১২৭ বছরের পুরোনো ফৌজদারি কার্যবিধিতে বড় পরিবর্তন - Porikroma News
Connect with us

অপরাধ

১২৭ বছরের পুরোনো ফৌজদারি কার্যবিধিতে বড় পরিবর্তন

Published

on

পরিক্রমা ডেস্ক: অন্তর্বর্তী সরকার ১৮৯৮ সালের ফৌজদারি কার্যবিধিতে যুগান্তকারী সংশোধনী এনেছে। নতুন আইনে বিচারপ্রক্রিয়ার প্রতিটি ধাপে স্বচ্ছতা, গতি ও প্রযুক্তি-নির্ভর ব্যবস্থা যুক্ত হয়েছে।
গেজেটে প্রকাশিত ‘ফৌজদারী কার্যবিধি, ১৮৯৮ অধিকতর সংশোধনকল্পে প্রণীত অধ্যাদেশ’-এ বলা হয়, এখন থেকে সমন জারি হবে ডিজিটাল মাধ্যমে মুঠোফোনে কল বা এসএমএসের মাধ্যমে। মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা রোধে বিচারকের ইচ্ছাধীনের পরিবর্তে বাধ্যতামূলক শাস্তির বিধান যোগ করা হয়েছে।

নতুন আইনে গ্রেপ্তারের সময় গ্রেপ্তারকারীর পরিচয় প্রকাশ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, বাসার বাইরে থেকে গ্রেপ্তারের ১২ ঘণ্টার মধ্যে পরিবারের সদস্য বা নিকটজনকে জানাতে হবে। রিমান্ডে নির্যাতনের অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান যুক্ত হয়েছে। অন্য মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর ক্ষেত্রেও ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি ও যথাযথ কারণ দেখানো বাধ্যতামূলক।

তদন্ত প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আনা হয়েছে অপরাধের তথ্য পাওয়ার ৬০ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে হবে, বিলম্ব হলে লিখিত কারণ জানাতে হবে এবং প্রয়োজনে ম্যাজিস্ট্রেট অন্য কর্মকর্তার মাধ্যমে তদন্ত করাতে পারবেন। সাক্ষী ও ভুক্তভোগীর সুরক্ষায় আদালতকে বিশেষ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের মতো সংক্ষিপ্ত বিচার প্রক্রিয়া এখন যেকোনো স্থানে পরিচালনা করা যাবে এবং মামলার আর্থিক সীমা বেড়ে হয়েছে পাঁচ লাখ টাকা। বেআইনি সমাবেশের অপরাধ (ধারা ১৪৩) এখন আপসযোগ্য এবং আপস চুক্তি আদালত সরাসরি বাস্তবায়ন করতে পারবে। ব্যক্তিগত হাজিরায় শৈথিল্য আনা হয়েছে এবং আসামির অনুপস্থিতিতেও আইনজীবীর মাধ্যমে সাক্ষী জেরা সম্ভব হবে।

গুরুতর জখমের ধারা ৩২৫ এখন থেকে জামিনঅযোগ্য। বেত্রাঘাত শাস্তি সম্পূর্ণ বিলোপ করা হয়েছে। আইন বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এসব পরিবর্তন বিচার ব্যবস্থায় এক নতুন অধ্যায় সূচনা করবে, তবে কার্যকর বাস্তবায়নের জন্য রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও প্রশাসনিক দক্ষতা অপরিহার্য।

Share

পরিক্রমা ডেস্ক: অন্তর্বর্তী সরকার ১৮৯৮ সালের ফৌজদারি কার্যবিধিতে যুগান্তকারী সংশোধনী এনেছে। নতুন আইনে বিচারপ্রক্রিয়ার প্রতিটি ধাপে স্বচ্ছতা, গতি ও প্রযুক্তি-নির্ভর ব্যবস্থা যুক্ত হয়েছে।
গেজেটে প্রকাশিত ‘ফৌজদারী কার্যবিধি, ১৮৯৮ অধিকতর সংশোধনকল্পে প্রণীত অধ্যাদেশ’-এ বলা হয়, এখন থেকে সমন জারি হবে ডিজিটাল মাধ্যমে মুঠোফোনে কল বা এসএমএসের মাধ্যমে। মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা রোধে বিচারকের ইচ্ছাধীনের পরিবর্তে বাধ্যতামূলক শাস্তির বিধান যোগ করা হয়েছে।

নতুন আইনে গ্রেপ্তারের সময় গ্রেপ্তারকারীর পরিচয় প্রকাশ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, বাসার বাইরে থেকে গ্রেপ্তারের ১২ ঘণ্টার মধ্যে পরিবারের সদস্য বা নিকটজনকে জানাতে হবে। রিমান্ডে নির্যাতনের অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান যুক্ত হয়েছে। অন্য মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর ক্ষেত্রেও ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি ও যথাযথ কারণ দেখানো বাধ্যতামূলক।

তদন্ত প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আনা হয়েছে অপরাধের তথ্য পাওয়ার ৬০ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে হবে, বিলম্ব হলে লিখিত কারণ জানাতে হবে এবং প্রয়োজনে ম্যাজিস্ট্রেট অন্য কর্মকর্তার মাধ্যমে তদন্ত করাতে পারবেন। সাক্ষী ও ভুক্তভোগীর সুরক্ষায় আদালতকে বিশেষ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের মতো সংক্ষিপ্ত বিচার প্রক্রিয়া এখন যেকোনো স্থানে পরিচালনা করা যাবে এবং মামলার আর্থিক সীমা বেড়ে হয়েছে পাঁচ লাখ টাকা। বেআইনি সমাবেশের অপরাধ (ধারা ১৪৩) এখন আপসযোগ্য এবং আপস চুক্তি আদালত সরাসরি বাস্তবায়ন করতে পারবে। ব্যক্তিগত হাজিরায় শৈথিল্য আনা হয়েছে এবং আসামির অনুপস্থিতিতেও আইনজীবীর মাধ্যমে সাক্ষী জেরা সম্ভব হবে।

গুরুতর জখমের ধারা ৩২৫ এখন থেকে জামিনঅযোগ্য। বেত্রাঘাত শাস্তি সম্পূর্ণ বিলোপ করা হয়েছে। আইন বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এসব পরিবর্তন বিচার ব্যবস্থায় এক নতুন অধ্যায় সূচনা করবে, তবে কার্যকর বাস্তবায়নের জন্য রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও প্রশাসনিক দক্ষতা অপরিহার্য।

Share