নৌকা না পেয়ে ১০ ঘণ্টায় মৃত্যু, সন্দ্বীপে কিশোরের করুণ পরিণতি - Porikroma News
Connect with us

দুর্ঘটনা

নৌকা না পেয়ে ১০ ঘণ্টায় মৃত্যু, সন্দ্বীপে কিশোরের করুণ পরিণতি

Published

on

নৌকা না পেয়ে ১০ ঘণ্টায় মৃত্যু, সন্দ্বীপে কিশোরের করুণ পরিণতি
আব্দুর রহমানছবি: পরিবারের সৌজন্যে

চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলায় চিকিৎসার জন্য নৌকা না পেয়ে ১০ ঘণ্টা ঘাটে অপেক্ষার পর সাগর পাড়ি দিতে গিয়ে নৌকাতেই মৃত্যু হয়েছে ১২ বছরের এক কিশোরের। জ্বর ও শারীরিক জটিলতায় ভোগা আবদুর রহমানকে (১২) উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক।

কিন্তু বৈরী আবহাওয়ার কারণে দুপুর ১২টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত কোনো নৌকা পাওয়া যায়নি। রাত ১০টায় একটি ছোট নৌকায় করে যাত্রা শুরুর পর মাঝপথে সাগরের উত্তাল ঢেউয়ের মধ্যে কিশোরটির মৃত্যু হয়।

মারা যাওয়া কিশোরের নাম আবদুর রহমান। সে উপজেলার কালাপানিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. মানিকের ছেলে।

ঘটনার বিবরণ:
শুরুতে তাকে সন্দ্বীপের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। সেখানকার চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত চট্টগ্রামে নেওয়ার পরামর্শ দেন।

কিন্তু বৈরী আবহাওয়ার কারণে কোনো নৌযান না পাওয়ায় দীর্ঘ ১০ ঘণ্টা ঘাটে অপেক্ষা করতে হয়। শেষমেশ রাত ১০টায় ঝুঁকি নিয়ে একটি ছোট লাল বোটে সীতাকুণ্ডের উদ্দেশে রওনা হয় পরিবার।

সাগরের উত্তাল ঢেউয়ের মধ্যে নৌকায় আবদুর রহমানের মৃত্যু হয়। পরে সীতাকুণ্ডের একটি হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্বাস্থ্যসেবায় সংকট:
সন্দ্বীপের সরকারি হাসপাতালে জরুরি সার্জারি সুবিধা না থাকায় এমন পরিণতি হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মানস বিশ্বাস জানান, ‘এমন জটিল রোগীর চিকিৎসায় উপজেলা সার্জনের প্রয়োজন। আমাদের এখানে সে ব্যবস্থা নেই।’

স্থানীয়রা দ্রুত দ্বীপের স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নের দাবি জানিয়েছেন।

Share

চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলায় চিকিৎসার জন্য নৌকা না পেয়ে ১০ ঘণ্টা ঘাটে অপেক্ষার পর সাগর পাড়ি দিতে গিয়ে নৌকাতেই মৃত্যু হয়েছে ১২ বছরের এক কিশোরের। জ্বর ও শারীরিক জটিলতায় ভোগা আবদুর রহমানকে (১২) উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক।

কিন্তু বৈরী আবহাওয়ার কারণে দুপুর ১২টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত কোনো নৌকা পাওয়া যায়নি। রাত ১০টায় একটি ছোট নৌকায় করে যাত্রা শুরুর পর মাঝপথে সাগরের উত্তাল ঢেউয়ের মধ্যে কিশোরটির মৃত্যু হয়।

মারা যাওয়া কিশোরের নাম আবদুর রহমান। সে উপজেলার কালাপানিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. মানিকের ছেলে।

ঘটনার বিবরণ:
শুরুতে তাকে সন্দ্বীপের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। সেখানকার চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত চট্টগ্রামে নেওয়ার পরামর্শ দেন।

কিন্তু বৈরী আবহাওয়ার কারণে কোনো নৌযান না পাওয়ায় দীর্ঘ ১০ ঘণ্টা ঘাটে অপেক্ষা করতে হয়। শেষমেশ রাত ১০টায় ঝুঁকি নিয়ে একটি ছোট লাল বোটে সীতাকুণ্ডের উদ্দেশে রওনা হয় পরিবার।

সাগরের উত্তাল ঢেউয়ের মধ্যে নৌকায় আবদুর রহমানের মৃত্যু হয়। পরে সীতাকুণ্ডের একটি হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্বাস্থ্যসেবায় সংকট:
সন্দ্বীপের সরকারি হাসপাতালে জরুরি সার্জারি সুবিধা না থাকায় এমন পরিণতি হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মানস বিশ্বাস জানান, ‘এমন জটিল রোগীর চিকিৎসায় উপজেলা সার্জনের প্রয়োজন। আমাদের এখানে সে ব্যবস্থা নেই।’

স্থানীয়রা দ্রুত দ্বীপের স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নের দাবি জানিয়েছেন।

Share