তামাকজনিত কারণে প্রতিদিন ৪৪২ জনের মৃত্যু - Porikroma News
Connect with us

জাতীয়

তামাকজনিত কারণে প্রতিদিন ৪৪২ জনের মৃত্যু

Published

on

তামাকজনিত কারণে প্রতিদিন ৪৪২ জনের মৃত্যু
পুরানা পল্টনে আয়োজিত কর্মশালায় অতিথিরা। ছবি : সংগৃহীত

তামাকজনিত কারণে বাংলাদেশে প্রতিদিন গড়ে ৪৪২ জন মানুষ অকাল মৃত্যুর শিকার হচ্ছেন। বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের নীতি প্রক্রিয়ায় তামাক কোম্পানির মতামত গ্রহণে বিস্ময় ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

বুধবার (১৩ আগস্ট) রাজধানীতে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরাম আয়োজিত ‘জনস্বার্থ বনাম তামাক কোম্পানির প্রভাব’ শীর্ষক কর্মশালায় এ উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। বক্তারা জানান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তামাক নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক চুক্তি (এফসিটিসি) নীতি প্রণয়নে তামাক কোম্পানির সম্পৃক্ততা নিষিদ্ধ করেছে, অথচ সরকারের এ পদক্ষেপ জনস্বার্থবিরোধী।

অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী জানান, প্রতি বছর দেশে ১ লাখ ৬১ হাজারের বেশি মানুষ তামাকজনিত রোগে মারা যান এবং ৪ লাখের বেশি মানুষ পঙ্গুত্ব বরণ করেন। প্রতিদিন প্রায় ৩ কোটি ৮৪ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হচ্ছেন।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রস্তাবিত সংশোধনীতে রয়েছে— শতভাগ পাবলিক প্লেস ও গণপরিবহন ধূমপানমুক্ত করা, তামাক বিক্রয়স্থলে প্রদর্শনী নিষিদ্ধ, তামাক কোম্পানির সিএসআর কার্যক্রম বন্ধ, ই-সিগারেট ও নতুন তামাকজাত পণ্যে প্রবেশাধিকার বন্ধ, স্বাস্থ্য সতর্কবার্তা ৯০ শতাংশে উন্নীত এবং খোলা তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি নিষিদ্ধ।

জনস্বাস্থ্যকর্মীদের মতে, এই সংশোধন দ্রুত কার্যকর না হলে তামাকজনিত মৃত্যু ও রোগের বোঝা আরও বাড়বে, যা জাতীয় অর্থনীতির জন্যও মারাত্মক হুমকি।

Share

তামাকজনিত কারণে বাংলাদেশে প্রতিদিন গড়ে ৪৪২ জন মানুষ অকাল মৃত্যুর শিকার হচ্ছেন। বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের নীতি প্রক্রিয়ায় তামাক কোম্পানির মতামত গ্রহণে বিস্ময় ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

বুধবার (১৩ আগস্ট) রাজধানীতে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরাম আয়োজিত ‘জনস্বার্থ বনাম তামাক কোম্পানির প্রভাব’ শীর্ষক কর্মশালায় এ উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। বক্তারা জানান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তামাক নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক চুক্তি (এফসিটিসি) নীতি প্রণয়নে তামাক কোম্পানির সম্পৃক্ততা নিষিদ্ধ করেছে, অথচ সরকারের এ পদক্ষেপ জনস্বার্থবিরোধী।

অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী জানান, প্রতি বছর দেশে ১ লাখ ৬১ হাজারের বেশি মানুষ তামাকজনিত রোগে মারা যান এবং ৪ লাখের বেশি মানুষ পঙ্গুত্ব বরণ করেন। প্রতিদিন প্রায় ৩ কোটি ৮৪ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হচ্ছেন।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রস্তাবিত সংশোধনীতে রয়েছে— শতভাগ পাবলিক প্লেস ও গণপরিবহন ধূমপানমুক্ত করা, তামাক বিক্রয়স্থলে প্রদর্শনী নিষিদ্ধ, তামাক কোম্পানির সিএসআর কার্যক্রম বন্ধ, ই-সিগারেট ও নতুন তামাকজাত পণ্যে প্রবেশাধিকার বন্ধ, স্বাস্থ্য সতর্কবার্তা ৯০ শতাংশে উন্নীত এবং খোলা তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি নিষিদ্ধ।

জনস্বাস্থ্যকর্মীদের মতে, এই সংশোধন দ্রুত কার্যকর না হলে তামাকজনিত মৃত্যু ও রোগের বোঝা আরও বাড়বে, যা জাতীয় অর্থনীতির জন্যও মারাত্মক হুমকি।

Share