সেনাবাহিনীর ট্যাংকে গোপালগঞ্জ ছাড়লেন এনসিপি নেতারা - Porikroma News
Connect with us

বাংলাদেশ

সেনাবাহিনীর ট্যাংকে গোপালগঞ্জ ছাড়লেন এনসিপি নেতারা

Published

on

সেনাবাহিনীর ট্যাংকে গোপালগঞ্জ ছাড়লেন এনসিপি নেতারা
সেনাবাহিনীর এপিসিতে তারা গোপালগঞ্জ ত্যাগ করেন | ছবি: সংগৃহীত

সেনাবাহিনী ও পুলিশের কঠোর পাহারায় গোপালগঞ্জ ছেড়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শীর্ষ নেতারা। বুধবার (১৬ জুলাই) বিকালে এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব মুশফিক উস সালেহিন জানান, বিকেল ৫টার পর সেনাবাহিনীর ট্যাংক ও সশস্ত্র প্রহরায় ১৫-১৬টি গাড়ির বিশাল বহরে নেতারা গোপালগঞ্জ ত্যাগ করেন।

গাড়িবহরে ছিলেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, আখতার হোসেন, হাসনাত আবদুল্লাহ, সারজিস আলমসহ কেন্দ্রীয় নেতারা। এর আগে মাদারীপুরে রওনা দেওয়ার সময় গোপালগঞ্জ সরকারি কলেজ সংলগ্ন লঞ্চঘাট এলাকায় তাদের গাড়িবহরে হামলা চালায় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

দুপুর পৌনে ৩টার দিকে হামলার শুরু হয়। ইট-পাটকেল নিক্ষেপ, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ারগ্যাস, রাবার বুলেট ও ফাঁকা গুলি ছোড়ে। ভাঙচুর করা হয় একাধিক গাড়ি, মঞ্চে আগুন দেওয়া হয়, রাস্তায় আনা চেয়ার ছুঁড়ে ফেলা হয়।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করে এবং অতিরিক্ত চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করে। এনসিপি নেতারা কিছু সময়ের জন্য জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অবস্থান নেন।

এর আগে দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে পৌরপার্কে এনসিপির সমাবেশ চলাকালে প্রথম দফা হামলা হয়। শহরের একাধিক এলাকায় গাছ ফেলে রাস্তা অবরোধ, দোকানপাট বন্ধ এবং যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

গোটা দিনের সহিংসতায় গোপালগঞ্জ শহর কার্যত অচল হয়ে পড়ে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।

Share

সেনাবাহিনী ও পুলিশের কঠোর পাহারায় গোপালগঞ্জ ছেড়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শীর্ষ নেতারা। বুধবার (১৬ জুলাই) বিকালে এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব মুশফিক উস সালেহিন জানান, বিকেল ৫টার পর সেনাবাহিনীর ট্যাংক ও সশস্ত্র প্রহরায় ১৫-১৬টি গাড়ির বিশাল বহরে নেতারা গোপালগঞ্জ ত্যাগ করেন।

গাড়িবহরে ছিলেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, আখতার হোসেন, হাসনাত আবদুল্লাহ, সারজিস আলমসহ কেন্দ্রীয় নেতারা। এর আগে মাদারীপুরে রওনা দেওয়ার সময় গোপালগঞ্জ সরকারি কলেজ সংলগ্ন লঞ্চঘাট এলাকায় তাদের গাড়িবহরে হামলা চালায় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

দুপুর পৌনে ৩টার দিকে হামলার শুরু হয়। ইট-পাটকেল নিক্ষেপ, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ারগ্যাস, রাবার বুলেট ও ফাঁকা গুলি ছোড়ে। ভাঙচুর করা হয় একাধিক গাড়ি, মঞ্চে আগুন দেওয়া হয়, রাস্তায় আনা চেয়ার ছুঁড়ে ফেলা হয়।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করে এবং অতিরিক্ত চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করে। এনসিপি নেতারা কিছু সময়ের জন্য জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অবস্থান নেন।

এর আগে দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে পৌরপার্কে এনসিপির সমাবেশ চলাকালে প্রথম দফা হামলা হয়। শহরের একাধিক এলাকায় গাছ ফেলে রাস্তা অবরোধ, দোকানপাট বন্ধ এবং যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

গোটা দিনের সহিংসতায় গোপালগঞ্জ শহর কার্যত অচল হয়ে পড়ে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।

Share