রাজনীতি
তত্ত্বাবধায়ক সরকার আলোচনায় সিদ্ধান্ত হয়নি

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনায় আলোচনার মূল বিষয় ছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা। তবে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে না পৌঁছে এ বিষয়ে আলোচনা আপাতত মুলতবির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার আলোচনার মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে রাজনৈতিক দলগুলো জানায়, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাঠামো নির্ভরশীল সংসদের উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষের ওপর। ফলে আগে উচ্চকক্ষ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, অতীতে তত্ত্বাবধায়ক প্রধানের সঙ্গে বিচার বিভাগের অভিজ্ঞতা সুখকর ছিল না। ফলে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত সংসদের হাতে রাখার বিষয়ে অধিকাংশ দল মত দিয়েছে।
এ লক্ষ্যে উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষ মিলিয়ে সাত সদস্যের কমিটি গঠনের প্রস্তাব এসেছে। এই কমিটি জাতীয় নির্বাচনের আগে প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচিত করবে।
বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নাম ও ক্ষমতার কাঠামো বদল প্রয়োজন। শুধু তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ওপর নির্ভর করলে রাষ্ট্রীয় সংস্কার প্রশ্নবিদ্ধ হবে।
এছাড়া প্রধান বিচারপতি নিয়োগ নিয়েও আলোচনা হয়। অধিকাংশ দল জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে দুজন বিচারপতির মধ্য থেকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগের প্রস্তাব দেয়। এবি পার্টির মহাসচিব আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, অনেক বিচারপতির নিয়োগ ছিল দলীয় স্বার্থে। তাই বিচার বিভাগ ঢেলে সাজানোর দাবি তুলেছেন তিনি।
নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে কমিশনের আলোচনা চলমান রয়েছে।