Connect with us

বাংলাদেশ

বঙ্গোপসাগর ঘিরে অর্থনৈতিক জোন গড়ার ভিশন এনসিপির

Published

on

নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত এবং অর্থনৈতিক অগ্রগতি নিয়ে এনসিপির লক্ষ্য নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন নাহিদ ইসলাম। ফাইল ছবি

ঢাকা, ১৯ মে ২০২৫:
বাংলাদেশের রাজনৈতিক কাঠামোতে নতুন বন্দোবস্ত এবং বঙ্গোপসাগর ঘিরে একটি অর্থনৈতিক জোন তৈরির ভিশন ঘোষণা করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। সোমবার (১৯ মে) দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ ভিশনের বিস্তারিত তুলে ধরেন।

নাহিদ ইসলাম জানান, এনসিপি মুক্তিযুদ্ধের সাম্য, ইনসাফ ও মানবিক মর্যাদার আদর্শ এবং চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের বৈষম্যহীন রাষ্ট্রব্যবস্থার আকাঙ্ক্ষা ধারণ করে পথ চলেছে। দলে ধর্মনিরপেক্ষতা ও ধর্মীয় চরমপন্থার বাইরে থেকে সহাবস্থানের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।

ফেসবুক পোস্টে তিনি আরও বলেন, এনসিপি নারীর মর্যাদা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান ও সম্পত্তিতে ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতীয় আধিপত্যবাদ ও হিন্দুত্ববাদের বিষয়ে এনসিপির অবস্থান স্পষ্ট করে তিনি বলেন, “বাংলাদেশের উচিত ন্যায্যতা, মর্যাদা ও জাতীয় স্বার্থের ভিত্তিতে কৌশলগত সম্পর্ক গড়ে তোলা।”

এছাড়াও বঙ্গোপসাগরকে কেন্দ্র করে একটি নতুন অর্থনৈতিক জোন গঠনের পরিকল্পনার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, জলবায়ু, নগর ব্যবস্থাপনা ও কর্মসংস্থান হবে এনসিপির মূল নীতিগত ক্ষেত্র।

নাহিদ ইসলাম বলেন, “ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ঘটিয়ে নতুন সংবিধান প্রণয়ন এবং রাষ্ট্রীয় কাঠামোর সংস্কার এনসিপির রাজনৈতিক কর্তব্য।”

তিনি উল্লেখ করেন, এনসিপি সভ্যতাগত জাতীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়তে চায়।

Share

ঢাকা, ১৯ মে ২০২৫:
বাংলাদেশের রাজনৈতিক কাঠামোতে নতুন বন্দোবস্ত এবং বঙ্গোপসাগর ঘিরে একটি অর্থনৈতিক জোন তৈরির ভিশন ঘোষণা করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। সোমবার (১৯ মে) দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ ভিশনের বিস্তারিত তুলে ধরেন।

নাহিদ ইসলাম জানান, এনসিপি মুক্তিযুদ্ধের সাম্য, ইনসাফ ও মানবিক মর্যাদার আদর্শ এবং চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের বৈষম্যহীন রাষ্ট্রব্যবস্থার আকাঙ্ক্ষা ধারণ করে পথ চলেছে। দলে ধর্মনিরপেক্ষতা ও ধর্মীয় চরমপন্থার বাইরে থেকে সহাবস্থানের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।

ফেসবুক পোস্টে তিনি আরও বলেন, এনসিপি নারীর মর্যাদা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান ও সম্পত্তিতে ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতীয় আধিপত্যবাদ ও হিন্দুত্ববাদের বিষয়ে এনসিপির অবস্থান স্পষ্ট করে তিনি বলেন, “বাংলাদেশের উচিত ন্যায্যতা, মর্যাদা ও জাতীয় স্বার্থের ভিত্তিতে কৌশলগত সম্পর্ক গড়ে তোলা।”

এছাড়াও বঙ্গোপসাগরকে কেন্দ্র করে একটি নতুন অর্থনৈতিক জোন গঠনের পরিকল্পনার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, জলবায়ু, নগর ব্যবস্থাপনা ও কর্মসংস্থান হবে এনসিপির মূল নীতিগত ক্ষেত্র।

নাহিদ ইসলাম বলেন, “ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ঘটিয়ে নতুন সংবিধান প্রণয়ন এবং রাষ্ট্রীয় কাঠামোর সংস্কার এনসিপির রাজনৈতিক কর্তব্য।”

তিনি উল্লেখ করেন, এনসিপি সভ্যতাগত জাতীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়তে চায়।

Share