৪ মাস পর গাজায় চিকিৎসা সামগ্রী পাঠাল ডব্লিউএইচও - Porikroma News
Connect with us

আন্তর্জাতিক

৪ মাস পর গাজায় চিকিৎসা সামগ্রী পাঠাল ডব্লিউএইচও

Published

on

ধ্বংসস্তূপের মধ্যে একটি বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি শিশু দাঁড়িয়ে আছে। ছবি : এএফপি
ধ্বংসস্তূপের মধ্যে একটি বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি শিশু দাঁড়িয়ে আছে। ছবি : এএফপি

প্রায় চার মাস পর গাজা উপত্যকায় চিকিৎসা সহায়তা পাঠাতে সক্ষম হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। ২ মার্চের পর এই প্রথমবারের মতো সংস্থাটি গাজায় ৯টি ট্রাকের মাধ্যমে জরুরি চিকিৎসা সামগ্রী, দুই হাজার ইউনিট রক্ত ও দেড় হাজার ইউনিট প্লাজমা পাঠিয়েছে। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে ডব্লিউএইচও এ তথ্য জানায়।

ডব্লিউএইচও প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রিয়েসাস এক্সে জানান, ‘এই চিকিৎসা সহায়তা বাস্তবে সমুদ্রে এক ফোঁটা পানির মতো।’ এই সরঞ্জামগুলো আগামী কয়েক দিনের মধ্যে গাজার অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত হাসপাতালগুলোর মধ্যে বিতরণ করা হবে।

ইসরায়েল ২ মার্চ গাজা উপত্যকায় সম্পূর্ণ অবরোধ আরোপ করে। প্রায় দুই মাস পর কিছু খাদ্যসামগ্রী ঢুকতে দেওয়া হলেও এ পর্যন্ত অন্য কোনো ধরনের সহায়তা ঢোকার অনুমতি ছিল না। অবশেষে কেরেম শালোম ক্রসিং দিয়ে এই চিকিৎসা সরঞ্জাম প্রবেশ করলো।

রক্ত ও প্লাজমা সরবরাহ করা হয়েছে নাসের মেডিক্যাল কমপ্লেক্সের কোল্ড স্টোরেজে, যেখান থেকে তা মারাত্মক সংকটে থাকা অন্যান্য হাসপাতালগুলোতে সরবরাহ করা হবে। গাজার ৩৬টি হাসপাতালের মধ্যে বর্তমানে মাত্র ১৭টি আংশিক বা সীমিত পরিসরে কার্যকর রয়েছে।

ডব্লিউএইচও প্রধান আরও জানান, তাদের চারটি ট্রাক এখনও সীমান্তে রয়েছে এবং আরও সহায়তা গাজার পথে। তিনি অবিলম্বে, বাধাহীন ও ধারাবাহিকভাবে চিকিৎসা সহায়তা প্রবেশের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।

এদিকে, ইসরায়েল গাজায় সামরিক অভিযান অব্যাহত রেখেছে। সরবরাহ ব্যবস্থা এখনও বিশৃঙ্খল এবং খাদ্য সংগ্রহ করতে আসা মানুষের ওপর প্রায় প্রতিদিনই ইসরায়েলি বাহিনীর গুলি চালানোর ঘটনা ঘটছে। ২৬ মে থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) নামে বিতরণব্যবস্থা চালু হলেও জাতিসংঘসহ বড় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো এতে যোগ দেয়নি।

ইসরায়েল জানায়, এই অভিযান হামাসকে পরাজিত করতে চালানো হচ্ছে, যারা ২০২৩ সালের অক্টোবরে নজিরবিহীন হামলার মাধ্যমে এই যুদ্ধের সূচনা করেছিল।

Share

প্রায় চার মাস পর গাজা উপত্যকায় চিকিৎসা সহায়তা পাঠাতে সক্ষম হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। ২ মার্চের পর এই প্রথমবারের মতো সংস্থাটি গাজায় ৯টি ট্রাকের মাধ্যমে জরুরি চিকিৎসা সামগ্রী, দুই হাজার ইউনিট রক্ত ও দেড় হাজার ইউনিট প্লাজমা পাঠিয়েছে। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে ডব্লিউএইচও এ তথ্য জানায়।

ডব্লিউএইচও প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রিয়েসাস এক্সে জানান, ‘এই চিকিৎসা সহায়তা বাস্তবে সমুদ্রে এক ফোঁটা পানির মতো।’ এই সরঞ্জামগুলো আগামী কয়েক দিনের মধ্যে গাজার অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত হাসপাতালগুলোর মধ্যে বিতরণ করা হবে।

ইসরায়েল ২ মার্চ গাজা উপত্যকায় সম্পূর্ণ অবরোধ আরোপ করে। প্রায় দুই মাস পর কিছু খাদ্যসামগ্রী ঢুকতে দেওয়া হলেও এ পর্যন্ত অন্য কোনো ধরনের সহায়তা ঢোকার অনুমতি ছিল না। অবশেষে কেরেম শালোম ক্রসিং দিয়ে এই চিকিৎসা সরঞ্জাম প্রবেশ করলো।

রক্ত ও প্লাজমা সরবরাহ করা হয়েছে নাসের মেডিক্যাল কমপ্লেক্সের কোল্ড স্টোরেজে, যেখান থেকে তা মারাত্মক সংকটে থাকা অন্যান্য হাসপাতালগুলোতে সরবরাহ করা হবে। গাজার ৩৬টি হাসপাতালের মধ্যে বর্তমানে মাত্র ১৭টি আংশিক বা সীমিত পরিসরে কার্যকর রয়েছে।

ডব্লিউএইচও প্রধান আরও জানান, তাদের চারটি ট্রাক এখনও সীমান্তে রয়েছে এবং আরও সহায়তা গাজার পথে। তিনি অবিলম্বে, বাধাহীন ও ধারাবাহিকভাবে চিকিৎসা সহায়তা প্রবেশের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।

এদিকে, ইসরায়েল গাজায় সামরিক অভিযান অব্যাহত রেখেছে। সরবরাহ ব্যবস্থা এখনও বিশৃঙ্খল এবং খাদ্য সংগ্রহ করতে আসা মানুষের ওপর প্রায় প্রতিদিনই ইসরায়েলি বাহিনীর গুলি চালানোর ঘটনা ঘটছে। ২৬ মে থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) নামে বিতরণব্যবস্থা চালু হলেও জাতিসংঘসহ বড় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো এতে যোগ দেয়নি।

ইসরায়েল জানায়, এই অভিযান হামাসকে পরাজিত করতে চালানো হচ্ছে, যারা ২০২৩ সালের অক্টোবরে নজিরবিহীন হামলার মাধ্যমে এই যুদ্ধের সূচনা করেছিল।

Share