সুদের চাপে কৃষকের আত্মহত্যা রাজশাহীতে - Porikroma News
Connect with us

বাংলাদেশ

সুদের চাপে কৃষকের আত্মহত্যা রাজশাহীতে

Published

on

রাজশাহী কৃষক আত্মহত্যা
ছবি : সংগৃহীত

রাজশাহীর মোহনপুরে ঋণের চাপে আকবর হোসেন (৫০) নামে এক কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। সোমবার (১৮ আগস্ট) ভোরে উপজেলার খাড়ইল গ্রামে নিজের পানবরজে তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।

নিহত আকবর হোসেন খাড়ইল গ্রামের লোকমান হোসেনের ছেলে। পানের চাষ করেই চলতো তার সংসার। কিন্তু এ বছর বাজারে পানের দাম না থাকায় লোকসান গুনতে হয়। এর মধ্যেই ১১টি এনজিও ও স্থানীয় সুদ কারবারিদের কাছে প্রায় ৬-৭ লাখ টাকার ঋণের কিস্তির চাপ তাকে মানসিকভাবে ভেঙে দেয়।

পরিবারের দাবি, ব্র্যাক, আশা, প্রশিকা, ভার্ক, ডিএফইডি, শাপলা গ্রাম উন্নয়ন সংস্থা, রিক, ইএসডিও, গ্রামীণ প্রচেষ্টা, পল্লী মঙ্গল কর্মসূচি (পিএমকে) ও গণ-উন্নয়ন কেন্দ্র (গাক)– এসব এনজিওর অন্তহীন চাপে তিনি হতাশায় পড়েন। তার ছেলে সুজন শাহ জানান, “প্রতি সপ্তাহে ৫ হাজার টাকা কিস্তি দিতে হতো। কিন্তু এ বছর পানের কোনো দাম নেই। এনজিওর লোকেরা প্রতিদিন এসে চাপ দিত। শেষ পর্যন্ত বাবাকে মরতে হলো।”

স্থানীয়রা বলেন, এনজিওর কিস্তি এখন গ্রামীণ দরিদ্র মানুষকে শোষণের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। কৃষকরা ফসল ফলাচ্ছেন, কিন্তু ন্যায্য দাম না পেয়ে একের পর এক ক্ষতির মুখে পড়ছেন।

মোহনপুর থানার ওসি আতাউর রহমান জানান, পান চাষে লোকসান ও ঋণের কিস্তি দিতে না পারায় আকবর হোসেন আত্মহত্যা করেছেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। তবে পরিবার ময়নাতদন্তে রাজি নয়।

এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) জেলার পবা উপজেলায় মিনারুল নামে এক ব্যক্তি ‘ঋণের চাপ ও খাবারের অভাবে’ স্ত্রী-সন্তানদের হত্যা করে আত্মহত্যা করেছিলেন। এসব ঘটনা গ্রামীণ অর্থনীতির অস্থিরতা ও কৃষকের দুর্দশাকে আবারও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল।

Share

রাজশাহীর মোহনপুরে ঋণের চাপে আকবর হোসেন (৫০) নামে এক কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। সোমবার (১৮ আগস্ট) ভোরে উপজেলার খাড়ইল গ্রামে নিজের পানবরজে তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।

নিহত আকবর হোসেন খাড়ইল গ্রামের লোকমান হোসেনের ছেলে। পানের চাষ করেই চলতো তার সংসার। কিন্তু এ বছর বাজারে পানের দাম না থাকায় লোকসান গুনতে হয়। এর মধ্যেই ১১টি এনজিও ও স্থানীয় সুদ কারবারিদের কাছে প্রায় ৬-৭ লাখ টাকার ঋণের কিস্তির চাপ তাকে মানসিকভাবে ভেঙে দেয়।

পরিবারের দাবি, ব্র্যাক, আশা, প্রশিকা, ভার্ক, ডিএফইডি, শাপলা গ্রাম উন্নয়ন সংস্থা, রিক, ইএসডিও, গ্রামীণ প্রচেষ্টা, পল্লী মঙ্গল কর্মসূচি (পিএমকে) ও গণ-উন্নয়ন কেন্দ্র (গাক)– এসব এনজিওর অন্তহীন চাপে তিনি হতাশায় পড়েন। তার ছেলে সুজন শাহ জানান, “প্রতি সপ্তাহে ৫ হাজার টাকা কিস্তি দিতে হতো। কিন্তু এ বছর পানের কোনো দাম নেই। এনজিওর লোকেরা প্রতিদিন এসে চাপ দিত। শেষ পর্যন্ত বাবাকে মরতে হলো।”

স্থানীয়রা বলেন, এনজিওর কিস্তি এখন গ্রামীণ দরিদ্র মানুষকে শোষণের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। কৃষকরা ফসল ফলাচ্ছেন, কিন্তু ন্যায্য দাম না পেয়ে একের পর এক ক্ষতির মুখে পড়ছেন।

মোহনপুর থানার ওসি আতাউর রহমান জানান, পান চাষে লোকসান ও ঋণের কিস্তি দিতে না পারায় আকবর হোসেন আত্মহত্যা করেছেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। তবে পরিবার ময়নাতদন্তে রাজি নয়।

এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) জেলার পবা উপজেলায় মিনারুল নামে এক ব্যক্তি ‘ঋণের চাপ ও খাবারের অভাবে’ স্ত্রী-সন্তানদের হত্যা করে আত্মহত্যা করেছিলেন। এসব ঘটনা গ্রামীণ অর্থনীতির অস্থিরতা ও কৃষকের দুর্দশাকে আবারও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল।

Share