অপরাধ
মুরাদনগরে ধর্ষণ ও ভিডিও কেলেঙ্কারি: ভুক্তভোগীর আকুতি

কুমিল্লার মুরাদনগরে ভয়াবহ নিপীড়নের শিকার এক নারী সাংবাদিকদের কাছে আকুতি জানিয়ে বলেন, ‘আমি দুটি শিশুসন্তান নিয়ে বাঁচতে চাই। আমার যা হওয়ার তো হয়ে গেছে, আমি দশজনের শান্তি চাই।’
গত শুক্রবার রাতে ফজর আলী নামে এক ব্যক্তি ওই নারীকে ধর্ষণ করেন। এ সময় ঘরে থাকা তাঁর দুই শিশু সন্তান গভীর ঘুমে ছিল। পরে আরও কয়েকজন ঘরে ঢুকে তাঁর বিবস্ত্র অবস্থার ভিডিও ধারণ করে। শনিবার সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তীব্র প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।
ঘটনায় ধর্ষক ফজর আলীসহ ভিডিও ছড়ানোর দায়ে আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ভুক্তভোগী নারী ধর্ষণ মামলা ছাড়াও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে আরেকটি মামলা করেছেন।
এ ঘটনার পর হাইকোর্ট ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভুক্তভোগীর ভিডিও ও ছবি অনলাইন থেকে সরানোর নির্দেশ দেয় এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলে। একই সঙ্গে দ্রুত বিচারের আশ্বাস দিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
পুলিশ জানায়, ঘটনার মূল হোতা ফজর আলী দীর্ঘদিন মাদক কারবার ও জুয়ার সঙ্গে জড়িত। সে এক সময় আওয়ামী লীগের মিটিং-মিছিলে গেলেও পরে বিএনপির পরিচয় নেওয়ার চেষ্টা করে।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, শত শত মানুষ ভিড় করেছেন। ভুক্তভোগীর পরিবার নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায়। মানবাধিকার সংগঠন ও আইনজীবীরা দ্রুত ন্যায়বিচার এবং ভিকটিমের সুরক্ষার দাবি তুলেছেন।
এ ঘটনায় দেশব্যাপী ক্ষোভ-প্রতিবাদ চলছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দ্রুত বিচার ও কঠোর শাস্তি না হলে নারী নির্যাতন থামানো কঠিন হবে।