্ক নিয়ে দর-কষাকষিতে দুর্বলতা বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য বড় ধরনের ক্ষতির কারণ হতে পারে।
ফজলুল হক আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘‘যে তিমিরে ছিলাম, সেই তিমিরেই আছি। সামনের তিন সপ্তাহে দর-কষাকষিতে বড় অগ্রগতি না হলে অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।’’
বর্তমানে বড় দুই প্রতিযোগী চীন ও ভিয়েতনাম ইতিমধ্যে বাংলাদেশ থেকে অনেক সুবিধাজনক অবস্থানে চলে গেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, শুল্ক দর-কষাকষির বিষয়গুলো সম্পর্কে তারা সম্পূর্ণ অন্ধকারে। তাই শেষ পর্যন্ত যদি যুক্তরাষ্ট্রের এই শুল্ক অপরিবর্তিত থাকে, তবে তা দেশের জন্য বড় দুঃসংবাদ হবে।