ওয়াশিংটনে রুয়ান্ডা-কঙ্গো শান্তিচুক্তি, ট্রাম্পের খনিজ দাবী - Porikroma News
Connect with us

আন্তর্জাতিক

ওয়াশিংটনে রুয়ান্ডা-কঙ্গো শান্তিচুক্তি, ট্রাম্পের খনিজ দাবী

Published

on

রুয়ান্ডা কঙ্গো শান্তিচুক্তি ২০২৫

রুয়ান্ডা ও কঙ্গো ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক (ডিআরসি) যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে একটি ঐতিহাসিক শান্তিচুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। এতে দুই দেশ হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানির ঘটনায় ইতি টানতে সম্মত হয় এবং বিদ্রোহীদের প্রতি সমর্থন বন্ধের অঙ্গীকার জানায়। চুক্তিটি যুক্তরাষ্ট্র, কাতার এবং আফ্রিকান ইউনিয়নের মধ্যস্থতায় সম্পন্ন হয়।

চুক্তিতে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও উপস্থিত ছিলেন। রুবিও বলেন, ‘এখনও অনেক কাজ বাকি থাকলেও এই চুক্তি মানুষকে একটি ভালো জীবনের স্বপ্ন দেখার সুযোগ করে দিচ্ছে।’

এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই শান্তিচুক্তিকে নিজের বড় অর্জন দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা কঙ্গো থেকে অনেক খনিজ সম্পদের অধিকার পেতে যাচ্ছি।’ উল্লেখ্য, কঙ্গোতে লিথিয়াম, কোবাল্টসহ গুরুত্বপূর্ণ খনিজ মজুদ রয়েছে, যেগুলো বৈদ্যুতিক গাড়ি ও আধুনিক প্রযুক্তিতে অপরিহার্য।

চুক্তি নিয়ে বিতর্কও চলছে। ২০১৮ সালের নোবেলজয়ী কঙ্গোর চিকিৎসক ডেনিস মুখওয়েগে এই চুক্তিকে ‘ন্যায়বিচারহীন এবং লুণ্ঠন বৈধকরণ’ বলে সমালোচনা করেছেন।

চুক্তিতে এম২৩ বিদ্রোহী গোষ্ঠীর দখল করা এলাকার বিষয়টি পরিষ্কার না করা হলেও রুয়ান্ডাকে প্রতিরক্ষামূলক পদক্ষেপ বন্ধের আহ্বান জানানো হয়েছে।

এছাড়া ১৯৯৪ সালের গণহত্যায় জড়িত হুতু জাতিগোষ্ঠীর ‘ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস ফর দ্য লিবারেশন অফ রুয়ান্ডা’ (এফডিএলআর)-এর অবসান ঘটানোর বিষয়েও পদক্ষেপের কথা জানানো হয়েছে।

শান্তি প্রতিষ্ঠার এই উদ্যোগের মধ্যে দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, রুয়ান্ডা ও ডিআরসি নতুন কৌশলগত সম্পর্কের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, যার মধ্যে রয়েছে খনিজ সম্পদের নতুন বাণিজ্য চুক্তি এবং অভিবাসন ইস্যু।

Share

রুয়ান্ডা ও কঙ্গো ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক (ডিআরসি) যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে একটি ঐতিহাসিক শান্তিচুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। এতে দুই দেশ হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানির ঘটনায় ইতি টানতে সম্মত হয় এবং বিদ্রোহীদের প্রতি সমর্থন বন্ধের অঙ্গীকার জানায়। চুক্তিটি যুক্তরাষ্ট্র, কাতার এবং আফ্রিকান ইউনিয়নের মধ্যস্থতায় সম্পন্ন হয়।

চুক্তিতে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও উপস্থিত ছিলেন। রুবিও বলেন, ‘এখনও অনেক কাজ বাকি থাকলেও এই চুক্তি মানুষকে একটি ভালো জীবনের স্বপ্ন দেখার সুযোগ করে দিচ্ছে।’

এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই শান্তিচুক্তিকে নিজের বড় অর্জন দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা কঙ্গো থেকে অনেক খনিজ সম্পদের অধিকার পেতে যাচ্ছি।’ উল্লেখ্য, কঙ্গোতে লিথিয়াম, কোবাল্টসহ গুরুত্বপূর্ণ খনিজ মজুদ রয়েছে, যেগুলো বৈদ্যুতিক গাড়ি ও আধুনিক প্রযুক্তিতে অপরিহার্য।

চুক্তি নিয়ে বিতর্কও চলছে। ২০১৮ সালের নোবেলজয়ী কঙ্গোর চিকিৎসক ডেনিস মুখওয়েগে এই চুক্তিকে ‘ন্যায়বিচারহীন এবং লুণ্ঠন বৈধকরণ’ বলে সমালোচনা করেছেন।

চুক্তিতে এম২৩ বিদ্রোহী গোষ্ঠীর দখল করা এলাকার বিষয়টি পরিষ্কার না করা হলেও রুয়ান্ডাকে প্রতিরক্ষামূলক পদক্ষেপ বন্ধের আহ্বান জানানো হয়েছে।

এছাড়া ১৯৯৪ সালের গণহত্যায় জড়িত হুতু জাতিগোষ্ঠীর ‘ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস ফর দ্য লিবারেশন অফ রুয়ান্ডা’ (এফডিএলআর)-এর অবসান ঘটানোর বিষয়েও পদক্ষেপের কথা জানানো হয়েছে।

শান্তি প্রতিষ্ঠার এই উদ্যোগের মধ্যে দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, রুয়ান্ডা ও ডিআরসি নতুন কৌশলগত সম্পর্কের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, যার মধ্যে রয়েছে খনিজ সম্পদের নতুন বাণিজ্য চুক্তি এবং অভিবাসন ইস্যু।

Share