Connect with us

বাংলাদেশ

‘কলিজা টানি ছিড়ি ফেলবো, হুমকি বিএনপির – আনিছুর রহমানের

Published

on

‘কলিজা টানি ছিড়ি ফেলবো, একবারে টানি ছিড়ি ফেলবো তোমার, চেনো তুমি-এ চেনো!খুব পাওয়ার দেখাও, একবারে নিশ্চিহ্ন করে দেবো তোমাকে, চেনো বিএনপিক। এ তোমার নামে আমি মামলা দেবো। আমি থানায় যায়া ওখানে লিখবো, উয়াক অ্যারেস্ট করি দিয়ো, তারপরে আমি আসবো।’

কথাগুলো কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আনিছুর রহমানের। তার এ ধরনের হুমকির ৩৮ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

বুধবার সকাল থেকে ছড়িয়ে পড়া এ ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

রাজারহাট উপজেলার জামায়াতের সহযোগী সংগঠনের নেতা রুবেল মিয়াকে এ হুমকি দেন তিনি।

চাঁদাবাজির সময় হাতেনাতে, বিএনপি-যুবদলের ৩ নেতাকে আটক করেছে সেনাবাহিনী

রুবেল মিয়া বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন রাজারহাট শাখার বায়তুল মাল সম্পাদক ও রাজারহাট স্কুল এন্ড কলেজের আইসিটির সহকারি শিক্ষক। তিনি বলেন, মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে চান্দামারী দ্বি-মুখি উচ্চ বিদ্যালয়ে কমিটি নিয়ে অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।  এ সময় বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদের জন্য রাজারহাট উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আনিছুর রহমান তিন জনের নাম প্রস্তাব করেন।

তারা হলেন— রাজারহাট উপজেলা বিএনপির যুগ্মআহবায়ক রুশো চৌধুরী, যুগ্মআহবায়ক বাদশা মিয়ার ছোট ভাই শাহ আলম মাস্টার এবং উপজেলা যুবদলের যুগ্মআহবায়ক ওয়াজেদ আলীর সহধর্মিনী রহিমা বেগম।

তিনি বলেন, এ তালিকা নিয়ে আমি প্রতিবাদ জানিয়ে রাজারহাট উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট আহমদ আলীর নাম প্রস্তাব করি। সেখানে বাকবিতণ্ডা হয়।

বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে রাজারহাট বাজারে থানা মোড়ে আনিছুর রহমানের নেতৃত্বে কয়েকজন আমাকে পথরোধ করে পাশে একটি ফার্মেসিতে নিয়ে যায়। সেখানে আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে চড়, থাপ্পড় মেরে লাঞ্ছিত করে এবং গালিগালাজ করে। বিষয়টি আমার দলের উর্ধ্বতন নেতাদের জানিয়েছি। নিরাপত্তাজনিত কারণে মামলা করিনি।

রাজারহাট উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আনিছুর রহমান বলেন, ‘রুবেল মিয়া শিবির করে। সে বিএনপিকে নিয়ে ফেসবুকে মিথ্যা কথা ছড়িয়ে দিয়েছিল। এ বিষয়ে তাকে বলা হলে সে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চায়। পরে তাকে নিয়ে ছাত্রদল ও যুবদলের ছেলেরা চা-নাস্তা করে। সুন্দরভাবে তারা সেখান থেকে বিদায় নিয়ে চলে যায়। কিন্তু সে ওই ঘটনার পুরো ভিডিও না দিয়ে শুধুমাত্র আমার কথার অংশটুকু অন্য একজনের ফেসবুক থেকে ছড়িয়ে দিয়েছে। ’

বিএনপির অভিযুক্ত এই নেতা আরও বলেন, রুবেল মিয়া উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে মীমাংসিত বিষয়টি ভিন্নভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির পাঁয়তারা করছেন।

 

Share
Continue Reading
Click to comment

‘কলিজা টানি ছিড়ি ফেলবো, একবারে টানি ছিড়ি ফেলবো তোমার, চেনো তুমি-এ চেনো!খুব পাওয়ার দেখাও, একবারে নিশ্চিহ্ন করে দেবো তোমাকে, চেনো বিএনপিক। এ তোমার নামে আমি মামলা দেবো। আমি থানায় যায়া ওখানে লিখবো, উয়াক অ্যারেস্ট করি দিয়ো, তারপরে আমি আসবো।’

কথাগুলো কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আনিছুর রহমানের। তার এ ধরনের হুমকির ৩৮ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

বুধবার সকাল থেকে ছড়িয়ে পড়া এ ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

রাজারহাট উপজেলার জামায়াতের সহযোগী সংগঠনের নেতা রুবেল মিয়াকে এ হুমকি দেন তিনি।

চাঁদাবাজির সময় হাতেনাতে, বিএনপি-যুবদলের ৩ নেতাকে আটক করেছে সেনাবাহিনী

রুবেল মিয়া বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন রাজারহাট শাখার বায়তুল মাল সম্পাদক ও রাজারহাট স্কুল এন্ড কলেজের আইসিটির সহকারি শিক্ষক। তিনি বলেন, মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে চান্দামারী দ্বি-মুখি উচ্চ বিদ্যালয়ে কমিটি নিয়ে অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।  এ সময় বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদের জন্য রাজারহাট উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আনিছুর রহমান তিন জনের নাম প্রস্তাব করেন।

তারা হলেন— রাজারহাট উপজেলা বিএনপির যুগ্মআহবায়ক রুশো চৌধুরী, যুগ্মআহবায়ক বাদশা মিয়ার ছোট ভাই শাহ আলম মাস্টার এবং উপজেলা যুবদলের যুগ্মআহবায়ক ওয়াজেদ আলীর সহধর্মিনী রহিমা বেগম।

তিনি বলেন, এ তালিকা নিয়ে আমি প্রতিবাদ জানিয়ে রাজারহাট উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট আহমদ আলীর নাম প্রস্তাব করি। সেখানে বাকবিতণ্ডা হয়।

বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে রাজারহাট বাজারে থানা মোড়ে আনিছুর রহমানের নেতৃত্বে কয়েকজন আমাকে পথরোধ করে পাশে একটি ফার্মেসিতে নিয়ে যায়। সেখানে আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে চড়, থাপ্পড় মেরে লাঞ্ছিত করে এবং গালিগালাজ করে। বিষয়টি আমার দলের উর্ধ্বতন নেতাদের জানিয়েছি। নিরাপত্তাজনিত কারণে মামলা করিনি।

রাজারহাট উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আনিছুর রহমান বলেন, ‘রুবেল মিয়া শিবির করে। সে বিএনপিকে নিয়ে ফেসবুকে মিথ্যা কথা ছড়িয়ে দিয়েছিল। এ বিষয়ে তাকে বলা হলে সে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চায়। পরে তাকে নিয়ে ছাত্রদল ও যুবদলের ছেলেরা চা-নাস্তা করে। সুন্দরভাবে তারা সেখান থেকে বিদায় নিয়ে চলে যায়। কিন্তু সে ওই ঘটনার পুরো ভিডিও না দিয়ে শুধুমাত্র আমার কথার অংশটুকু অন্য একজনের ফেসবুক থেকে ছড়িয়ে দিয়েছে। ’

বিএনপির অভিযুক্ত এই নেতা আরও বলেন, রুবেল মিয়া উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে মীমাংসিত বিষয়টি ভিন্নভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির পাঁয়তারা করছেন।

 

Share