Connect with us

অপরাধ

পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ারি দিল ইরান

Published

on

পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের বিরুদ্ধে তেহরানের হুঁশিয়ারি

ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্র চাপ সৃষ্টি করলে দুই দেশের পারমাণবিক আলোচনা ব্যর্থ হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরান। সোমবার (১৯ মে) দেশটির উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাজিদ তখত্রাভাঞ্চি রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, “সমৃদ্ধকরণ একটি জাতীয় অর্জন এবং ইরান এর থেকে কখনোই সরে আসবে না।”

এর আগে রোববার মার্কিন বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ বলেন, “যেকোনো নতুন চুক্তিতে ইরানকে অবশ্যই ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বন্ধ করতে হবে, যাতে তারা পারমাণবিক অস্ত্রের দিকে না যায়।”

তবে তেহরান দীর্ঘদিন ধরেই দাবি করে আসছে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি একান্তই শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে পরিচালিত এবং কোনোভাবেই বোমা তৈরির উদ্দেশ্যে নয়।

এ বিষয়ে তখত্রাভাঞ্চি আরও বলেন, “ওয়াশিংটন যদি আবারও জিরো এনরিচমেন্টের (সমৃদ্ধকরণ শূন্যে নামানো) দাবি তোলে, তবে আলোচনা কোনো ফল বয়ে আনবে না।”

এদিকে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র অভিযোগ করেছেন, আলোচনা চলাকালে গোপন কথোপকথনের বাইরে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা বক্তব্য দেওয়া আলোচনাকে জটিল করে তুলছে।

উল্লেখ্য, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৮ সালে ২০১৫ সালের বহুপক্ষীয় পারমাণবিক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেন। ঐ চুক্তিতে ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছিল।

বর্তমানে উভয় দেশ নতুন চুক্তির সম্ভাবনা নিয়ে কথাবার্তা চালিয়ে যাচ্ছে, তবে ইউরেনিয়াম ইস্যু আবারও তা থমকে দিতে পারে বলে বিশ্লেষকদের মত।

Share

ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্র চাপ সৃষ্টি করলে দুই দেশের পারমাণবিক আলোচনা ব্যর্থ হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরান। সোমবার (১৯ মে) দেশটির উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাজিদ তখত্রাভাঞ্চি রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, “সমৃদ্ধকরণ একটি জাতীয় অর্জন এবং ইরান এর থেকে কখনোই সরে আসবে না।”

এর আগে রোববার মার্কিন বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ বলেন, “যেকোনো নতুন চুক্তিতে ইরানকে অবশ্যই ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বন্ধ করতে হবে, যাতে তারা পারমাণবিক অস্ত্রের দিকে না যায়।”

তবে তেহরান দীর্ঘদিন ধরেই দাবি করে আসছে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি একান্তই শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে পরিচালিত এবং কোনোভাবেই বোমা তৈরির উদ্দেশ্যে নয়।

এ বিষয়ে তখত্রাভাঞ্চি আরও বলেন, “ওয়াশিংটন যদি আবারও জিরো এনরিচমেন্টের (সমৃদ্ধকরণ শূন্যে নামানো) দাবি তোলে, তবে আলোচনা কোনো ফল বয়ে আনবে না।”

এদিকে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র অভিযোগ করেছেন, আলোচনা চলাকালে গোপন কথোপকথনের বাইরে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা বক্তব্য দেওয়া আলোচনাকে জটিল করে তুলছে।

উল্লেখ্য, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৮ সালে ২০১৫ সালের বহুপক্ষীয় পারমাণবিক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেন। ঐ চুক্তিতে ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছিল।

বর্তমানে উভয় দেশ নতুন চুক্তির সম্ভাবনা নিয়ে কথাবার্তা চালিয়ে যাচ্ছে, তবে ইউরেনিয়াম ইস্যু আবারও তা থমকে দিতে পারে বলে বিশ্লেষকদের মত।

Share