কেশবপুরে ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি - Porikroma News
Connect with us

বাংলাদেশ

কেশবপুরে ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি

Published

on

কেশবপুরে ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি
কেশবপুরে টানা বর্ষণ ও হরিহর নদের পানি বৃদ্ধির কারণে প্রায় ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

যশোরের কেশবপুরে টানা বর্ষণ ও হরিহর নদের পানি বৃদ্ধির কারণে ভয়াবহ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। পৌরসভা ও সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার প্রায় ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

বাড়িঘরে পানি ঢুকে পড়ায় মধ্যকুল খানপাড়া এলাকার মানুষজন নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। অনেক নলকূপ তলিয়ে যাওয়ায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট। গবাদি পশু নিয়েও সংকটে পড়েছেন স্থানীয়রা।

উপজেলার বিভিন্ন কৃষিজমি প্লাবিত হওয়ায় কৃষকেরা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। শহরের ধান বিক্রির হাট ও ট্রাক টার্মিনালের পূর্বাংশও তলিয়ে গেছে।

স্থানীয় বাসিন্দা জাহানারা খাতুন বলেন, “বসতঘরে পানি উঠে গেছে, মালামাল গুছিয়ে অন্যত্র যেতে হচ্ছে।” রুপালী খাতুন জানান, “নলকূপ তলিয়ে যাওয়ায় পানি পান করাও কঠিন হয়ে গেছে।”

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন হাজার পরিবারের প্রায় ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়েছেন। কেশবপুর পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডেই জলাবদ্ধতার প্রভাব পড়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল ফজল মো. এনামুল হক।

সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলাউদ্দীন আলা বলেন, মধ্যকুল, আলতাপোল, মূলগ্রামসহ অন্তত ছয়টি গ্রামে দুই শতাধিক পরিবার পানিবন্দি।

এদিকে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেকসোনা খাতুন জানিয়েছেন, কচুরিপানা অপসারণ এবং নদী খননের কাজ অব্যাহত রয়েছে। আপার ভদ্রা, বুড়িভদ্রা ও হরিহর নদ খননের মাধ্যমে পানি প্রবাহ স্বাভাবিক করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

জলাবদ্ধতার কারণে কেশবপুরবাসীর জীবন-জীবিকা চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে, এবং প্রয়োজনীয় ত্রাণ ও পুনর্বাসন সহায়তার দাবিও উঠছে।


Share

যশোরের কেশবপুরে টানা বর্ষণ ও হরিহর নদের পানি বৃদ্ধির কারণে ভয়াবহ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। পৌরসভা ও সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার প্রায় ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

বাড়িঘরে পানি ঢুকে পড়ায় মধ্যকুল খানপাড়া এলাকার মানুষজন নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। অনেক নলকূপ তলিয়ে যাওয়ায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট। গবাদি পশু নিয়েও সংকটে পড়েছেন স্থানীয়রা।

উপজেলার বিভিন্ন কৃষিজমি প্লাবিত হওয়ায় কৃষকেরা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। শহরের ধান বিক্রির হাট ও ট্রাক টার্মিনালের পূর্বাংশও তলিয়ে গেছে।

স্থানীয় বাসিন্দা জাহানারা খাতুন বলেন, “বসতঘরে পানি উঠে গেছে, মালামাল গুছিয়ে অন্যত্র যেতে হচ্ছে।” রুপালী খাতুন জানান, “নলকূপ তলিয়ে যাওয়ায় পানি পান করাও কঠিন হয়ে গেছে।”

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন হাজার পরিবারের প্রায় ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়েছেন। কেশবপুর পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডেই জলাবদ্ধতার প্রভাব পড়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল ফজল মো. এনামুল হক।

সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলাউদ্দীন আলা বলেন, মধ্যকুল, আলতাপোল, মূলগ্রামসহ অন্তত ছয়টি গ্রামে দুই শতাধিক পরিবার পানিবন্দি।

এদিকে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেকসোনা খাতুন জানিয়েছেন, কচুরিপানা অপসারণ এবং নদী খননের কাজ অব্যাহত রয়েছে। আপার ভদ্রা, বুড়িভদ্রা ও হরিহর নদ খননের মাধ্যমে পানি প্রবাহ স্বাভাবিক করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

জলাবদ্ধতার কারণে কেশবপুরবাসীর জীবন-জীবিকা চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে, এবং প্রয়োজনীয় ত্রাণ ও পুনর্বাসন সহায়তার দাবিও উঠছে।


Share