বাংলাদেশ
শেষ সময়ে পাইলটের ‘এক্সিট’ রহস্য বাড়াচ্ছে: বিশেষজ্ঞ

মাত্র ১২ মিনিট আকাশে ছিলো চীনের তৈরি এফটি-৭ বিজিআই যুদ্ধ বিমান। সোমবার দুপুর ১টা ৬ মিনিটে ঢাকার তেজগাঁও রানওয়ে থেকে উড্ডয়ন করার পর ১টা ১৮ মিনিটে দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন কলেজ ভবনে আছড়ে পড়ে এটি। ভয়াবহ এ দুর্ঘটনায় প্রাণহানির পাশাপাশি জাতির মনে একাধিক প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিমানটির গতি ছিল শেষ সময়ে ১৬০-১৭০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। পাইলট ছিলেন অভিজ্ঞ এবং একাধিকবার ফ্লাই করার রেকর্ড রয়েছে তার। তাহলে শেষ মুহূর্তে কেনো তিনি ‘এক্সিট’ বাটন চাপলেন, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বিমান দুর্ঘটনা তদন্ত কমিটির প্রধান ক্যাপ্টেন (অব.) সালাউদ্দিন এম রহমতুল্লাহ।
তিনি বলেন, “শুধু যান্ত্রিক ত্রুটি নয়, পাইলটের শারীরিক বা মানসিক অবস্থা দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে।”
প্রশ্ন উঠেছে, জনবহুল এলাকায় কেনো এই প্রশিক্ষণ বিমান উড়তে দেওয়া হলো? উত্তরে সালাউদ্দিন জানান, “ঢাকা ও চট্টগ্রামের বাইরে উপযুক্ত রানওয়ে না থাকার কারণে বাধ্য হয়েই এখানে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলে।” তিনি আরও অভিযোগ করেন, “স্বাধীনতার পর থেকে বিমান বাহিনীর আধুনিকায়ন ইচ্ছাকৃতভাবে উপেক্ষিত হয়েছে। যার ফলে আজও বাংলাদেশকে চীনের তৈরি, ২০১৩ সালে উৎপাদন বন্ধ হওয়া এফটি-৭ বিজিআই ব্যবহার করতে হচ্ছে।”
ঘটনার গভীরে যেতে তদন্ত চলছে, তবে একসঙ্গে এত প্রাণহানি আর জনবহুল এলাকায় এমন দুর্ঘটনা নিয়ে জনমনে ক্ষোভ বাড়ছে।