গোপালগঞ্জে নিহত ৪ জনের ময়নাতদন্ত হয়নি - Porikroma News
Connect with us

বাংলাদেশ

গোপালগঞ্জে নিহত ৪ জনের ময়নাতদন্ত হয়নি

Published

on

গোপালগঞ্জে নিহত ৪ জনের ময়নাতদন্ত হয়নি
নিহত (বা থেকে) রমজান কাজী, দীপ্ত সাহা, ইমন ও সোহেল মোল্লা। ছবি: সংগৃহীত

গোপালগঞ্জ সহিংসতায় নিহত ৪ জনের ময়নাতদন্ত হলো না, প্রশ্ন এড়িয়ে গেলেন ডিআইজি
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রা ঘিরে সংঘর্ষ ও গুলিতে নিহত চারজনের কারও সুরতহাল কিংবা ময়নাতদন্ত না করেই মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ইতিমধ্যে তাঁদের দাফন ও সৎকার সম্পন্ন হয়েছে।

নিহতরা হলেন—দীপ্ত সাহা (৩০), রমজান কাজী (১৭), সোহেল মোল্লা (৩৫) ও ইমন তালুকদার।

দীপ্ত সাহা শহরের উদয়ন রোডের বাসিন্দা ও একটি পোশাক দোকানের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। বুধবার রাতে পৌর শ্মশানে তার সৎকার করা হয়।

রমজান কাজী শহরে টাইলস মিস্ত্রির সহকারী হিসেবে কাজ করতেন। সংঘর্ষের সময় তিনি হেঁটে কাজে যাওয়ার পথে গুলিবিদ্ধ হন। রাতে শহরের কবরস্থানে দাফন করা হয়।

সোহেল মোল্লা ছিলেন মোবাইল ফোন ব্যবসায়ী। তার লাশ হাসপাতাল থেকে কোনো ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়াই স্বজনদের বুঝিয়ে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন মামা জাহিদুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় টুঙ্গিপাড়ায় পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

ইমন তালুকদার ছিলেন ক্রোকারিজ দোকানের কর্মচারী। তাকেও বৃহস্পতিবার সকালে দাফন করা হয়।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেন পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক। সাংবাদিকরা যখন নিহতদের ময়নাতদন্ত না হওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করেন, তখন তিনি বলেন, “বিষয়টি আইনি প্রক্রিয়ায় পরবর্তী সময়ে দেখা হবে।”

এ ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। নিহতদের পরিবার জানিয়েছে, তারা কোনো পোস্টমর্টেম রিপোর্ট, আইনগত কাগজ বা হাসপাতালের ডেথ সার্টিফিকেট পাননি।

Share

গোপালগঞ্জ সহিংসতায় নিহত ৪ জনের ময়নাতদন্ত হলো না, প্রশ্ন এড়িয়ে গেলেন ডিআইজি
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রা ঘিরে সংঘর্ষ ও গুলিতে নিহত চারজনের কারও সুরতহাল কিংবা ময়নাতদন্ত না করেই মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ইতিমধ্যে তাঁদের দাফন ও সৎকার সম্পন্ন হয়েছে।

নিহতরা হলেন—দীপ্ত সাহা (৩০), রমজান কাজী (১৭), সোহেল মোল্লা (৩৫) ও ইমন তালুকদার।

দীপ্ত সাহা শহরের উদয়ন রোডের বাসিন্দা ও একটি পোশাক দোকানের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। বুধবার রাতে পৌর শ্মশানে তার সৎকার করা হয়।

রমজান কাজী শহরে টাইলস মিস্ত্রির সহকারী হিসেবে কাজ করতেন। সংঘর্ষের সময় তিনি হেঁটে কাজে যাওয়ার পথে গুলিবিদ্ধ হন। রাতে শহরের কবরস্থানে দাফন করা হয়।

সোহেল মোল্লা ছিলেন মোবাইল ফোন ব্যবসায়ী। তার লাশ হাসপাতাল থেকে কোনো ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়াই স্বজনদের বুঝিয়ে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন মামা জাহিদুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় টুঙ্গিপাড়ায় পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

ইমন তালুকদার ছিলেন ক্রোকারিজ দোকানের কর্মচারী। তাকেও বৃহস্পতিবার সকালে দাফন করা হয়।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেন পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক। সাংবাদিকরা যখন নিহতদের ময়নাতদন্ত না হওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করেন, তখন তিনি বলেন, “বিষয়টি আইনি প্রক্রিয়ায় পরবর্তী সময়ে দেখা হবে।”

এ ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। নিহতদের পরিবার জানিয়েছে, তারা কোনো পোস্টমর্টেম রিপোর্ট, আইনগত কাগজ বা হাসপাতালের ডেথ সার্টিফিকেট পাননি।

Share