বরগুনায় বিকাশ কর্মকর্তাদের লোন স্ক্যাম, বেটিং ও হুন্ডি চক্রে জড়িত থাকার অভিযোগ - Porikroma News
Connect with us

অপরাধ

বরগুনায় বিকাশ কর্মকর্তাদের লোন স্ক্যাম, বেটিং ও হুন্ডি চক্রে জড়িত থাকার অভিযোগ

Published

on

অনলাইন এডমিন:বরগুনা বিকাশ ডিস্ট্রিবিউটর অফিসের তিনজন ডিস্ট্রিক্ট সেলস অফিসারকে (ডিএসও) লোন স্ক্যাম কার্যক্রমে জড়িত থাকার অভিযোগে শো-কজ নোটিশ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, তারা বিভিন্ন ক্যাম্পেইনের আওতায় এজেন্ট সিম ব্যবহার করে ভুয়া লেনদেন দেখিয়ে ব্যক্তিগতভাবে আর্থিক সুবিধা নিয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানায়, এ ধরনের কার্যক্রম কোম্পানির নীতিমালা ও শৃঙ্খলার পরিপন্থী। অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে আইন অনুযায়ী শাস্তি ও চাকরিচ্যুত করার বিধান রয়েছে।কোম্পানি আরও জানিয়েছে, এ ধরনের কর্মকাণ্ড চলতে থাকলে কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বর্তমানে অভিযুক্ত তিন ডিএসও—পান্থ, রাকিব ও মেহেদীর বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।

এই বিষয়ে ডিএসও রাকিব বলেন, ২০২৪ সালের নভেম্বরে তিনি বরগুনা ডিস্ট্রিবিউটর বিকাশ অফিসে যোগ দেন। চাকরির কয়েক মাস পর ২০২৫ সালের এপ্রিলে আল-আমীন নামে এক ব্যক্তি তাকে অবৈধ লেনদেনের প্রস্তাব দেন। পরে রাকিব বিষয়টি স্থানীয় দৈনিক কালবেলার প্রতিনিধি আসাদ সবুজকে জানান। সাংবাদিক আসাদ সবুজের কাছে আগেই কিছু তথ্য থাকায় তিনি রাকিবকে চক্রটির সঙ্গে যুক্ত হয়ে তথ্য সংগ্রহের পরামর্শ দেন। রাকিবের দাবি, প্রতিমাসে এ সিন্ডিকেট কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এবং লোন স্ক্যামিংয়ের সঙ্গেও জড়িত। তিনি যে সব তথ্য সংগ্রহ করেছেন, সেগুলো এখন সাংবাদিক আসাদ সবুজের কাছে রয়েছে।

বরগুনা বিকাশ এজেন্ট পয়েন্টের ডিএসও পান্থ জানান, শুধু লোন স্ক্যাম নয়, এখান থেকে অনলাইন ক্যাসিনোর পেমেন্ট লেনদেনও হয়ে থাকে। এসব কার্যক্রমে সরাসরি যুক্ত রয়েছেন ওই এজেন্ট পয়েন্টের বর্তমান ম্যানেজার মিঠুন চন্দ্র রায়। পান্থের দাবি, ম্যানেজারের কাছে এখনও তিনটি এজেন্ট সিম রয়েছে। এর মধ্যে একটি ‘মিঠুন ফ্যাশন’ নামে সক্রিয়, বাকি দুটি সম্পর্কে পান্থ বিস্তারিত জানাতে পারেননি।তিনি আরও জানান, একবার আল-আমীনের ১ লাখ ১০ হাজার টাকা আটকে দেন ডিএসও পান্থ ও মেহেদী। এ বিষয়ে ম্যানেজারকে জানানো হলে কিছুটা সময় নষ্ট করার পর নিষ্ক্রিয় হয়ে যাওয়া আল-আমীনের সিমটি পুনরায় সক্রিয় করে ক্যাশ আউট করতে সহযোগিতা করেন মিঠুন চন্দ্র রায়।

অন্যদিকে, ডিএসও মেহেদীকে শো-কজ নোটিশ দেওয়া হলেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

তবে এসব বিষয়ে ম্যানেজার মিঠুন চন্দ্র রায়ের কাছে জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে চাননি।

অনুসন্ধান চলছে…

Share
Continue Reading
Click to comment

অনলাইন এডমিন:বরগুনা বিকাশ ডিস্ট্রিবিউটর অফিসের তিনজন ডিস্ট্রিক্ট সেলস অফিসারকে (ডিএসও) লোন স্ক্যাম কার্যক্রমে জড়িত থাকার অভিযোগে শো-কজ নোটিশ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, তারা বিভিন্ন ক্যাম্পেইনের আওতায় এজেন্ট সিম ব্যবহার করে ভুয়া লেনদেন দেখিয়ে ব্যক্তিগতভাবে আর্থিক সুবিধা নিয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানায়, এ ধরনের কার্যক্রম কোম্পানির নীতিমালা ও শৃঙ্খলার পরিপন্থী। অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে আইন অনুযায়ী শাস্তি ও চাকরিচ্যুত করার বিধান রয়েছে।কোম্পানি আরও জানিয়েছে, এ ধরনের কর্মকাণ্ড চলতে থাকলে কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বর্তমানে অভিযুক্ত তিন ডিএসও—পান্থ, রাকিব ও মেহেদীর বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।

এই বিষয়ে ডিএসও রাকিব বলেন, ২০২৪ সালের নভেম্বরে তিনি বরগুনা ডিস্ট্রিবিউটর বিকাশ অফিসে যোগ দেন। চাকরির কয়েক মাস পর ২০২৫ সালের এপ্রিলে আল-আমীন নামে এক ব্যক্তি তাকে অবৈধ লেনদেনের প্রস্তাব দেন। পরে রাকিব বিষয়টি স্থানীয় দৈনিক কালবেলার প্রতিনিধি আসাদ সবুজকে জানান। সাংবাদিক আসাদ সবুজের কাছে আগেই কিছু তথ্য থাকায় তিনি রাকিবকে চক্রটির সঙ্গে যুক্ত হয়ে তথ্য সংগ্রহের পরামর্শ দেন। রাকিবের দাবি, প্রতিমাসে এ সিন্ডিকেট কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এবং লোন স্ক্যামিংয়ের সঙ্গেও জড়িত। তিনি যে সব তথ্য সংগ্রহ করেছেন, সেগুলো এখন সাংবাদিক আসাদ সবুজের কাছে রয়েছে।

বরগুনা বিকাশ এজেন্ট পয়েন্টের ডিএসও পান্থ জানান, শুধু লোন স্ক্যাম নয়, এখান থেকে অনলাইন ক্যাসিনোর পেমেন্ট লেনদেনও হয়ে থাকে। এসব কার্যক্রমে সরাসরি যুক্ত রয়েছেন ওই এজেন্ট পয়েন্টের বর্তমান ম্যানেজার মিঠুন চন্দ্র রায়। পান্থের দাবি, ম্যানেজারের কাছে এখনও তিনটি এজেন্ট সিম রয়েছে। এর মধ্যে একটি ‘মিঠুন ফ্যাশন’ নামে সক্রিয়, বাকি দুটি সম্পর্কে পান্থ বিস্তারিত জানাতে পারেননি।তিনি আরও জানান, একবার আল-আমীনের ১ লাখ ১০ হাজার টাকা আটকে দেন ডিএসও পান্থ ও মেহেদী। এ বিষয়ে ম্যানেজারকে জানানো হলে কিছুটা সময় নষ্ট করার পর নিষ্ক্রিয় হয়ে যাওয়া আল-আমীনের সিমটি পুনরায় সক্রিয় করে ক্যাশ আউট করতে সহযোগিতা করেন মিঠুন চন্দ্র রায়।

অন্যদিকে, ডিএসও মেহেদীকে শো-কজ নোটিশ দেওয়া হলেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

তবে এসব বিষয়ে ম্যানেজার মিঠুন চন্দ্র রায়ের কাছে জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে চাননি।

অনুসন্ধান চলছে…

Share