মতামত
আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্সের নিয়ম কী, আসিফ মাহমুদ পেলেন কীভাবে?

বাংলাদেশে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও ব্যবসায়িক প্রয়োজনে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স নিতে চাইলে কঠিন কিছু শর্ত পূরণ করতে হয়। লাইসেন্স পেতে বয়স, আয়কর, প্রাক্-পরিচয় যাচাই এবং পুলিশের তদন্তসহ জেলা প্রশাসক ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন প্রয়োজন। মূলত পিস্তল, রিভলবার ও শটগানের লাইসেন্স দেওয়া হয়।
পিস্তল বা রিভলবারের লাইসেন্স পেতে আবেদনকারীর বয়স ৩০ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে হতে হবে এবং ধারাবাহিক তিন বছর আয়করদাতা হতে হবে। তবে মন্ত্রী-উপদেষ্টা বা সমপদমর্যাদার ব্যক্তিদের জন্য এসব শর্ত শিথিল রয়েছে।
সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার বৈধ আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। তিনি জানান, গণ-অভ্যুত্থানের নেতাদের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা হওয়ায় নিজের নিরাপত্তায় লাইসেন্স করা অস্ত্র রাখেন।
নীতিমালা অনুযায়ী, উপদেষ্টা পদমর্যাদায় থাকায় আসিফ মাহমুদের জন্য বয়স ৩০ এবং তিন বছর আয়কর দেয়ার বাধ্যবাধকতা নেই। ফলে নীতিমালার আওতায় তিনি বৈধ লাইসেন্স পেয়েছেন।
তবে লাইসেন্স পাওয়ার পর অস্ত্র ব্যবহারের কঠোর নিয়ম আছে। প্রকাশ্যে প্রদর্শন, ভয়ভীতি ছড়ানো, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করলে লাইসেন্স বাতিলের বিধান রয়েছে।
দেশে বর্তমানে প্রায় ৫০ হাজার বৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স রয়েছে। অস্ত্র ব্যবহার যেন নিয়ন্ত্রিত ও দায়িত্বশীল হয়—এটাই আইনের মূল উদ্দেশ্য।