মহাখালীর হোটেল কাণ্ড বিএনপির জন্য বড় বার্তা - Porikroma News
Connect with us

মতামত

মহাখালীর হোটেল কাণ্ড বিএনপির জন্য বড় বার্তা

Published

on

জাকারিয়া হোটেলে হামলা ও ভাঙচুরছবি: ভিডিও থেকে সংগৃহীত
জাকারিয়া হোটেলে হামলা ও ভাঙচুরছবি: ভিডিও থেকে সংগৃহীত

রাজধানীর মহাখালীতে পুরোনো হোটেল জাকারিয়াতে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া সন্ত্রাসী ঘটনায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। বনানী থানা যুবদলের আহ্বায়ক মনির হোসেন তার দলবল নিয়ে ওই হোটেলে ভাঙচুর ও হামলার ঘটনা ঘটান। ভিডিও ফুটেজ ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। দেখা যায়, হোটেলের কর্মচারী এবং নারীদের ওপরও নির্মমভাবে হামলা করা হয়।

ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপি ওই যুবদল নেতাকে বহিষ্কার করলেও, বিষয়টি এখানেই শেষ নয়। দেশের মানুষ প্রশ্ন তুলছে, শুধু বহিষ্কার নয়, অপরাধীকে আইনের আওতায় আনা কি জরুরি নয়?

বিগত বছরগুলিতে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে। কখনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পর দলীয় নেতাদের ছাড়িয়ে আনা, কখনো ফুলের মালা পরানোর নজিরও রয়েছে। ফলে মানুষের মধ্যে এই ধারণা তৈরি হয়েছে — রাজনীতি মানেই ক্ষমতা ও সন্ত্রাসের আশ্রয়।

বিএনপির মূল নেতৃত্ব এ ঘটনার প্রতিবাদ জানালেও প্রশ্ন উঠছে, আদৌ কি তারা দলের শৃঙ্খলা ধরে রাখতে পারছে? স্থানীয় পর্যায়ে কীভাবে সংগঠনের নিয়ন্ত্রণ কার্যকর হচ্ছে, তাও নিয়ে রয়েছে শঙ্কা।

দেশের রাজনীতিতে নতুনভাবে বিশ্বাস অর্জনের জন্য বিএনপির উচিত হবে এ ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে কঠোর অবস্থান নেওয়া। এক্ষেত্রে মনির হোসেনকে গ্রেপ্তারের দাবিতে তারা আইনি প্রক্রিয়ায় চাপ সৃষ্টি করতে পারত।

জনগণ পরিবর্তন চায়। বৈষম্যহীন সমাজের স্বপ্ন নিয়ে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল, সেটি বাস্তবায়নে বিএনপির মূল দায়িত্ব এখন নিজেদের দলকে শৃঙ্খলার মধ্যে রাখা। তা না হলে মানুষ বিকল্প খুঁজবে।

আগামী নির্বাচনে জনগণ বিচার করবে — কারা কথা রাখে, কারা দেশ ও মানুষের নিরাপত্তার পক্ষে থাকে। সুতরাং এই মুহূর্তে বিএনপির জন্য সবচেয়ে বড় বার্তা, দলীয় শৃঙ্খলা নিশ্চিত করা এবং অপরাধীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া।

Share

রাজধানীর মহাখালীতে পুরোনো হোটেল জাকারিয়াতে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া সন্ত্রাসী ঘটনায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। বনানী থানা যুবদলের আহ্বায়ক মনির হোসেন তার দলবল নিয়ে ওই হোটেলে ভাঙচুর ও হামলার ঘটনা ঘটান। ভিডিও ফুটেজ ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। দেখা যায়, হোটেলের কর্মচারী এবং নারীদের ওপরও নির্মমভাবে হামলা করা হয়।

ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপি ওই যুবদল নেতাকে বহিষ্কার করলেও, বিষয়টি এখানেই শেষ নয়। দেশের মানুষ প্রশ্ন তুলছে, শুধু বহিষ্কার নয়, অপরাধীকে আইনের আওতায় আনা কি জরুরি নয়?

বিগত বছরগুলিতে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে। কখনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পর দলীয় নেতাদের ছাড়িয়ে আনা, কখনো ফুলের মালা পরানোর নজিরও রয়েছে। ফলে মানুষের মধ্যে এই ধারণা তৈরি হয়েছে — রাজনীতি মানেই ক্ষমতা ও সন্ত্রাসের আশ্রয়।

বিএনপির মূল নেতৃত্ব এ ঘটনার প্রতিবাদ জানালেও প্রশ্ন উঠছে, আদৌ কি তারা দলের শৃঙ্খলা ধরে রাখতে পারছে? স্থানীয় পর্যায়ে কীভাবে সংগঠনের নিয়ন্ত্রণ কার্যকর হচ্ছে, তাও নিয়ে রয়েছে শঙ্কা।

দেশের রাজনীতিতে নতুনভাবে বিশ্বাস অর্জনের জন্য বিএনপির উচিত হবে এ ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে কঠোর অবস্থান নেওয়া। এক্ষেত্রে মনির হোসেনকে গ্রেপ্তারের দাবিতে তারা আইনি প্রক্রিয়ায় চাপ সৃষ্টি করতে পারত।

জনগণ পরিবর্তন চায়। বৈষম্যহীন সমাজের স্বপ্ন নিয়ে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল, সেটি বাস্তবায়নে বিএনপির মূল দায়িত্ব এখন নিজেদের দলকে শৃঙ্খলার মধ্যে রাখা। তা না হলে মানুষ বিকল্প খুঁজবে।

আগামী নির্বাচনে জনগণ বিচার করবে — কারা কথা রাখে, কারা দেশ ও মানুষের নিরাপত্তার পক্ষে থাকে। সুতরাং এই মুহূর্তে বিএনপির জন্য সবচেয়ে বড় বার্তা, দলীয় শৃঙ্খলা নিশ্চিত করা এবং অপরাধীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া।

Share