তেহরানে কুখ্যাত এভিন কারাগারে বিমান হামলা - Porikroma News
Connect with us

আন্তর্জাতিক

তেহরানে কুখ্যাত এভিন কারাগারে বিমান হামলা

Published

on

তেহরানে কুখ্যাত এভিন কারাগারে বিমান হামলা

তেহরানে অবস্থিত কুখ্যাত এভিন কারাগারের মূল ফটকে একটি সন্দেহভাজন বিমান হামলার ঘটনা ঘটেছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের বরাতে জানানো হয়েছে, সোমবার (২৩ জুন) ভোররাতে এ হামলা করা হয়। প্রাথমিকভাবে এটিকে ইসরায়েলি ড্রোন বা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হিসেবে সন্দেহ করা হচ্ছে।

রাষ্ট্রীয় টিভি কর্তৃক প্রকাশিত সিসিটিভি ফুটেজের মতো সাদাকালো এক ভিডিওতে দেখা যায়, একটি শক্তিশালী বিস্ফোরণের পর গেটের কাছাকাছি এলাকা ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। তবে এখনো এই হামলায় হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়নি।

তেহরানের উপকণ্ঠে অবস্থিত এভিন কারাগার ইরানের অন্যতম কুখ্যাত ও কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থাপনা। এখানে সাধারণত বিদেশি নাগরিক, দ্বৈত নাগরিকত্বধারী বন্দি, রাজনৈতিক কর্মী, সাংবাদিক এবং মানবাধিকারকর্মীদের রাখা হয়। পশ্চিমা দেশগুলো বহুবার এ কারাগারে বন্দিদের মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নির্যাতনের অভিযোগ এনেছে।

বিশেষ করে ইরান যখন পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে কূটনৈতিক চাপের মুখে পড়ে, তখন এসব বন্দিকে আলোচনার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে থাকে বলে অভিযোগ রয়েছে।

এই কারাগারের একটি বিশেষ অংশ ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) দ্বারা পরিচালিত। এই এলিট সামরিক বাহিনী সরাসরি ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির অধীনে কাজ করে। কারাগারটি আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞার তালিকাভুক্ত।

এভিন কারাগারে হামলার বিষয়ে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক স্বীকারোক্তি বা প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। গুরুত্বপূর্ণ এই স্থাপনায় হামলার ঘটনায় ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানা গেছে।

Share

তেহরানে অবস্থিত কুখ্যাত এভিন কারাগারের মূল ফটকে একটি সন্দেহভাজন বিমান হামলার ঘটনা ঘটেছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের বরাতে জানানো হয়েছে, সোমবার (২৩ জুন) ভোররাতে এ হামলা করা হয়। প্রাথমিকভাবে এটিকে ইসরায়েলি ড্রোন বা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হিসেবে সন্দেহ করা হচ্ছে।

রাষ্ট্রীয় টিভি কর্তৃক প্রকাশিত সিসিটিভি ফুটেজের মতো সাদাকালো এক ভিডিওতে দেখা যায়, একটি শক্তিশালী বিস্ফোরণের পর গেটের কাছাকাছি এলাকা ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। তবে এখনো এই হামলায় হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়নি।

তেহরানের উপকণ্ঠে অবস্থিত এভিন কারাগার ইরানের অন্যতম কুখ্যাত ও কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থাপনা। এখানে সাধারণত বিদেশি নাগরিক, দ্বৈত নাগরিকত্বধারী বন্দি, রাজনৈতিক কর্মী, সাংবাদিক এবং মানবাধিকারকর্মীদের রাখা হয়। পশ্চিমা দেশগুলো বহুবার এ কারাগারে বন্দিদের মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নির্যাতনের অভিযোগ এনেছে।

বিশেষ করে ইরান যখন পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে কূটনৈতিক চাপের মুখে পড়ে, তখন এসব বন্দিকে আলোচনার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে থাকে বলে অভিযোগ রয়েছে।

এই কারাগারের একটি বিশেষ অংশ ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) দ্বারা পরিচালিত। এই এলিট সামরিক বাহিনী সরাসরি ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির অধীনে কাজ করে। কারাগারটি আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞার তালিকাভুক্ত।

এভিন কারাগারে হামলার বিষয়ে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক স্বীকারোক্তি বা প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। গুরুত্বপূর্ণ এই স্থাপনায় হামলার ঘটনায় ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানা গেছে।

Share