আন্তর্জাতিক
ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, বিমান চলাচল বন্ধ

ইসরায়েলের রাজধানী তেলআবিব লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের হুতি যোদ্ধারা। হামলার পর ইসরায়েলের বেশকিছু শহরে একযোগে সাইরেন বাজতে শোনা যায়। একইসঙ্গে তেলআবিবের বেন গুরিয়ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সব ধরনের বিমান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয় ইসরায়েল। খবর আনাদুলু এজেন্সির।
ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম চ্যানেল ১২ জানায়, ইয়েমেন থেকে নিক্ষিপ্ত একটি ক্ষেপণাস্ত্রকে ঘিরেই এই নিরাপত্তামূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ইসরায়েলের বিভিন্ন অঞ্চলে সতর্কতামূলক সাইরেন বাজানোর পর, ইয়েমেন থেকে উৎক্ষেপণ করা একটি ক্ষেপণাস্ত্র বিমানবাহিনী সফলভাবে প্রতিহত করেছে।’
স্থানীয় সংবাদপত্র ইয়েদিওথ আহরোনোথ জানায়, তেলআবিব, রামাত গান, পেতাহ তিকভা, জেরুজালেম, হোলন, রিশন লে-জিয়োন, বনে ব্রাক, মোডিন এবং রেহোভতসহ বহু শহরে সাইরেন বাজানো হয়। তবে এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি।
ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। গোষ্ঠীটির সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি এক টেলিভিশন ভাষণে জানান, বেন গুরিয়ন বিমানবন্দর লক্ষ্য করে তারা ‘ফিলিস্তিন-২’ নামের একটি হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে। তিনি বলেন, এই অভিযান ছিল একটি গুণগত সামরিক পদক্ষেপ, যা সরাসরি বিমানবন্দরের দিকে পরিচালিত হয়েছে। গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি আগ্রাসন ও অবরোধ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের প্রতিরোধমূলক হামলা অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য, গত মার্চ মাসে ইসরায়েল গাজায় নতুন করে সামরিক অভিযান শুরু করলে হুতি গোষ্ঠী ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা জোরদার করে। ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে তারা লোহিত সাগর, অ্যাডেন উপসাগর এবং আরব সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজেও হামলা চালিয়ে আসছে, যা ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতির অংশ হিসেবে চালানো হচ্ছে বলে দাবি করে আসছে তারা।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, চলমান ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ইতোমধ্যে প্রায় ৫৯ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।