আন্তর্জাতিক
ইসরায়েলের মুসলিম জনগোষ্ঠীর জীবন ও বৈষম্যের বাস্তবতা

বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত ও সমালোচিত রাষ্ট্র ইসরায়েল, যার সৃষ্টি রাজনৈতিক চুক্তি, উপনিবেশবাদী হস্তক্ষেপ এবং সংঘাতময় ইতিহাসের মধ্য দিয়ে। এই রাষ্ট্র গড়ে উঠেছে ফিলিস্তিন ভূখণ্ডের মধ্যেই।
২০২৩ সালের শেষে দেশটিতে মুসলিম জনসংখ্যা ছিল প্রায় ১৭.৮২ লাখ, যা সমগ্র জনসংখ্যার ১৮.১ শতাংশ। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মুসলিম বাস করেন জেরুজালেমে (৩৮০,০০০ জন)।
তবে মুসলিম নাগরিকরা রাষ্ট্রীয়ভাবে নানা বৈষম্যের শিকার। তাদের ভোটাধিকার থাকলেও মূলধারার রাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ সীমিত। দারিদ্র্য, কর্মসংস্থান, ব্যবসা, উন্নয়ন সুবিধায় মুসলিমদের পিছিয়ে রাখা হয়। ভূমি, নির্মাণ অনুমতি ও সরকারি সেবা পেতেও জটিলতা পোহাতে হয়।
তবে ব্যতিক্রম ‘নো নিউজ সিটি’ হাইফা, যেখানে মুসলিম, ইহুদি ও খ্রিস্টানরা শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থান করছে। শিক্ষা, চাকরি, চিকিৎসা সেবায় সেখানে ধর্মীয় বৈষম্য তেমন নেই।
ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের প্রভাবে মুসলিমদের নিরাপত্তাহীনতা ও অনিশ্চয়তা চরমে। সম্প্রতি কট্টর ডানপন্থী ইসরায়েলিরা জেরুজালেমের পুরনো শহরে মিছিল করে ‘আরবদের মৃত্যু হোক’ বলে স্লোগান দেয়। পবিত্র আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণেও প্রবেশ ও সহিংসতা চালায় তারা।
সার্বিকভাবে ইসরায়েলি মুসলিমরা দিন দিন ধর্মীয় ও সামাজিক বৈষম্যের শিকার হয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের মুখে রয়েছেন।