আন্তর্জাতিক
থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সংঘর্ষে উত্তপ্ত সীমান্ত

মুখোমুখি সংঘাতে থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া, সামরিক শক্তি কার কেমন?
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে মুখোমুখি সামরিক সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) ভোরে সীমান্ত এলাকায় দুই দেশের সেনাবাহিনী ভারী অস্ত্র ব্যবহার শুরু করে। এতে ব্যাপক প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে। আতঙ্কে সীমান্ত এলাকা ছাড়ছেন হাজারো বাসিন্দা।
রয়টার্সের বরাতে ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ জানায়, সামরিক শক্তির বিচারে থাইল্যান্ড অনেক এগিয়ে। দেশটির প্রতিরক্ষা বাজেট, সেনাসংখ্যা ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতা কম্বোডিয়ার তুলনায় অনেক বেশি।
থাইল্যান্ডের সামরিক শক্তি:
থাইল্যান্ডের সক্রিয় সেনাসদস্য ৩,৬০,০০০ জনের বেশি। তাদের প্রতিরক্ষা বাজেট ৫.৭ বিলিয়ন ডলার। রয়েছে ৪০০ ট্যাঙ্ক, ১,২০০ সাঁজোয়া যান, ২,৬০০ কামান এবং অত্যাধুনিক বিমান ও হেলিকপ্টার বহর। বিমানবাহিনীতে রয়েছে ২৮টি এফ-১৬ ও ১১টি সুইডিশ গ্রিপেন যুদ্ধবিমান।
কম্বোডিয়ার সামরিক সক্ষমতা:
কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা বাজেট ১.৩ বিলিয়ন ডলার। সেনাসদস্য সংখ্যা প্রায় ১,২৪,৩০০। রয়েছে ২০০ ট্যাঙ্ক, ৪৮০টি কামান এবং সীমিত পরিসরে বিমান ও হেলিকপ্টার। তাদের কাছে কোনো যুদ্ধবিমান নেই।
নৌবাহিনী:
থাই নৌবাহিনীতে রয়েছে ৭০,০০০ সদস্য, একটি বিমানবাহী রণতরী, সাতটি ফ্রিগেট এবং ৬৮টি যুদ্ধজাহাজ। অন্যদিকে কম্বোডিয়ার নৌবাহিনী অনেক ছোট, সদস্য সংখ্যা ২,৮০০ এবং মাত্র ১৩টি টহল জাহাজ।
উভয় পক্ষের শক্তি বিবেচনায় থাইল্যান্ড স্পষ্টতই এগিয়ে। তবে সংঘর্ষের ভয়াবহতা ও মানবিক সংকট নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও।