আন্তর্জাতিক
অন্ধকারে নতুন কৌশলে পুশইন বিএসএফের, পঞ্চগড় সীমান্তে আতঙ্ক

পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার ডানাকাটা সীমান্তে রাতের আঁধারে সীমান্তের বাতি নিভিয়ে বাংলাদেশি নাগরিকদের পুশইন করছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। শুক্রবার (১৬ মে) গভীর রাতে এ ধরনের পুশইনের ঘটনায় সীমান্ত এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
স্থানীয়রা জানান, রাত ১২টা থেকে ১টার দিকে কাঁটাতারের ওপরে থাকা লাইট বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর কয়েকজনকে অন্ধকারে দেখতে পেয়ে আটক করে বিজিবিকে খবর দেন তারা। সীমান্তবাসীদের দাবি, বিএসএফ এখন পরিকল্পিতভাবে সীমান্তের লাইট বন্ধ করে পুশইনের নতুন কৌশল নিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা বিপ্লব ইসলাম বলেন, “রাতের নিরবতায় শব্দ শুনে ঘুম ভেঙে দেখি লাইট বন্ধ। এরপর অন্ধকারে কয়েকজনকে দেখতে পেয়ে বিজিবিকে খবর দেই।”
অন্য বাসিন্দা অলিয়ার জানান, “বিএসএফ এখন নতুন কৌশলে পুশইন করছে। তাই আমরাও সতর্ক অবস্থানে আছি।”
এদিকে, নীলফামারী-৫৬ বিজিবির অধীনস্থ পৃথক সীমান্ত এলাকা মালকাডাঙ্গা থেকে শিশুসহ ১১ জনকে শনিবার (১৭ মে) পর্যন্ত আটক করে বোদা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানান, দীর্ঘদিন ধরে ভারতের বিভিন্ন এলাকায় অবৈধভাবে বসবাস ও কাজ করছিলেন। গত ২ মে ভারতের বোম্বে থেকে পুলিশ তাদের আটক করে এবং শিলিগুড়ি বিমানবন্দর হয়ে ১৭ মে পর্যন্ত ১২৫ জন বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হয়। এর মধ্যে ১১ জনকে পঞ্চগড় সীমান্তে পুশইন করা হয়।
আটকরা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক এবং তাদের বাড়ি সাতক্ষীরা, খুলনা, নরসিংদী, ফরিদপুর, নোয়াখালী, নারায়ণগঞ্জ, যশোর, নড়াইল ও ময়মনসিংহের বিভিন্ন জেলায়।
আরও পড়ুন
বিজিবির ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর রিয়াদ মোর্শেদ বলেন, “আটক ব্যক্তিরা ভারতের অভ্যন্তরে কাজ করছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।”
বোদা থানার ওসি আজিম উদ্দীন জানান, “আটকদের বিরুদ্ধে পাসপোর্ট আইনে মামলা দিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।”
অন্যদিকে, ১০ বছর বয়সী শিশুকে সমাজসেবা অধিদফতরের সহায়তায় প্রকৃত অভিভাবকের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।