গাজায় বেসামরিক হত্যার স্বীকারোক্তি ইসরায়েলি সেনার - Porikroma News
Connect with us

অপরাধ

গাজায় বেসামরিক হত্যার স্বীকারোক্তি ইসরায়েলি সেনার

Published

on

গাজায় বেসামরিক হত্যার স্বীকারোক্তি ইসরায়েলি সেনার
ছবিটি সাক্ষাৎকার নেওয়া সেনার সৌজন্যে/স্কাই নিউজ।

গাজা উপত্যকায় তিনবার দায়িত্ব পালন করা এক ইসরায়েলি রিজার্ভ সেনা স্কাই নিউজকে দেওয়া এক ভিডিও সাক্ষাৎকারে ভয়াবহ তথ্য প্রকাশ করেছেন। তিনি জানান, তার ইউনিটকে আদেশ দেওয়া হতো ‘নো-গো জোন’ এলাকায় কাউকে দেখলেই গুলি করতে — সে সশস্ত্র হোক বা নিরস্ত্র।

গাজা ভূখণ্ডকে ভাগ করে রাখা ‘নেটজারিম করিডোর’ নামে একটি করিডোরের দায়িত্বে থাকাকালে তিনি দেখেছেন কিভাবে কিশোর বাইসাইকেল চালিয়ে সীমানা পেরোলেই গুলি করা হতো। সেনারা মনে করতো, গাজার কোনো মানুষই নির্দোষ নয়। ৭ অক্টোবরের হামলার জন্য পুরো জনগণকে দায়ী করে নির্বিচারে গুলি করা হতো।

তিনি জানান, সেনারা যুদ্ধে নিয়ম না মেনে অনেক সময় যুদ্ধাপরাধ করছে এবং কোনো জবাবদিহিতা নেই। আদেশ বদলানো হতো ঘণ্টায় ঘণ্টায়। কখনো গুলি চালাও, কখনো মরদেহ তোলার সময় বন্দি করো — আবার পরে সবাইকে গুলি করার আদেশ।

ওই সেনা বলেন, ‘আমি খারাপ কিছুতে অংশ নিয়েছি, এখন সত্য প্রকাশ করতে চাই। ইসরায়েলি সমাজে সেনাবাহিনীর সমালোচনা নিষিদ্ধের মতো। কিন্তু সত্য না জানলে মানুষ বুঝবে না কী হচ্ছে।’

এই অভিযোগের বিষয়ে আইডিএফ জানিয়েছে, তারা আন্তর্জাতিক আইন অনুসরণ করে। তবে নির্দিষ্ট তথ্য না থাকায় তদন্ত সম্ভব নয় বলে দাবি করেছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই অভিযোগকে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে আন্তর্জাতিক তদন্তের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে।

সূত্র : স্কাই নিউজ


Share

গাজা উপত্যকায় তিনবার দায়িত্ব পালন করা এক ইসরায়েলি রিজার্ভ সেনা স্কাই নিউজকে দেওয়া এক ভিডিও সাক্ষাৎকারে ভয়াবহ তথ্য প্রকাশ করেছেন। তিনি জানান, তার ইউনিটকে আদেশ দেওয়া হতো ‘নো-গো জোন’ এলাকায় কাউকে দেখলেই গুলি করতে — সে সশস্ত্র হোক বা নিরস্ত্র।

গাজা ভূখণ্ডকে ভাগ করে রাখা ‘নেটজারিম করিডোর’ নামে একটি করিডোরের দায়িত্বে থাকাকালে তিনি দেখেছেন কিভাবে কিশোর বাইসাইকেল চালিয়ে সীমানা পেরোলেই গুলি করা হতো। সেনারা মনে করতো, গাজার কোনো মানুষই নির্দোষ নয়। ৭ অক্টোবরের হামলার জন্য পুরো জনগণকে দায়ী করে নির্বিচারে গুলি করা হতো।

তিনি জানান, সেনারা যুদ্ধে নিয়ম না মেনে অনেক সময় যুদ্ধাপরাধ করছে এবং কোনো জবাবদিহিতা নেই। আদেশ বদলানো হতো ঘণ্টায় ঘণ্টায়। কখনো গুলি চালাও, কখনো মরদেহ তোলার সময় বন্দি করো — আবার পরে সবাইকে গুলি করার আদেশ।

ওই সেনা বলেন, ‘আমি খারাপ কিছুতে অংশ নিয়েছি, এখন সত্য প্রকাশ করতে চাই। ইসরায়েলি সমাজে সেনাবাহিনীর সমালোচনা নিষিদ্ধের মতো। কিন্তু সত্য না জানলে মানুষ বুঝবে না কী হচ্ছে।’

এই অভিযোগের বিষয়ে আইডিএফ জানিয়েছে, তারা আন্তর্জাতিক আইন অনুসরণ করে। তবে নির্দিষ্ট তথ্য না থাকায় তদন্ত সম্ভব নয় বলে দাবি করেছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই অভিযোগকে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে আন্তর্জাতিক তদন্তের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে।

সূত্র : স্কাই নিউজ


Share