বিনোদন
মেসি-পিএসজি : ভুল এক প্রেমের গল্পের ইতি

ফুটবল বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত অধ্যায়গুলোর একটি লিওনেল মেসির পিএসজিতে কাটানো সময়। দুই দশকের ক্যারিয়ারে মেসি বার্সেলোনার হয়ে যতটা সুখের ছিলেন, ঠিক তার উল্টো অভিজ্ঞতা হয়েছিল প্যারিসের ক্লাব পিএসজিতে।
বার্সেলোনা ছাড়তে চাননি মেসি। কিন্তু অর্থনৈতিক সংকটের কারণে বিদায় নিতে বাধ্য হন। তারপর মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যোগ দেন পিএসজিতে। বন্ধুবান্ধব নেইমার, এমবাপ্পে থাকলেও মানিয়ে নিতে পারেননি। কোভিড, প্রি-সিজন না পাওয়া, যানজট আর শহরের জীবনে অপছন্দের পরিবেশে নিজেকে হারিয়ে ফেলেছিলেন তিনি।

দুই মৌসুমে মেসি যেমন গোল কম পেয়েছেন, পারফরম্যান্সও ছিল উত্থান-পতনে ভরা। এমনকি নিজ ক্লাবের সমর্থকদের দুয়োও শুনতে হয়েছিল তাকে। কাতার বিশ্বকাপে আবারও সেই পুরনো মেসিকে দেখেছে বিশ্ব।
পিএসজির ভেতরেও চলছিল অস্থিরতা। তিন সুপারস্টারের মধ্যে কেউই ডিফেন্সে নামতেন না। পিএসজির চোখে মেসি ছিলেন শুধু এক অর্থনৈতিক প্যাকেজ।
শেষ পর্যন্ত দুই পক্ষের বিচ্ছেদই হয়ে ওঠে আশীর্বাদ। মেসি এখন মায়ামিতে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন, আর পিএসজি অর্থনৈতিক ভারসাম্য ফেরাতে তরুণ তারকায় বিনিয়োগ করে বহু প্রতীক্ষিত চ্যাম্পিয়নস লিগ জয় করেছে।
রবিবার ক্লাব বিশ্বকাপে মুখোমুখি হবে ইন্টার মায়ামি ও পিএসজি। ম্যাচটি অনেকের চোখে ‘বিদ্বেষের ম্যাচ’ হলেও বাস্তবে এটি এক ব্যর্থ প্রেমের ভদ্র পুনর্মিলন।
মেসির ৩৮তম জন্মদিনে পিএসজি এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে মেসিকে শুভেচ্ছা জানিয়ে লেখা হয়, ‘রবিবার দেখা হবে।’ এই বার্তাই যেন বলে দেয়, একসঙ্গে না থেকেও দু’পক্ষ স্বস্তিতে।
এটা ইতিহাসের অন্যতম ভুল ‘রিবাউন্ড’ হলেও বিচ্ছেদটি সত্যিই আশীর্বাদস্বরূপ।