আইরল্যান্ডে ‘সেপটিক ট্যাংকে’ শিশুদের গোপন গণকবর - Porikroma News
Connect with us

আন্তর্জাতিক

আইরল্যান্ডে ‘সেপটিক ট্যাংকে’ শিশুদের গোপন গণকবর

Published

on

আইরল্যান্ডে ‘সেপটিক ট্যাংকে’ শিশুদের গোপন গণকবর
প্রায় ৮০০ শিশুকে এখানেই গোপনে কবর দেয়া হয়েছে। ছবি : এএফপি

দীর্ঘদিন ধরে চাপা পড়ে থাকা এক নির্মম ইতিহাস অবশেষে সামনে আসছে আয়ারল্যান্ডের ছোট্ট শহর টিউআমে। শিশুদের একটি গোপন গণকবর খুঁজে পেতে আগামী সোমবার (১৪ জুলাই) থেকে শুরু হচ্ছে আনুষ্ঠানিক খননকাজ।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন জানায়, ১৯২৫ থেকে ১৯৬১ সাল পর্যন্ত চার্চ পরিচালিত ‘সেন্ট মেরি’ শিশু হোমে আশ্রয় পাওয়া অবিবাহিত মায়েদের সন্তানদের মধ্যে ৭৯৪ শিশুর মৃত্যু হয়। তাদের বেশিরভাগের কবরের কোনো অস্তিত্ব বা রেকর্ড নেই।

২০০৫ সালে স্থানীয় ইতিহাসবিদ ক্যাথরিন করলিসের অনুসন্ধানে উঠে আসে ভয়াবহ তথ্য। ১৯৭০-এর দশকে খেলার সময় দুই কিশোর একটি ভাঙা স্ল্যাবের নিচে মানুষের হাড়গোড় দেখতে পায়।

পুরোনো মানচিত্র পরীক্ষা করে ক্যাথরিন নিশ্চিত হন, জায়গাটি এক সময় ‘সিউয়েজ ট্যাংক’ হিসেবে চিহ্নিত ছিল। ২০১৪ সালে বিষয়টি গণমাধ্যমে এলে আন্তর্জাতিক আলোড়ন সৃষ্টি হয়।

বহু বিতর্ক ও অপেক্ষার পর, এবার সরকারিভাবে দুই বছরের দীর্ঘ খননকাজ শুরু হচ্ছে। মাটির নিচে চাপা পড়া ইতিহাস ও নিষ্ঠুরতা প্রকাশ পাবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

এক সময়কার বাসিন্দা পি. জে. হ্যাভার্টি জানান, ‘‘আমার শৈশব কেটেছে কারাগারের মতো এক জায়গায়। ওখান থেকে বের হতে পারাটাই ছিল আমার ভাগ্য।’’

সত্য উন্মোচনের এ প্রয়াসকে আয়ারল্যান্ডের ‘গোপন ইতিহাসের এক ভয়াবহ অধ্যায়’ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।


Share

দীর্ঘদিন ধরে চাপা পড়ে থাকা এক নির্মম ইতিহাস অবশেষে সামনে আসছে আয়ারল্যান্ডের ছোট্ট শহর টিউআমে। শিশুদের একটি গোপন গণকবর খুঁজে পেতে আগামী সোমবার (১৪ জুলাই) থেকে শুরু হচ্ছে আনুষ্ঠানিক খননকাজ।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন জানায়, ১৯২৫ থেকে ১৯৬১ সাল পর্যন্ত চার্চ পরিচালিত ‘সেন্ট মেরি’ শিশু হোমে আশ্রয় পাওয়া অবিবাহিত মায়েদের সন্তানদের মধ্যে ৭৯৪ শিশুর মৃত্যু হয়। তাদের বেশিরভাগের কবরের কোনো অস্তিত্ব বা রেকর্ড নেই।

২০০৫ সালে স্থানীয় ইতিহাসবিদ ক্যাথরিন করলিসের অনুসন্ধানে উঠে আসে ভয়াবহ তথ্য। ১৯৭০-এর দশকে খেলার সময় দুই কিশোর একটি ভাঙা স্ল্যাবের নিচে মানুষের হাড়গোড় দেখতে পায়।

পুরোনো মানচিত্র পরীক্ষা করে ক্যাথরিন নিশ্চিত হন, জায়গাটি এক সময় ‘সিউয়েজ ট্যাংক’ হিসেবে চিহ্নিত ছিল। ২০১৪ সালে বিষয়টি গণমাধ্যমে এলে আন্তর্জাতিক আলোড়ন সৃষ্টি হয়।

বহু বিতর্ক ও অপেক্ষার পর, এবার সরকারিভাবে দুই বছরের দীর্ঘ খননকাজ শুরু হচ্ছে। মাটির নিচে চাপা পড়া ইতিহাস ও নিষ্ঠুরতা প্রকাশ পাবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

এক সময়কার বাসিন্দা পি. জে. হ্যাভার্টি জানান, ‘‘আমার শৈশব কেটেছে কারাগারের মতো এক জায়গায়। ওখান থেকে বের হতে পারাটাই ছিল আমার ভাগ্য।’’

সত্য উন্মোচনের এ প্রয়াসকে আয়ারল্যান্ডের ‘গোপন ইতিহাসের এক ভয়াবহ অধ্যায়’ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।


Share