জাতীয়
শিক্ষককে ছুরি মারা ছাত্রী এখন শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে

রাজশাহীতে শিক্ষককে ছুরি মারা সেই ছাত্রীকে যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে (সিডিসি) পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বুধবার (২০ আগস্ট) বিকালে মামলার পর রাতেই রাজশাহীর বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশ তাকে হেফাজতে নেয়। পরে বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) দুপুরে আদালতের নির্দেশে ওই ছাত্রীকে যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়।
বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, বুধবার বিকেলে ভুক্তভোগী শিক্ষক মারুফ কারখী বাদী হয়ে দণ্ডবিধি আইনে ওই ছাত্রীর বিরুদ্ধে বোয়ালিয়া থানায় মামলা করেন। তিনি বলেন, “মেয়েটি প্রথমে হেল্প হেল্প বলে চিৎকার করছিল। আমি ভেবেছিলাম বিপদে পড়েছে। তাই থামতেই হঠাৎ সে দৌড়ে এসে আমাকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। পরে আমি ছুরি ধরে ফেললে স্থানীয়রা তাকে আটক করে।”
জানা গেছে, অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর বয়স প্রায় ১৬ বছর। রাজশাহী ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ‘উচ্ছৃঙ্খল আচরণের কারণে’ ২০২৩ সালে তাকে টিসি দেওয়া হয়। বর্তমানে সে শহীদ কর্নেল কাজী এমদাদুল হক পাবলিক স্কুলে ১০ম শ্রেণিতে পড়ছে। টিসি দেওয়ার কারণে শিক্ষকদের ওপর ক্ষোভ থেকেই এই হামলা চালায় বলে জানিয়েছেন ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুলের ভাইস-প্রিন্সিপাল।
আহত শিক্ষককে রাজশাহীর সিএমএইচ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।