পুরান ঢাকায় যুবদলের নৃশংসতা ব্যবসায়ীর শরীর থেঁতলে মৃত্যু নিশ্চিত - Porikroma News
Connect with us

বাংলাদেশ

পুরান ঢাকায় যুবদলের নৃশংসতা ব্যবসায়ীর শরীর থেঁতলে মৃত্যু নিশ্চিত

Published

on

পুরান ঢাকায় যুবদলের নৃশংসতা ব্যবসায়ীর শরীর থেঁতলে মৃত্যু নিশ্চিত
প্রকাশ্য দিবালোকে হত্যার পর এভাবে খোলা রাস্তায় ফেলে রাখা হয় ব্যবসায়ীর লাশ।

পুরান ঢাকার মিটফোর্ড এলাকায় ভাঙারি ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিরোধের জেরে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে ব্যবসায়ী মো. সোহাগ ওরফে লাল চাঁদ (৩৫)। বুধবার সন্ধ্যায় রজনী বোস লেনে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, বিএনপির সহযোগী সংগঠন যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা এ হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নেয়। তিনতলার ছাদ থেকে লোহার রড দিয়ে আঘাত, টেনে রাস্তায় ফেলে বড় পাথর দিয়ে মাথা থেতলে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয় সোহাগের।

নিহত সোহাগ কেরানীগঞ্জের বাসিন্দা হলেও গত ১৫ বছর ধরে পুরান ঢাকায় ভাঙারি ও তারের ব্যবসা করতেন। তিনি দক্ষিণ যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনায় ছিলেন চকবাজার থানা বিএনপির সাবেক নেতা আনোয়ারুল হক রনি, রজ্জব আলী পিন্টু ও চঞ্চল হোসেন। সরাসরি হামলায় অংশ নেয় মঈন, টিটু ও অপু দাস।

মঈন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি এবং যুবদলের সক্রিয় সদস্য। সোহাগের মাথায় প্রথম রড দিয়ে আঘাত করে সে। এরপর পাথর দিয়ে থেঁতলে দেয়। অপু দাস সোহাগের নিথর দেহের ওপর লাফিয়ে আনন্দ প্রকাশ করে।

পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার একদিন আগে যুবদলের নেতাকর্মীরা সোহাগের ব্যবসা দখলের চেষ্টা করে। সেদিন টিটু চার-পাঁচ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে।

এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানা পুলিশ মঈনকে গ্রেপ্তার করেছে। তার কাছ থেকে একটি পিস্তল ও ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

পুরান ঢাকার ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ এই হত্যাকাণ্ডে পুরো এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।


Share

পুরান ঢাকার মিটফোর্ড এলাকায় ভাঙারি ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিরোধের জেরে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে ব্যবসায়ী মো. সোহাগ ওরফে লাল চাঁদ (৩৫)। বুধবার সন্ধ্যায় রজনী বোস লেনে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, বিএনপির সহযোগী সংগঠন যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা এ হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নেয়। তিনতলার ছাদ থেকে লোহার রড দিয়ে আঘাত, টেনে রাস্তায় ফেলে বড় পাথর দিয়ে মাথা থেতলে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয় সোহাগের।

নিহত সোহাগ কেরানীগঞ্জের বাসিন্দা হলেও গত ১৫ বছর ধরে পুরান ঢাকায় ভাঙারি ও তারের ব্যবসা করতেন। তিনি দক্ষিণ যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনায় ছিলেন চকবাজার থানা বিএনপির সাবেক নেতা আনোয়ারুল হক রনি, রজ্জব আলী পিন্টু ও চঞ্চল হোসেন। সরাসরি হামলায় অংশ নেয় মঈন, টিটু ও অপু দাস।

মঈন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি এবং যুবদলের সক্রিয় সদস্য। সোহাগের মাথায় প্রথম রড দিয়ে আঘাত করে সে। এরপর পাথর দিয়ে থেঁতলে দেয়। অপু দাস সোহাগের নিথর দেহের ওপর লাফিয়ে আনন্দ প্রকাশ করে।

পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার একদিন আগে যুবদলের নেতাকর্মীরা সোহাগের ব্যবসা দখলের চেষ্টা করে। সেদিন টিটু চার-পাঁচ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে।

এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানা পুলিশ মঈনকে গ্রেপ্তার করেছে। তার কাছ থেকে একটি পিস্তল ও ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

পুরান ঢাকার ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ এই হত্যাকাণ্ডে পুরো এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।


Share