Connect with us

অপরাধ

জিটিভির বরগুনা প্রতিনিধি সানাউল্লাহ গ্রেফতার

Published

on

বরগুনা প্রতিনিধি সানাউল্লাহ

কারাদণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে ঝালকাঠির কাঠালিয়া থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বরগুনা সদর থানার সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার নাম মোঃ সানাউল্লাহ। তিনি জিটিভির বরগুনা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিতেন। আগামীকাল তাকে কারাগারে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।

স্থানীয়রা জানান, একসময় বরগুনার আদালতের এক আইনজীবীর সহকারী হিসেবে কাজ করতেন সানাউল্লাহ। এরপর নিজেকে পরিচয় দিতে থাকেন সাংবাদিক হিসেবে। সবশেষ তিনি জিটিভির বরগুনা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে নিজের পরিচিত দিতেন। সাংবাদিক পরিচয়ের আড়ালে বরগুনার পাসপোর্ট অফিসের দালাল হিসেবে কাজ করতেন তিনি। কারাদণ্ডের ঘটনা লুকিয়ে সাংবাদিক পরিচয়ে সানাউল্লাহর অবাধ যাতায়াত ছিল ডিসি, এসপি অফিসসহ সকল সরকারী দপ্তরে। সাংবাদিক পরিচয়ে সানাউল্লাহর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ অহরহ। ২০২৪ সালে বরগুনা প্রেসক্লাবে হামলার ঘটনায় সানাউল্লাহ এজাহার ভুক্ত আসামি। এ মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন।

এ মামলার বাদী তানিয়া আক্তার বলেন, সানাউল্লাহ সঙ্গে ২০১৩ সালে তার বিয়ে হয় এরপর ২০১৮ সাল পর্যন্ত তাদের এক ছেলে ও এক জন্মগ্রহণ করেন। মেয়ে জন্মগ্রহণ করার ১৩ দিনের মাথায় সানাউল্লাহ তাকে ডিভোর্স দেন। এরপর আর কোন খোঁজ খবর নেননি। তাদের দাম্পত্য জীবনে কলহর লেগেই থাকতো। সানাউল্লাহ এবং তার মা নিয়মিত তার কাছে যৌতুকের জন্য টাকা দাবি করতেন। টাকা দিতে না পারায় তিনি অমানুষিক শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। পরে ঝালকাঠিতে তিনি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় সানাউল্লাহর কারাদণ্ড হয়েছে।

বরগুনা প্রেসক্লার সভাপতি সোহেল হাফিজ বলেন, “সানাউল্লাহ হঠাৎ করে বরগুনা এসে আইনজীবীর সহকারী হিসেবে কাজ শুরু করেন। এর কয়েকদিনের মধ্যেই তিনি সাংবাদিক বনে যান। সাংবাদিকতার পরিচয় ব্যবহার করে চাঁদাবাজিতে মেতে থাকেন তিনি। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগের অন্ত নেই। চাঁদার টাকা দিতে না পারায় কত নিরীহ মানুষ যে হয়রানির শিকার হয়েছে তা বলে শেষ করা যাবে না। এ কারণে আমাদের লজ্জায় পড়তে হয়। এছাড়াও তিনি বরগুনার পাসপোর্ট অফিসের সর্বজন স্বীকৃত একজন দালাল। বরগুনা প্রেসক্লাবে ২০২৪ সালে হামলার ঘটনা ঘটে। এ হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার এজহার নামীয় আসামি সানাউল্লাহ। সাংবাদিক পরিচয়ে সানাউল্লাহর অন্যায় অপকর্মের কারণে স্থানীয় সাধারণ মানুষসহ সরকারি কর্মকর্তারাও অতিষ্ঠ।”

এ বিষয়ে কাঠালিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হারান চন্দ্র পাল বলেন, মোঃ সানাউল্লাহ আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। তাকে কারাগারে পাঠানো হবে।

Share

কারাদণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে ঝালকাঠির কাঠালিয়া থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বরগুনা সদর থানার সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার নাম মোঃ সানাউল্লাহ। তিনি জিটিভির বরগুনা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিতেন। আগামীকাল তাকে কারাগারে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।

স্থানীয়রা জানান, একসময় বরগুনার আদালতের এক আইনজীবীর সহকারী হিসেবে কাজ করতেন সানাউল্লাহ। এরপর নিজেকে পরিচয় দিতে থাকেন সাংবাদিক হিসেবে। সবশেষ তিনি জিটিভির বরগুনা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে নিজের পরিচিত দিতেন। সাংবাদিক পরিচয়ের আড়ালে বরগুনার পাসপোর্ট অফিসের দালাল হিসেবে কাজ করতেন তিনি। কারাদণ্ডের ঘটনা লুকিয়ে সাংবাদিক পরিচয়ে সানাউল্লাহর অবাধ যাতায়াত ছিল ডিসি, এসপি অফিসসহ সকল সরকারী দপ্তরে। সাংবাদিক পরিচয়ে সানাউল্লাহর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ অহরহ। ২০২৪ সালে বরগুনা প্রেসক্লাবে হামলার ঘটনায় সানাউল্লাহ এজাহার ভুক্ত আসামি। এ মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন।

এ মামলার বাদী তানিয়া আক্তার বলেন, সানাউল্লাহ সঙ্গে ২০১৩ সালে তার বিয়ে হয় এরপর ২০১৮ সাল পর্যন্ত তাদের এক ছেলে ও এক জন্মগ্রহণ করেন। মেয়ে জন্মগ্রহণ করার ১৩ দিনের মাথায় সানাউল্লাহ তাকে ডিভোর্স দেন। এরপর আর কোন খোঁজ খবর নেননি। তাদের দাম্পত্য জীবনে কলহর লেগেই থাকতো। সানাউল্লাহ এবং তার মা নিয়মিত তার কাছে যৌতুকের জন্য টাকা দাবি করতেন। টাকা দিতে না পারায় তিনি অমানুষিক শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। পরে ঝালকাঠিতে তিনি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় সানাউল্লাহর কারাদণ্ড হয়েছে।

বরগুনা প্রেসক্লার সভাপতি সোহেল হাফিজ বলেন, “সানাউল্লাহ হঠাৎ করে বরগুনা এসে আইনজীবীর সহকারী হিসেবে কাজ শুরু করেন। এর কয়েকদিনের মধ্যেই তিনি সাংবাদিক বনে যান। সাংবাদিকতার পরিচয় ব্যবহার করে চাঁদাবাজিতে মেতে থাকেন তিনি। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগের অন্ত নেই। চাঁদার টাকা দিতে না পারায় কত নিরীহ মানুষ যে হয়রানির শিকার হয়েছে তা বলে শেষ করা যাবে না। এ কারণে আমাদের লজ্জায় পড়তে হয়। এছাড়াও তিনি বরগুনার পাসপোর্ট অফিসের সর্বজন স্বীকৃত একজন দালাল। বরগুনা প্রেসক্লাবে ২০২৪ সালে হামলার ঘটনা ঘটে। এ হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার এজহার নামীয় আসামি সানাউল্লাহ। সাংবাদিক পরিচয়ে সানাউল্লাহর অন্যায় অপকর্মের কারণে স্থানীয় সাধারণ মানুষসহ সরকারি কর্মকর্তারাও অতিষ্ঠ।”

এ বিষয়ে কাঠালিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হারান চন্দ্র পাল বলেন, মোঃ সানাউল্লাহ আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। তাকে কারাগারে পাঠানো হবে।

Share