মাইগ্রেনে কুলিং প্যাচ কতটা কার্যকর? - Porikroma News
Connect with us

মতামত

মাইগ্রেনে কুলিং প্যাচ কতটা কার্যকর?

Published

on

মাইগ্রেনে কুলিং প্যাচ কতটা কার্যকর?
মাইগ্রেনের কারণে মাথার একপাশে তীব্র ব্যথা, সঙ্গে বমিভাব বা বমি হয়, দেখতে সমস্যা হয় এবং আলো ও শব্দে ব্যথার তীব্রতা বেড়ে যায়।ছবি: সাবিনা ইয়াসমিন

মাইগ্রেন একধরনের স্নায়বিক সমস্যা, যার কারণে মাথার একপাশে তীব্র ব্যথা, বমিভাব, আলো ও শব্দে অস্বস্তি হয়। এই ব্যথা কমাতে যুগ যুগ ধরে কুলিং থেরাপি বা ঠান্ডা বরফ-জল ব্যবহার করা হলেও এখন বাজারে সহজলভ্য হয়েছে কুলিং প্যাচ।

মাইগ্রেন রিলিফ বা কুলিং প্যাচ হলো বিশেষ ধরনের জেল শিট, যাতে মেন্থল, ইউক্যালিপটাস অয়েলসহ বিভিন্ন এসেনশিয়াল অয়েল থাকে। এটি কপাল, ঘাড় কিংবা বুকে লাগালে তাৎক্ষণিক ঠান্ডা অনুভূতি দেয় এবং মাথাব্যথা কমায়। জ্বর, দুশ্চিন্তা বা হরমোনজনিত হট ফ্ল্যাশ কমাতেও এটি কার্যকর।

এ ধরনের প্যাচ ওষুধবিহীন হওয়ায় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কম। তবে কিছু মানুষের ক্ষেত্রে ত্বকে অ্যালার্জি হতে পারে। এ ছাড়া চোখের কাছাকাছি বা কাটা জায়গায় এটি ব্যবহার করা উচিত নয়। বেশি সিভিয়ার মাইগ্রেন ব্যথায় এর কার্যকারিতা কম।

কুলিং প্যাচ তাৎক্ষণিক আরাম দিলেও দীর্ঘমেয়াদে মাইগ্রেন নিয়ন্ত্রণে জীবনযাত্রায় পরিবর্তন, পর্যাপ্ত পানি পান, দুশ্চিন্তামুক্ত থাকা এবং চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ গ্রহণ করা প্রয়োজন।

তথ্যসূত্র:
ডা. আফলাতুন আকতার জাহান, জুনিয়র কনসালট্যান্ট, ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগ, স্কয়ার হাসপাতাল লিমিটেড, ঢাকা।

Share

মাইগ্রেন একধরনের স্নায়বিক সমস্যা, যার কারণে মাথার একপাশে তীব্র ব্যথা, বমিভাব, আলো ও শব্দে অস্বস্তি হয়। এই ব্যথা কমাতে যুগ যুগ ধরে কুলিং থেরাপি বা ঠান্ডা বরফ-জল ব্যবহার করা হলেও এখন বাজারে সহজলভ্য হয়েছে কুলিং প্যাচ।

মাইগ্রেন রিলিফ বা কুলিং প্যাচ হলো বিশেষ ধরনের জেল শিট, যাতে মেন্থল, ইউক্যালিপটাস অয়েলসহ বিভিন্ন এসেনশিয়াল অয়েল থাকে। এটি কপাল, ঘাড় কিংবা বুকে লাগালে তাৎক্ষণিক ঠান্ডা অনুভূতি দেয় এবং মাথাব্যথা কমায়। জ্বর, দুশ্চিন্তা বা হরমোনজনিত হট ফ্ল্যাশ কমাতেও এটি কার্যকর।

এ ধরনের প্যাচ ওষুধবিহীন হওয়ায় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কম। তবে কিছু মানুষের ক্ষেত্রে ত্বকে অ্যালার্জি হতে পারে। এ ছাড়া চোখের কাছাকাছি বা কাটা জায়গায় এটি ব্যবহার করা উচিত নয়। বেশি সিভিয়ার মাইগ্রেন ব্যথায় এর কার্যকারিতা কম।

কুলিং প্যাচ তাৎক্ষণিক আরাম দিলেও দীর্ঘমেয়াদে মাইগ্রেন নিয়ন্ত্রণে জীবনযাত্রায় পরিবর্তন, পর্যাপ্ত পানি পান, দুশ্চিন্তামুক্ত থাকা এবং চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ গ্রহণ করা প্রয়োজন।

তথ্যসূত্র:
ডা. আফলাতুন আকতার জাহান, জুনিয়র কনসালট্যান্ট, ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগ, স্কয়ার হাসপাতাল লিমিটেড, ঢাকা।

Share