পাকিস্তানে ত্রাণবাহী হেলিকপ্টার বিধ্বস্তে নিহত ৭ - Porikroma News
Connect with us

আন্তর্জাতিক

পাকিস্তানে ত্রাণবাহী হেলিকপ্টার বিধ্বস্তে নিহত ৭

Published

on

পাকিস্তানে ত্রাণবাহী হেলিকপ্টার বিধ্বস্তে নিহত ৭
পাকিস্তানের এমআই-১৭ সিরিজের হেলিকপ্টার। ছবি : সংগৃহীত

পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ খাইবার পাখতুনখাওয়ায় ত্রাণবাহী একটি এমআই-১৭ হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে পাইলটসহ সাতজন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (১৫ আগস্ট) আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রাদেশিক মুখ্যমন্ত্রী আলি আমিন গান্ডাপুর জানান, প্রাদেশিক সরকার পরিচালিত হেলিকপ্টারটি বন্যা দুর্গত এলাকায় ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দিতে গিয়ে খারাপ আবহাওয়ার কারণে বিধ্বস্ত হয়। নিহতদের মধ্যে দুইজন পাইলট ও পাঁচজন ক্রু সদস্য ছিলেন।

জিও নিউজের খবরে বলা হয়েছে, দেশজুড়ে টানা বর্ষণ ও আকস্মিক বন্যায় এখন পর্যন্ত ২২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে খাইবার পাখতুনখাওয়াতেই প্রাণহানি ঘটেছে ২০৬ জনের। মৃতদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য। এছাড়া গিলগিট-বালতিস্তান এবং পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরেও হতাহতের খবর পাওয়া গেছে।

রেসকিউ ১১২২-এর মুখপাত্র বিলাল আহমেদ ফয়েজি জানান, বাজাউর জেলার সালারজাই এলাকায় ভোরে মুষলধারে বৃষ্টি ও ক্লাউডবার্স্টে ভয়াবহ বন্যা সৃষ্টি হয়, যাতে বহু ঘরবাড়ি ভেসে যায়। এখনও বহু মানুষ নিখোঁজ রয়েছে এবং মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগামী শুক্রবার থেকে ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আরেক দফা মৌসুমি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া উচ্চভূমির বরফ ও হিমবাহ দ্রুত গলতে থাকায় নদীগুলোর পানির স্তর বেড়ে গিয়ে নতুন বন্যা দেখা দিতে পারে।

উল্লেখ্য, দক্ষিণ এশিয়ায় জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মৌসুমি বৃষ্টিপাত চলে, তবে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এ বৃষ্টি এখন আরও অনিয়মিত ও বিধ্বংসী হয়ে উঠেছে, যা পাকিস্তানে প্রতিবছর প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

Share

পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ খাইবার পাখতুনখাওয়ায় ত্রাণবাহী একটি এমআই-১৭ হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে পাইলটসহ সাতজন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (১৫ আগস্ট) আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রাদেশিক মুখ্যমন্ত্রী আলি আমিন গান্ডাপুর জানান, প্রাদেশিক সরকার পরিচালিত হেলিকপ্টারটি বন্যা দুর্গত এলাকায় ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দিতে গিয়ে খারাপ আবহাওয়ার কারণে বিধ্বস্ত হয়। নিহতদের মধ্যে দুইজন পাইলট ও পাঁচজন ক্রু সদস্য ছিলেন।

জিও নিউজের খবরে বলা হয়েছে, দেশজুড়ে টানা বর্ষণ ও আকস্মিক বন্যায় এখন পর্যন্ত ২২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে খাইবার পাখতুনখাওয়াতেই প্রাণহানি ঘটেছে ২০৬ জনের। মৃতদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য। এছাড়া গিলগিট-বালতিস্তান এবং পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরেও হতাহতের খবর পাওয়া গেছে।

রেসকিউ ১১২২-এর মুখপাত্র বিলাল আহমেদ ফয়েজি জানান, বাজাউর জেলার সালারজাই এলাকায় ভোরে মুষলধারে বৃষ্টি ও ক্লাউডবার্স্টে ভয়াবহ বন্যা সৃষ্টি হয়, যাতে বহু ঘরবাড়ি ভেসে যায়। এখনও বহু মানুষ নিখোঁজ রয়েছে এবং মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগামী শুক্রবার থেকে ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আরেক দফা মৌসুমি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া উচ্চভূমির বরফ ও হিমবাহ দ্রুত গলতে থাকায় নদীগুলোর পানির স্তর বেড়ে গিয়ে নতুন বন্যা দেখা দিতে পারে।

উল্লেখ্য, দক্ষিণ এশিয়ায় জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মৌসুমি বৃষ্টিপাত চলে, তবে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এ বৃষ্টি এখন আরও অনিয়মিত ও বিধ্বংসী হয়ে উঠেছে, যা পাকিস্তানে প্রতিবছর প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

Share