পাকিস্তান সফরে ট্রাম্প, ভারতকে ন্যাটোর হুমকি - Porikroma News
Connect with us

আন্তর্জাতিক

পাকিস্তান সফরে ট্রাম্প, ভারতকে ন্যাটোর হুমকি

Published

on

পাকিস্তান সফরে ট্রাম্প, ভারতকে ন্যাটোর হুমকি
শাহবাজ শরিফ ও ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি : সংগৃহীত

চলতি বছরের মে মাসে ভারতের সঙ্গে সামরিক উত্তেজনার পর আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে পাকিস্তান এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। এই বিরল সুযোগকে কাজে লাগাতে এবার পাকিস্তান সফরে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রায় দুই দশক পর কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইসলামাবাদ সফর করছেন।

রয়টার্স জানিয়েছে, আগামী সেপ্টেম্বর মাসে ট্রাম্প পাকিস্তান সফরে যাবেন। এর আগে তিনি ওয়াশিংটনে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠকের পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র-পাকিস্তান সম্পর্ক দৃশ্যত উষ্ণ হয়ে উঠেছে।

এদিকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে চাপ প্রয়োগে ব্যর্থ হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র এবং ন্যাটো এবার রাশিয়ার মিত্রদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হুমকি দিয়েছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ না হলে রাশিয়ার ওপর ১০০% শুল্ক বসানো হবে। পাশাপাশি রাশিয়ার সঙ্গে ব্যবসা চালিয়ে যাওয়া দেশগুলো—ভারত, চীন ও ব্রাজিল—‘সেকেন্ডারি ট্যারিফে’র মুখোমুখি হবে বলেও জানান ন্যাটোর মহাসচিব মার্ক রুত্তে।

এই প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানের কূটনৈতিক জায়গাটি আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। চীন, তুরস্কের পর যুক্তরাষ্ট্রও এখন ইসলামাবাদের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে আগ্রহী। ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে সংঘাতের পর পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত ও কৌশলগত প্রতিক্রিয়া আন্তর্জাতিক মহলে প্রশংসিত হয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, পাকিস্তান এখন দক্ষিণ এশিয়ার নতুন কৌশলগত শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছে। ভূগর্ভস্থ খনিজ সম্পদের কারণে দেশটির প্রতি আন্তর্জাতিক আগ্রহও বাড়ছে। ফলে পাকিস্তানকে ঘিরে নতুন একটি জিওপলিটিক্যাল কেন্দ্রবিন্দু তৈরি হচ্ছে।

Share

চলতি বছরের মে মাসে ভারতের সঙ্গে সামরিক উত্তেজনার পর আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে পাকিস্তান এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। এই বিরল সুযোগকে কাজে লাগাতে এবার পাকিস্তান সফরে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রায় দুই দশক পর কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইসলামাবাদ সফর করছেন।

রয়টার্স জানিয়েছে, আগামী সেপ্টেম্বর মাসে ট্রাম্প পাকিস্তান সফরে যাবেন। এর আগে তিনি ওয়াশিংটনে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠকের পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র-পাকিস্তান সম্পর্ক দৃশ্যত উষ্ণ হয়ে উঠেছে।

এদিকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে চাপ প্রয়োগে ব্যর্থ হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র এবং ন্যাটো এবার রাশিয়ার মিত্রদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হুমকি দিয়েছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ না হলে রাশিয়ার ওপর ১০০% শুল্ক বসানো হবে। পাশাপাশি রাশিয়ার সঙ্গে ব্যবসা চালিয়ে যাওয়া দেশগুলো—ভারত, চীন ও ব্রাজিল—‘সেকেন্ডারি ট্যারিফে’র মুখোমুখি হবে বলেও জানান ন্যাটোর মহাসচিব মার্ক রুত্তে।

এই প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানের কূটনৈতিক জায়গাটি আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। চীন, তুরস্কের পর যুক্তরাষ্ট্রও এখন ইসলামাবাদের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে আগ্রহী। ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে সংঘাতের পর পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত ও কৌশলগত প্রতিক্রিয়া আন্তর্জাতিক মহলে প্রশংসিত হয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, পাকিস্তান এখন দক্ষিণ এশিয়ার নতুন কৌশলগত শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছে। ভূগর্ভস্থ খনিজ সম্পদের কারণে দেশটির প্রতি আন্তর্জাতিক আগ্রহও বাড়ছে। ফলে পাকিস্তানকে ঘিরে নতুন একটি জিওপলিটিক্যাল কেন্দ্রবিন্দু তৈরি হচ্ছে।

Share