অপরাধ
আইনের শাসন না থাকায় গণপিটুনি ও মব সংস্কৃতি বাড়ছে

বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলার অবনতির কারণে গণপিটুনি ও মব তৈরি হওয়ার প্রবণতা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি (এইচআরএসএস) জানিয়েছে, গত ছয়দিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে গণপিটুনিতে প্রাণ হারিয়েছেন ৬ জন। আর ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত ১৪৩ জন মানুষ গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন।
সাম্প্রতিক সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনা ঘটে কুমিল্লার মুরাদনগরে। বৃহস্পতিবার সকালে একই পরিবারের তিনজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এর আগে গাজীপুরের একটি কারখানায় চুরির অপবাদে এক শ্রমিককে এবং রাজধানী ঢাকায় দুই যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটির হিসাব অনুযায়ী, গত ১০ বছরে ১০০৯টি গণপিটুনির ঘটনায় ৮১৬ জন নিহত হয়েছেন। ২০১৯ সালের আলোচিত বাড্ডা হত্যাকাণ্ডের একমাত্র বিচার হয়েছে। বাকি অধিকাংশ ঘটনার বিচার হয়নি।
মানবাধিকার কর্মী নূর খান লিটন বলেন, ‘আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা না হলে এ ধরনের ঘটনা চলতেই থাকবে।’
এছাড়া চট্টগ্রামের পটিয়া, লালমনিরহাটের পাটগ্রাম এবং রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে গণপিটুনির পাশাপাশি থানায় হামলা, আসামি ছিনতাই এবং জনরোষের ঘটনা ঘটছে।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বলেন, ‘সরকারের আইন প্রয়োগে দুর্বলতা এবং পক্ষপাতমূলক আচরণ এসব ঘটনার জন্য দায়ী।’
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দ্রুত কার্যকর বিচার ও কঠোর ব্যবস্থা ছাড়া গণপিটুনির এই ভয়াবহ প্রবণতা থামানো সম্ভব নয়।