২য় বিস্ফোরণে দগ্ধ সাহসী শিক্ষিকা মাহরীন মারা গেলেন - Porikroma News
Connect with us

বাংলাদেশ

২য় বিস্ফোরণে দগ্ধ সাহসী শিক্ষিকা মাহরীন মারা গেলেন

Published

on

মাহরীন চৌধুরী। ছবি : সংগৃহীত
মাহরীন চৌধুরী। ছবি : সংগৃহীত

রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় শিক্ষিকা মাহরীন চৌধুরী (৪২) মারা গেছেন। তিনি ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির কো-অর্ডিনেটর। বিধ্বস্ত হওয়ার পর বিমানটি আগুনে পুড়ে যায় এবং বিস্ফোরণ ঘটায়। ওই সময় শিশুদের বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে পড়েন মাহরীন। কিছু শিক্ষার্থীকে বের করে আনেন তিনি।

কিন্তু দ্বিতীয় বিস্ফোরণের সময় তার পুরো শরীর দগ্ধ হয়। মৃত্যুর আগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের আইসিইউতে স্বামী মনছুর হেলালের সঙ্গে শেষবার কথা বলেন এই সাহসী শিক্ষিকা।

মনছুর হেলাল জানান, ‘ও বলেছে, বাচ্চারা আমার সামনে পুড়ে মরছে, আমি কীভাবে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকি! আমি চেষ্টা করেছি ওদের বের করে আনতে।’

তিনি আরও জানান, ‘ডান হাতটা শক্ত করে ধরতে বলল আমাকে। কিন্তু তার শরীর পুরো পুড়ে গিয়েছিল। বলল, “তোমার সঙ্গে আর দেখা হবে না। আমার বাচ্চাদের দেখো।”’

সোমবার (২১ জুলাই) রাতেই তিনি মারা যান। তার শরীরের ১০০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল বলে জানান বার্ন ইউনিটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান।

এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১ জনে। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি FT-7 BGI মডেলের যুদ্ধবিমান সোমবার দুপুর ১টা ১৮ মিনিটে উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বিধ্বস্ত হয়। উড্ডয়নের মাত্র ১২ মিনিট পরই দুর্ঘটনাটি ঘটে।

Share

রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় শিক্ষিকা মাহরীন চৌধুরী (৪২) মারা গেছেন। তিনি ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির কো-অর্ডিনেটর। বিধ্বস্ত হওয়ার পর বিমানটি আগুনে পুড়ে যায় এবং বিস্ফোরণ ঘটায়। ওই সময় শিশুদের বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে পড়েন মাহরীন। কিছু শিক্ষার্থীকে বের করে আনেন তিনি।

কিন্তু দ্বিতীয় বিস্ফোরণের সময় তার পুরো শরীর দগ্ধ হয়। মৃত্যুর আগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের আইসিইউতে স্বামী মনছুর হেলালের সঙ্গে শেষবার কথা বলেন এই সাহসী শিক্ষিকা।

মনছুর হেলাল জানান, ‘ও বলেছে, বাচ্চারা আমার সামনে পুড়ে মরছে, আমি কীভাবে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকি! আমি চেষ্টা করেছি ওদের বের করে আনতে।’

তিনি আরও জানান, ‘ডান হাতটা শক্ত করে ধরতে বলল আমাকে। কিন্তু তার শরীর পুরো পুড়ে গিয়েছিল। বলল, “তোমার সঙ্গে আর দেখা হবে না। আমার বাচ্চাদের দেখো।”’

সোমবার (২১ জুলাই) রাতেই তিনি মারা যান। তার শরীরের ১০০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল বলে জানান বার্ন ইউনিটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান।

এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১ জনে। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি FT-7 BGI মডেলের যুদ্ধবিমান সোমবার দুপুর ১টা ১৮ মিনিটে উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বিধ্বস্ত হয়। উড্ডয়নের মাত্র ১২ মিনিট পরই দুর্ঘটনাটি ঘটে।

Share