ফিলিস্তিনিদের ইচ্ছাকৃত হত্যার কথা স্বীকার ইসরায়েলি সেনাদের - Porikroma News
Connect with us

রাজনীতি

ফিলিস্তিনিদের ইচ্ছাকৃত হত্যার কথা স্বীকার ইসরায়েলি সেনাদের

Published

on

গাজায় নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের ইচ্ছাকৃতভাবে গুলি করে হত্যার কথা স্বীকার করলেন ইসরায়েলি সেনারা। যুদ্ধাপরাধ তদন্তের ঘোষণা। পড়ুন বিস্তারিত।

গাজা উপত্যকায় মানবিক সহায়তা নিতে আসা নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে গুলি করে হত্যার স্বীকারোক্তি দিয়েছেন ইসরায়েলি সেনারা। শুক্রবার ইসরায়েলের প্রভাবশালী দৈনিক হারেৎজ এ চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করা হয়।

প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সরাসরি আদেশে নিরস্ত্র সাধারণ মানুষের ওপর গুলি চালাতেন সেনারা। এক সেনা জানান, “প্রতিদিন এক থেকে পাঁচজনকে হত্যা করা হতো। এখানে শত্রু বলতে কিছু ছিল না।”

মানবিক ত্রাণকেন্দ্র খোলার আগে ও বন্ধের পরেও লাইনে দাঁড়ানো মানুষদের গুলি করা হতো। এক সেনা বলেন, “ত্রাণকেন্দ্র খোলার আগে গুলি চালাই যেন কেউ এগিয়ে না আসে, আবার বন্ধ হওয়ার পর গুলি করি যেন তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।”

এমনকি, এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অপারেশন সল্টেড ফিশ’—যা ইসরায়েলি শিশুদের এক খেলার নাম। প্রতিবেদনে বলা হয়, শুধু এই অভিযানে কমপক্ষে ৫৫০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৪ হাজারের বেশি আহত হয়েছেন।

এ ঘটনায় অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর জেনারেল স্টাফ ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং অ্যাসেসমেন্ট মেকানিজম। ধারণা করা হচ্ছে, এসব ঘটনা যুদ্ধাপরাধের আওতায় পড়তে পারে।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, গাজার শিশুরা চরম অপুষ্টিতে ভুগছে। মে মাসেই ৫ হাজারের বেশি শিশু গুরুতর অপুষ্টির শিকার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।

এদিকে বিতর্কিত ত্রাণ সংস্থা ‘গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ)’ পরিচালিত ত্রাণ কার্যক্রম নিয়েও উদ্বেগ জানিয়ে ১৫টি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা এই প্রকল্প বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। তাদের মতে, এই উদ্যোগটি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতাহীন এবং মানুষের মর্যাদাহানি ঘটাচ্ছে।

Share

গাজা উপত্যকায় মানবিক সহায়তা নিতে আসা নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে গুলি করে হত্যার স্বীকারোক্তি দিয়েছেন ইসরায়েলি সেনারা। শুক্রবার ইসরায়েলের প্রভাবশালী দৈনিক হারেৎজ এ চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করা হয়।

প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সরাসরি আদেশে নিরস্ত্র সাধারণ মানুষের ওপর গুলি চালাতেন সেনারা। এক সেনা জানান, “প্রতিদিন এক থেকে পাঁচজনকে হত্যা করা হতো। এখানে শত্রু বলতে কিছু ছিল না।”

মানবিক ত্রাণকেন্দ্র খোলার আগে ও বন্ধের পরেও লাইনে দাঁড়ানো মানুষদের গুলি করা হতো। এক সেনা বলেন, “ত্রাণকেন্দ্র খোলার আগে গুলি চালাই যেন কেউ এগিয়ে না আসে, আবার বন্ধ হওয়ার পর গুলি করি যেন তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।”

এমনকি, এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অপারেশন সল্টেড ফিশ’—যা ইসরায়েলি শিশুদের এক খেলার নাম। প্রতিবেদনে বলা হয়, শুধু এই অভিযানে কমপক্ষে ৫৫০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৪ হাজারের বেশি আহত হয়েছেন।

এ ঘটনায় অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর জেনারেল স্টাফ ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং অ্যাসেসমেন্ট মেকানিজম। ধারণা করা হচ্ছে, এসব ঘটনা যুদ্ধাপরাধের আওতায় পড়তে পারে।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, গাজার শিশুরা চরম অপুষ্টিতে ভুগছে। মে মাসেই ৫ হাজারের বেশি শিশু গুরুতর অপুষ্টির শিকার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।

এদিকে বিতর্কিত ত্রাণ সংস্থা ‘গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ)’ পরিচালিত ত্রাণ কার্যক্রম নিয়েও উদ্বেগ জানিয়ে ১৫টি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা এই প্রকল্প বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। তাদের মতে, এই উদ্যোগটি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতাহীন এবং মানুষের মর্যাদাহানি ঘটাচ্ছে।

Share