মুখ দিয়ে লিখে জিপিএ-৫ পেল লিতুন জিরা - Porikroma News
Connect with us

শিক্ষা

মুখ দিয়ে লিখে জিপিএ-৫ পেল লিতুন জিরা

Published

on

মুখ দিয়ে লিখে জিপিএ-৫ পেল লিতুন জিরা
লিতুন জিরা। ছবি: যুগান্তর

যশোরের মনিরামপুর উপজেলার সাতনল খানপুর গ্রামের লিতুন জিরা এবার মুখ ও কনুই দিয়ে লিখে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে। জন্ম থেকে হাত-পা না থাকা এই অদম্য শিক্ষার্থীর সাফল্যে উচ্ছ্বসিত তার পরিবার, শিক্ষক ও প্রতিবেশীরা।

লিতুন জিরার বাবা প্রভাষক হাবিবুর রহমান ও মা জাহানারা বেগম জানান, শারীরিক প্রতিবন্ধকতা কখনো তাকে থামিয়ে রাখতে পারেনি। পড়াশোনার প্রতি অসম্ভব আগ্রহ, একাগ্রতা আর প্রবল ইচ্ছাশক্তির জোরেই সে এই সাফল্য অর্জন করেছে।

নেহালপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয় লিতুন জিরা। এর আগেও পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষায় জিপিএ-৫ সহ বৃত্তি পেয়েছিল সে। গান, কবিতা, আবৃত্তি ও রচনা প্রতিযোগিতায় উপজেলা, জেলা ও জাতীয় পর্যায়েও পুরস্কার রয়েছে তার ঝুলিতে।

মা জাহানারা বেগম জানান, জন্মের পর মেয়ের শারীরিক অবস্থা দেখে চারপাশের মানুষের নানা কথায় চোখের জল ফেলতে হলেও মেয়ের পড়াশোনার আগ্রহে ভরসা পেয়েছিলেন। আজ সেই মেয়েই পরিবারের গর্ব।

লিতুন জিরার শিক্ষক রেজাউল ইসলাম জানান, হাত-পা ছাড়াই মুখ দিয়ে লিখে এই অসাধ্যকে সাধন করেছে লিতুন। তার কঠোর পরিশ্রম আর ইচ্ছাশক্তিই সাফল্যের মূল চাবিকাঠি।

ভবিষ্যতে চিকিৎসক হয়ে সমাজের অসহায়-দুঃস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর স্বপ্ন লালন করছে লিতুন জিরা।

Share

যশোরের মনিরামপুর উপজেলার সাতনল খানপুর গ্রামের লিতুন জিরা এবার মুখ ও কনুই দিয়ে লিখে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে। জন্ম থেকে হাত-পা না থাকা এই অদম্য শিক্ষার্থীর সাফল্যে উচ্ছ্বসিত তার পরিবার, শিক্ষক ও প্রতিবেশীরা।

লিতুন জিরার বাবা প্রভাষক হাবিবুর রহমান ও মা জাহানারা বেগম জানান, শারীরিক প্রতিবন্ধকতা কখনো তাকে থামিয়ে রাখতে পারেনি। পড়াশোনার প্রতি অসম্ভব আগ্রহ, একাগ্রতা আর প্রবল ইচ্ছাশক্তির জোরেই সে এই সাফল্য অর্জন করেছে।

নেহালপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয় লিতুন জিরা। এর আগেও পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষায় জিপিএ-৫ সহ বৃত্তি পেয়েছিল সে। গান, কবিতা, আবৃত্তি ও রচনা প্রতিযোগিতায় উপজেলা, জেলা ও জাতীয় পর্যায়েও পুরস্কার রয়েছে তার ঝুলিতে।

মা জাহানারা বেগম জানান, জন্মের পর মেয়ের শারীরিক অবস্থা দেখে চারপাশের মানুষের নানা কথায় চোখের জল ফেলতে হলেও মেয়ের পড়াশোনার আগ্রহে ভরসা পেয়েছিলেন। আজ সেই মেয়েই পরিবারের গর্ব।

লিতুন জিরার শিক্ষক রেজাউল ইসলাম জানান, হাত-পা ছাড়াই মুখ দিয়ে লিখে এই অসাধ্যকে সাধন করেছে লিতুন। তার কঠোর পরিশ্রম আর ইচ্ছাশক্তিই সাফল্যের মূল চাবিকাঠি।

ভবিষ্যতে চিকিৎসক হয়ে সমাজের অসহায়-দুঃস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর স্বপ্ন লালন করছে লিতুন জিরা।

Share