বাংলাদেশ
গোপালগঞ্জের পরিস্থিতি নিয়ে পুলিশের বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ

গোপালগঞ্জের সাম্প্রতিক সহিংস পরিস্থিতি নিয়ে একটি বিশদ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে ১১ দফায় সাজানো এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’ উপলক্ষে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ঘোষিত “মার্চ টু গোপালগঞ্জ” কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গত ১৬ জুলাই গোপালগঞ্জে সহিংসতার সূত্রপাত ঘটে। সকাল থেকেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর থাকলেও নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের সন্ত্রাসীরা পুলিশের ওপর হামলা করে, গাড়িতে আগুন দেয় এবং বিভিন্ন সড়কে গাছ ফেলে অবরোধ সৃষ্টি করে।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা মিছিল ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সভাস্থল ভাঙচুর করে। এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতাদের ওপর হামলা চালানো হয়, এমনকি পুলিশ ও সেনাবাহিনীর ওপরও আক্রমণ করা হয়। গোপালগঞ্জ জেলা কারাগারসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনাতেও হামলা চালানো হয়।
এই সহিংসতায় চারজন নিহত হন এবং প্রায় ৪৫ জন পুলিশ ও সাংবাদিকসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হন। পুলিশ জানায়, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও বিজিবি মিলে ১৫০৭ জন সদস্য।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়েছে।