ব্যবসায়ী হত্যায় ১৩ জনের যাবজ্জীবন - Porikroma News
Connect with us

অপরাধ

ব্যবসায়ী হত্যায় ১৩ জনের যাবজ্জীবন

Published

on

ব্যবসায়ী হত্যায় ১৩ জনের যাবজ্জীবন
কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে ব্যবসায়ী হত্যায় ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। ছবি : সংগৃহীত

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে মুদি ব্যবসায়ী সৈয়দ আলী (৩০) হত্যা মামলায় একই পরিবারের ৯ জনসহ মোট ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) দুপুরে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মুহাম্মদ নূরুল আমিন বিপ্লব এ রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে প্রত্যেক আসামিকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় ১৩ আসামির মধ্যে ৭ জন আদালতে উপস্থিত ছিলেন, বাকি ৬ জন পলাতক রয়েছেন।

নিহত সৈয়দ আলী উপজেলার দেওপুর কাজলাহাটি গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে ২০১৬ সালের ২৩ মার্চ তাকে ফার্মেসির সামনে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা করে গুরুতর আহত করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৯ মার্চ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

ঘটনার পর নিহতের বড় বোন পারভীন সুলতানা করিমগঞ্জ থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন, যা পরে হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়। ওই বছরের ২১ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক শহর আলী ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছে এক পরিবারের পাঁচ ভাই, তাদের ছেলেরা ও আত্মীয়স্বজন। তারা সবাই করিমগঞ্জ উপজেলার দেওপুর কাজলাহাটি গ্রামের বাসিন্দা।

আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট অশোক সরকার। মামলার রায়কে কেন্দ্র করে এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

Share
Continue Reading
Click to comment

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে মুদি ব্যবসায়ী সৈয়দ আলী (৩০) হত্যা মামলায় একই পরিবারের ৯ জনসহ মোট ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) দুপুরে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মুহাম্মদ নূরুল আমিন বিপ্লব এ রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে প্রত্যেক আসামিকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় ১৩ আসামির মধ্যে ৭ জন আদালতে উপস্থিত ছিলেন, বাকি ৬ জন পলাতক রয়েছেন।

নিহত সৈয়দ আলী উপজেলার দেওপুর কাজলাহাটি গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে ২০১৬ সালের ২৩ মার্চ তাকে ফার্মেসির সামনে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা করে গুরুতর আহত করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৯ মার্চ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

ঘটনার পর নিহতের বড় বোন পারভীন সুলতানা করিমগঞ্জ থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন, যা পরে হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়। ওই বছরের ২১ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক শহর আলী ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছে এক পরিবারের পাঁচ ভাই, তাদের ছেলেরা ও আত্মীয়স্বজন। তারা সবাই করিমগঞ্জ উপজেলার দেওপুর কাজলাহাটি গ্রামের বাসিন্দা।

আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট অশোক সরকার। মামলার রায়কে কেন্দ্র করে এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

Share