জাতীয়
বিদেশি সহায়তা কমছে, চ্যালেঞ্জে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন কার্যক্রম

বিদেশি সহায়তা হ্রাসে সংকটে উন্নয়ন কার্যক্রম, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কল্যাণে চ্যালেঞ্জ
ঢাকা, ৮ মে ২০২৫: বাংলাদেশে বৈদেশিক উন্নয়ন সহায়তা ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে, যার সরাসরি প্রভাব পড়ছে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন ও সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমে। রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টার ইন-এ একশনএইড বাংলাদেশের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এক গোলটেবিল বৈঠকে এই বিষয়ে উদ্বেগ জানান বিভিন্ন খাতের বিশেষজ্ঞরা।
সহায়তা হ্রাসের প্রধান কারণ
- বাংলাদেশের এলডিসি (LDC) থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণ
- বিশ্বব্যাপী দাতাদের অনীহা
- আন্তর্জাতিক সংকটে সহায়তা খাতে মনোযোগের ঘাটতি
- উন্নত দেশগুলোর সাহায্য নীতির পরিবর্তন
বিশেষজ্ঞদের মতামত
ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম (সিপিডি): এলডিসি উত্তরণে সিভিল সোসাইটি সংগঠনগুলোর প্রভাব কমে যেতে পারে। তাই জাতীয় CSR ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি এবং বেসরকারি খাতকে সম্পৃক্ত করা জরুরি।
ফারাহ্ কবির (একশনএইড): তহবিল সংকটে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা, সামাজিক সুরক্ষা, বিশেষ করে নারী ও শিশুরা বড় ঝুঁকিতে পড়ছে।
এম জাকির হোসেন খান (চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভ): প্রকৃতিনির্ভর সমাধান ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ এবং যাকাত তহবিল ব্যবহারের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত।
ড. শারমিন নিলোর্মি (জাবি): পরিকল্পনার পাশাপাশি বাস্তবায়নের ওপর জোর দিতে হবে। কর সুবিধা তৃণমূল সিএসওদের উন্নয়নে কাজে লাগাতে হবে।
সহায়তা কমার প্রভাব
- ২০২০ সালে সহায়তা ছিল প্রায় $1 বিলিয়ন
- ২০২৪ সালে তা কমে দাঁড়ায় $655 মিলিয়ন
- এক বছরে কমেছে প্রায় ১১.৬%
- বহু প্রকল্প বন্ধ বা স্থগিত
সম্ভাব্য সমাধান ও পথ খোঁজা
- বিকল্প অর্থায়নের উৎস (CSR, ক্ষুদ্রঋণ, সামাজিক ব্যবসা)
- সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব
- ডিজিটাল ও কাঠামোগত সংস্কার
- জাতীয় বাজেটে প্রান্তিক জনগণের জন্য আলাদা বরাদ্দ
উপসংহার
বিদেশি সাহায্যের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়ন কার্যক্রমকে টেকসই করার জন্য এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। কমিউনিটি পর্যায়ের সহায়তা, সুশাসন, এবং উদ্ভাবনী অর্থায়ন পদ্ধতিই ভবিষ্যতের পথ দেখাবে।