ইরান-ইসরায়েল সংঘাত এরদোয়ানের জন্য সুযোগ এনে দিল - Porikroma News
Connect with us

আন্তর্জাতিক

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত এরদোয়ানের জন্য সুযোগ এনে দিল

Published

on

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত এরদোয়ানের জন্য সুযোগ এনে দিল
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোয়ান : ছবি: এএফপি

ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ শুধু মধ্যপ্রাচ্যের নয়, তুরস্কের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতেও বড় প্রভাব ফেলতে পারে। ইসরায়েল যখন ইরানের উপর সামরিক শক্তি প্রদর্শন করে হামলা চালায়, তখন তুর্কি নাগরিকদের মনে উদ্বেগ দেখা দেয় তুরস্কের নিজস্ব প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে।

পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞায় জর্জরিত হলেও ইরানকে তুর্কিরা বরাবরই সম্মান করে আসছে। তাদের দৃষ্টিতে ইরান একটি মহৎ ইতিহাস ও সংস্কৃতির দেশ এবং পশ্চিমা আধিপত্যের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরোধশক্তি। কিন্তু এই যুদ্ধের মাধ্যমে ইসরায়েলের বৃহত্তর আঞ্চলিক আধিপত্যের আশঙ্কা এখন তুরস্ককেও ভাবিয়ে তুলেছে।

সামরিক শক্তি ও প্রতিরক্ষা শিল্পে তুরস্ক কতটা প্রস্তুত — এই প্রশ্ন এখন তুর্কি জনগণের মুখে মুখে। বিশেষ করে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ২০২৭ সালের নির্বাচনে ফের প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আর এই পরিস্থিতি তাঁর জন্য রাজনৈতিক কৌশলের বড় সুযোগ হতে পারে।

২০২৩ সালের নির্বাচনের আগে তিনি তুর্কি নৌবাহিনীর টিসিজি আনাদলু যুদ্ধজাহাজের উদ্বোধন করে সেনাবাহিনীর শক্তি প্রদর্শন করেছিলেন। এবার ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের প্রেক্ষিতে তুর্কি প্রতিরক্ষা খাতের সক্ষমতা নিয়ে জনমত গড়ে তোলাই হতে পারে তাঁর নতুন প্রচারণা কৌশল।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, তুর্কি তরুণ সমাজ দেশের প্রতিরক্ষা খাতের অগ্রগতির দিকে ইতিবাচক মনোভাব রাখে। ফলে সামরিক সক্ষমতা ও প্রতিরক্ষা বাজেট বাড়ানোর ইস্যু নির্বাচনে এরদোয়ানের জন্য বাড়তি সুবিধা এনে দিতে পারে।

এছাড়া এই সংঘাতের সময় এরদোয়ানের পররাষ্ট্রনীতিও ছিল অনেক সংযত। তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলাদা চ্যানেলে যোগাযোগেরও চেষ্টা করেছিলেন।

সুতরাং, ইরান-ইসরায়েল সংঘাত তুরস্কের জন্য যেমন নিরাপত্তার হুমকি, তেমনি এরদোয়ানের জন্য নির্বাচনী সুবিধার বড় সুযোগও তৈরি করতে পারে।


Share

ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ শুধু মধ্যপ্রাচ্যের নয়, তুরস্কের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতেও বড় প্রভাব ফেলতে পারে। ইসরায়েল যখন ইরানের উপর সামরিক শক্তি প্রদর্শন করে হামলা চালায়, তখন তুর্কি নাগরিকদের মনে উদ্বেগ দেখা দেয় তুরস্কের নিজস্ব প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে।

পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞায় জর্জরিত হলেও ইরানকে তুর্কিরা বরাবরই সম্মান করে আসছে। তাদের দৃষ্টিতে ইরান একটি মহৎ ইতিহাস ও সংস্কৃতির দেশ এবং পশ্চিমা আধিপত্যের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরোধশক্তি। কিন্তু এই যুদ্ধের মাধ্যমে ইসরায়েলের বৃহত্তর আঞ্চলিক আধিপত্যের আশঙ্কা এখন তুরস্ককেও ভাবিয়ে তুলেছে।

সামরিক শক্তি ও প্রতিরক্ষা শিল্পে তুরস্ক কতটা প্রস্তুত — এই প্রশ্ন এখন তুর্কি জনগণের মুখে মুখে। বিশেষ করে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ২০২৭ সালের নির্বাচনে ফের প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আর এই পরিস্থিতি তাঁর জন্য রাজনৈতিক কৌশলের বড় সুযোগ হতে পারে।

২০২৩ সালের নির্বাচনের আগে তিনি তুর্কি নৌবাহিনীর টিসিজি আনাদলু যুদ্ধজাহাজের উদ্বোধন করে সেনাবাহিনীর শক্তি প্রদর্শন করেছিলেন। এবার ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের প্রেক্ষিতে তুর্কি প্রতিরক্ষা খাতের সক্ষমতা নিয়ে জনমত গড়ে তোলাই হতে পারে তাঁর নতুন প্রচারণা কৌশল।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, তুর্কি তরুণ সমাজ দেশের প্রতিরক্ষা খাতের অগ্রগতির দিকে ইতিবাচক মনোভাব রাখে। ফলে সামরিক সক্ষমতা ও প্রতিরক্ষা বাজেট বাড়ানোর ইস্যু নির্বাচনে এরদোয়ানের জন্য বাড়তি সুবিধা এনে দিতে পারে।

এছাড়া এই সংঘাতের সময় এরদোয়ানের পররাষ্ট্রনীতিও ছিল অনেক সংযত। তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলাদা চ্যানেলে যোগাযোগেরও চেষ্টা করেছিলেন।

সুতরাং, ইরান-ইসরায়েল সংঘাত তুরস্কের জন্য যেমন নিরাপত্তার হুমকি, তেমনি এরদোয়ানের জন্য নির্বাচনী সুবিধার বড় সুযোগও তৈরি করতে পারে।


Share