Connect with us

আন্তর্জাতিক

চীনের সামরিক শক্তি বৃদ্ধি কার জন্য হুমকি

Published

on

বিশ্ব আজ ক্রমেই বিভক্ত হচ্ছে দুই পরাশক্তির কেন্দ্রবিন্দুতে—
একদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্ররা, ভিডিও সাজেশন করো এবং story bord তৈরি করে দাও
অন্যদিকে চীন ও তাদের বর্ধিত প্রভাববলয়।

বিশ্ব আজ ক্রমেই বিভক্ত হচ্ছে দুই পরাশক্তির কেন্দ্রবিন্দুতে—
একদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্ররা, ভিডিও সাজেশন করো এবং story bord তৈরি করে দাও
অন্যদিকে চীন ও তাদের বর্ধিত প্রভাববলয়।

চীন বর্তমানে যে পরিমাণে সামরিক এবং প্রযুক্তিগত সম্প্রসারণ ঘটাচ্ছে, তা শুধু তার প্রতিবেশীদের নয়—
সারা বিশ্বের জন্য এক নতুন হিসাবের সূত্র তৈরি করে দিচ্ছে।
চলুন সংখেপে জেনে নেইthe 2022 National Security strategy of People’s Republic of China এর আওতায় বর্তমানে ঠিক কোন কোন সামরিক ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট চলমান
১. সামরিক বাজেটের রেকর্ড বৃদ্ধিঃ

চীন বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম সামরিক বাজেটধারী দেশ (যুক্তরাষ্ট্রের পর)।
২০২4 সালে চীনের প্রতিরক্ষা বাজেট ছিল প্রায় ২২৫ বিলিয়ন ডলার, যা ২০০০ সালের তুলনায় প্রায় ৮ গুণ বৃদ্ধি।
• এই অর্থ দিয়ে চীন তৈরি করছে নতুন যুদ্ধজাহাজ, অত্যাধুনিক ফাইটার জেট, সাবমেরিন, ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন প্রযুক্তি।
• “Civil-Military Fusion” নীতির মাধ্যমে তারা বেসরকারি প্রযুক্তি কোম্পানিকেও সামরিক কাজে ব্যবহার করছে।

২. নৌবাহিনী – বিশ্বের সবচেয়ে বড়:

চীন বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম নৌবাহিনী গঠন করেছে, জাহাজের সংখ্যার দিক থেকে।
• রয়েছে ৩৫০+ যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিন।
• অন্তত ৩টি বিমানবাহী রণতরী, যার মধ্যে “Fujian” হল সম্পূর্ণ আধুনিক বৈদ্যুতিক ক্যাটাপল্ট প্রযুক্তির বিমানবাহী জাহাজ।
• দক্ষিণ চীন সাগরে তৈরি করেছে কৃত্রিম দ্বীপ—সেখানে সামরিক ঘাঁটি ও এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম বসানো হয়েছে।

৩. বিমানবাহিনী – প্রযুক্তিগত বিপ্লব:

চীন তাদের বিমানবাহিনীকে আপগ্রেড করেছে ৫ম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান দিয়ে।
• J-20 “Mighty Dragon” ফিফথ জেনারেশন স্টেলথ ফাইটার ইতিমধ্যেই সার্ভিসে।
• J-31 নামে আরও একটি স্টেলথ জেট প্রস্তুত হচ্ছে রপ্তানির জন্য।
• ড্রোনের ব্যবহারেও চীন এখন বিশ্বে অন্যতম শীর্ষস্থানীয়, যেমন: Wing Loong ও CH সিরিজের ড্রোন।

৪. ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণবিক শক্তি বিস্তার:

চীন এখন কৌশলগত মিসাইল প্রযুক্তিতে বিশাল অগ্রগতি লাভ করেছে।
• DF-21D (Carrier Killer) ও DF-26 এর মত দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র যা সরাসরি বিমানবাহী রণতরী টার্গেট করতে পারে।
• Hypersonic Glide Vehicle (HGV) – চীন ২০২১ সালে একটি হাইপারসনিক অস্ত্র পরীক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রকেও চমকে দিয়েছে।
• পারমাণবিক ওয়ারহেডের সংখ্যা দ্রুত বাড়ানো হচ্ছে, যার মাধ্যমে তারা তৃতীয়-স্থানে চলে আসছে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার পর।

৫. কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও সাইবার যুদ্ধ:

চীন এখন AI ভিত্তিক সামরিক সিস্টেমে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগকারী দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম।
• স্বয়ংক্রিয় ড্রোন স্কোয়াড, রোবোটিক অস্ত্র, AI-চালিত কমান্ড সিস্টেম তৈরি করছে।
• সাইবার হামলা ও তথ্য যুদ্ধে চীনের স্পেশাল ইউনিট “Unit 61398” বিশ্বজুড়ে আলোচিত।
• ভবিষ্যতের যুদ্ধ হবে প্রযুক্তিনির্ভর—এতে চীন জেতার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।

৬. মহাকাশ সামরিকায়ন:

চীন শুধুমাত্র মাটিতে নয়, মহাকাশেও সামরিক উপস্থিতি বাড়াচ্ছে।
• BeiDou Navigation System দিয়ে নিজেদের উপগ্রহ-নির্ভর গাইডেন্স তৈরি করেছে, GPS এর বিকল্প হিসেবে।
• মহাকাশে স্যাটেলাইট ধ্বংসকারী অস্ত্র (ASAT) তৈরি করেছে।
• ভবিষ্যতের স্পেস ওয়ারফেয়ারে অংশ নিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে PLA Space Force।

Share
Continue Reading
Click to comment

বিশ্ব আজ ক্রমেই বিভক্ত হচ্ছে দুই পরাশক্তির কেন্দ্রবিন্দুতে—
একদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্ররা, ভিডিও সাজেশন করো এবং story bord তৈরি করে দাও
অন্যদিকে চীন ও তাদের বর্ধিত প্রভাববলয়।

বিশ্ব আজ ক্রমেই বিভক্ত হচ্ছে দুই পরাশক্তির কেন্দ্রবিন্দুতে—
একদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্ররা, ভিডিও সাজেশন করো এবং story bord তৈরি করে দাও
অন্যদিকে চীন ও তাদের বর্ধিত প্রভাববলয়।

চীন বর্তমানে যে পরিমাণে সামরিক এবং প্রযুক্তিগত সম্প্রসারণ ঘটাচ্ছে, তা শুধু তার প্রতিবেশীদের নয়—
সারা বিশ্বের জন্য এক নতুন হিসাবের সূত্র তৈরি করে দিচ্ছে।
চলুন সংখেপে জেনে নেইthe 2022 National Security strategy of People’s Republic of China এর আওতায় বর্তমানে ঠিক কোন কোন সামরিক ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট চলমান
১. সামরিক বাজেটের রেকর্ড বৃদ্ধিঃ

চীন বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম সামরিক বাজেটধারী দেশ (যুক্তরাষ্ট্রের পর)।
২০২4 সালে চীনের প্রতিরক্ষা বাজেট ছিল প্রায় ২২৫ বিলিয়ন ডলার, যা ২০০০ সালের তুলনায় প্রায় ৮ গুণ বৃদ্ধি।
• এই অর্থ দিয়ে চীন তৈরি করছে নতুন যুদ্ধজাহাজ, অত্যাধুনিক ফাইটার জেট, সাবমেরিন, ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন প্রযুক্তি।
• “Civil-Military Fusion” নীতির মাধ্যমে তারা বেসরকারি প্রযুক্তি কোম্পানিকেও সামরিক কাজে ব্যবহার করছে।

২. নৌবাহিনী – বিশ্বের সবচেয়ে বড়:

চীন বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম নৌবাহিনী গঠন করেছে, জাহাজের সংখ্যার দিক থেকে।
• রয়েছে ৩৫০+ যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিন।
• অন্তত ৩টি বিমানবাহী রণতরী, যার মধ্যে “Fujian” হল সম্পূর্ণ আধুনিক বৈদ্যুতিক ক্যাটাপল্ট প্রযুক্তির বিমানবাহী জাহাজ।
• দক্ষিণ চীন সাগরে তৈরি করেছে কৃত্রিম দ্বীপ—সেখানে সামরিক ঘাঁটি ও এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম বসানো হয়েছে।

৩. বিমানবাহিনী – প্রযুক্তিগত বিপ্লব:

চীন তাদের বিমানবাহিনীকে আপগ্রেড করেছে ৫ম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান দিয়ে।
• J-20 “Mighty Dragon” ফিফথ জেনারেশন স্টেলথ ফাইটার ইতিমধ্যেই সার্ভিসে।
• J-31 নামে আরও একটি স্টেলথ জেট প্রস্তুত হচ্ছে রপ্তানির জন্য।
• ড্রোনের ব্যবহারেও চীন এখন বিশ্বে অন্যতম শীর্ষস্থানীয়, যেমন: Wing Loong ও CH সিরিজের ড্রোন।

৪. ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণবিক শক্তি বিস্তার:

চীন এখন কৌশলগত মিসাইল প্রযুক্তিতে বিশাল অগ্রগতি লাভ করেছে।
• DF-21D (Carrier Killer) ও DF-26 এর মত দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র যা সরাসরি বিমানবাহী রণতরী টার্গেট করতে পারে।
• Hypersonic Glide Vehicle (HGV) – চীন ২০২১ সালে একটি হাইপারসনিক অস্ত্র পরীক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রকেও চমকে দিয়েছে।
• পারমাণবিক ওয়ারহেডের সংখ্যা দ্রুত বাড়ানো হচ্ছে, যার মাধ্যমে তারা তৃতীয়-স্থানে চলে আসছে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার পর।

৫. কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও সাইবার যুদ্ধ:

চীন এখন AI ভিত্তিক সামরিক সিস্টেমে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগকারী দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম।
• স্বয়ংক্রিয় ড্রোন স্কোয়াড, রোবোটিক অস্ত্র, AI-চালিত কমান্ড সিস্টেম তৈরি করছে।
• সাইবার হামলা ও তথ্য যুদ্ধে চীনের স্পেশাল ইউনিট “Unit 61398” বিশ্বজুড়ে আলোচিত।
• ভবিষ্যতের যুদ্ধ হবে প্রযুক্তিনির্ভর—এতে চীন জেতার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।

৬. মহাকাশ সামরিকায়ন:

চীন শুধুমাত্র মাটিতে নয়, মহাকাশেও সামরিক উপস্থিতি বাড়াচ্ছে।
• BeiDou Navigation System দিয়ে নিজেদের উপগ্রহ-নির্ভর গাইডেন্স তৈরি করেছে, GPS এর বিকল্প হিসেবে।
• মহাকাশে স্যাটেলাইট ধ্বংসকারী অস্ত্র (ASAT) তৈরি করেছে।
• ভবিষ্যতের স্পেস ওয়ারফেয়ারে অংশ নিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে PLA Space Force।

Share