সুদ ভিত্তিক অর্থনীতি ও ইউনুসের উত্থান: আমরা কি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছি? - Porikroma News
Connect with us

ইসলাম

সুদ ভিত্তিক অর্থনীতি ও ইউনুসের উত্থান: আমরা কি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছি?

Published

on

বর্তমানে বাংলাদেশ এমন এক ভয়ংকর ও বিভ্রান্তিকর পথে হাঁটছে, যেখানে স্পষ্টভাবে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সা.)-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা হচ্ছে
বাংলাদেশে সুদের অর্থনীতি এবং ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ডে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন আলেম সমাজ

নূর হোসেন ইমাম (অনলাইল এডমিন, অপরাধ বিচিত্রা ) ঃ বর্তমানে বাংলাদেশ এমন এক ভয়ংকর ও বিভ্রান্তিকর পথে হাঁটছে, যেখানে স্পষ্টভাবে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সা.)-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা হচ্ছে — সেটা অনেকেই হয়ত টের পাচ্ছেন না বা সচেতনভাবেও চুপ করে আছেন। ইসলাম স্পষ্টভাবে সুদকে (রিবা) হারাম ঘোষণা করেছে। শুধু হারামই নয়, এটিকে আল্লাহর পক্ষ থেকে সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণা হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।

সুদ নিয়ে আল্লাহ ও রাসূল (সা.)-এর হুঁশিয়ারি:

“যারা সুদ খায়, তারা কিয়ামতের দিনে দাঁড়াবে না, কিন্তু সেই লোকের মত দাঁড়াবে যাকে শয়তান স্পর্শ করে পাগল করে দিয়েছে… আল্লাহ বলেছেন, ‘আল্লাহ সুদকে নিশ্চিহ্ন করেন এবং দানকে বর্ধিত করেন। আর আল্লাহ কোনো অবাধ্য কাফেরকে ভালোবাসেন না।’”
— (সূরা আল-বাকারা: ২৭৫-২৭৬)

“হে ঈমানদারগণ! তোমরা যদি সত্যিকার মুমিন হও, তবে সুদের যা কিছু বাকি আছে তা ছেড়ে দাও। আর যদি না করো, তবে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের পক্ষ থেকে যুদ্ধের ঘোষণা জেনে রাখো।”
— (সূরা আল-বাকারা: ২৭৮-২৭৯)

এই আয়াতগুলো পড়লেই বোঝা যায়, সুদভিত্তিক অর্থনীতি শুধু হারাম নয়, এটি একটি ভয়ংকর অভিশাপ। এবং এই অভিশাপ শুধু ব্যক্তিগত নয়, সামষ্টিকভাবে পুরো জাতিকে ধ্বংস করে দিতে পারে।

ইউনুস: বিশ্বজয়ী নাকি সুদ ব্যবসার মুখপাত্র?

ড. মুহাম্মদ ইউনুস আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত একজন অর্থনীতিবিদ এবং নোবেল বিজয়ী। তিনি ক্ষুদ্রঋণ ব্যবস্থা (Microcredit) চালু করে কোটি কোটি টাকার ক্ষুদ্র সুদ ব্যবসার পথ উন্মুক্ত করেছেন। ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে এই পদ্ধতি সুদের আদলে গড়ে উঠেছে, যদিও অনেকে এটাকে “সেবা” বলে প্রচার করে থাকেন।

ইউনুসের এ মডেল কার্যত গরিব মানুষকে ‘ঋণগ্রস্ত দাসে’ পরিণত করেছে— যা ইসলামি অর্থনীতির চরম পরিপন্থী। অথচ, বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন মহল এবং অনেক তথাকথিত ইসলামপন্থী দল এখন প্রকাশ্যেই ইউনুসের পক্ষ নিচ্ছে। এই অবস্থান জাতিকে এক ভয়াবহ ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

অভিশপ্ত জাতির লক্ষণ:

বর্তমানে বাংলাদেশে খুন, ধর্ষণ, লুটপাট, দুর্নীতি, পারিবারিক অবক্ষয় ভয়াবহভাবে বেড়ে গেছে। এর অন্যতম মূল কারণ হলো— আল্লাহর বিধান থেকে সরে গিয়ে সুদের অর্থনীতি, জালিমের পক্ষ সমর্থন, এবং ইসলামবিরোধী কার্যক্রমের প্রতি সমর্থন।

হাদীসে এসেছে:
“যখন কোনো জাতি সুদকে হালাল মনে করে নেয় এবং তা সমাজে ছড়িয়ে পড়ে, তখন আল্লাহ সেই জাতির ওপর আজাব পাঠান।”
— (মুসনাদে আহমাদ)

ইসলামপন্থীদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন:

বর্তমানে বাংলাদেশের অধিকাংশ ইসলামি দল ও সংগঠন ইউনুসের ব্যাপারে নিরব অথবা স্পষ্ট সমর্থন দিয়ে চলেছে। যা ইসলামের মূলনীতির চরম বিরোধী। প্রশ্ন উঠছে— ইসলামপন্থীরা আজ কীভাবে এমন এক ব্যক্তির পাশে দাঁড়ায়, যার চিন্তা-ভাবনা ও কার্যক্রম সরাসরি আল্লাহর বিধানের বিরুদ্ধে যায়?

এখনো সময় আছে— ফিরে আসুন আল্লাহর পথে:

বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ এবং নেতৃত্বস্থানীয় সকলের উচিত সুদের অর্থনীতি পরিত্যাগ করা, ইসলামী অর্থনীতির দিকে ফিরে যাওয়া এবং কোরআন-সুন্নাহর আলোকে একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা।

না হলে আমরা কেবল অর্থনৈতিকভাবে নয়, নৈতিক ও আধ্যাত্মিকভাবে ভয়াবহ ধ্বংসের দিকে ধাবিত হবো— যার আলামত ইতোমধ্যে দেখা যাচ্ছে।

আজ বাংলাদেশে খুন, ধর্ষণ, আত্মহত্যা, পারিবারিক ভাঙন, দুর্নীতি— সবকিছুই লাগামছাড়া। এর মূলে রয়েছে আল্লাহর বিধানকে উপেক্ষা করে সুদ, অন্যায় এবং জালিমদের সমর্থন। যদি এখনই জাতি না জাগে, তবে সেই অভিশাপ থেকে বাঁচার আর কোনো পথ খোলা থাকবে না।

Share

নূর হোসেন ইমাম (অনলাইল এডমিন, অপরাধ বিচিত্রা ) ঃ বর্তমানে বাংলাদেশ এমন এক ভয়ংকর ও বিভ্রান্তিকর পথে হাঁটছে, যেখানে স্পষ্টভাবে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সা.)-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা হচ্ছে — সেটা অনেকেই হয়ত টের পাচ্ছেন না বা সচেতনভাবেও চুপ করে আছেন। ইসলাম স্পষ্টভাবে সুদকে (রিবা) হারাম ঘোষণা করেছে। শুধু হারামই নয়, এটিকে আল্লাহর পক্ষ থেকে সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণা হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।

সুদ নিয়ে আল্লাহ ও রাসূল (সা.)-এর হুঁশিয়ারি:

“যারা সুদ খায়, তারা কিয়ামতের দিনে দাঁড়াবে না, কিন্তু সেই লোকের মত দাঁড়াবে যাকে শয়তান স্পর্শ করে পাগল করে দিয়েছে… আল্লাহ বলেছেন, ‘আল্লাহ সুদকে নিশ্চিহ্ন করেন এবং দানকে বর্ধিত করেন। আর আল্লাহ কোনো অবাধ্য কাফেরকে ভালোবাসেন না।’”
— (সূরা আল-বাকারা: ২৭৫-২৭৬)

“হে ঈমানদারগণ! তোমরা যদি সত্যিকার মুমিন হও, তবে সুদের যা কিছু বাকি আছে তা ছেড়ে দাও। আর যদি না করো, তবে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের পক্ষ থেকে যুদ্ধের ঘোষণা জেনে রাখো।”
— (সূরা আল-বাকারা: ২৭৮-২৭৯)

এই আয়াতগুলো পড়লেই বোঝা যায়, সুদভিত্তিক অর্থনীতি শুধু হারাম নয়, এটি একটি ভয়ংকর অভিশাপ। এবং এই অভিশাপ শুধু ব্যক্তিগত নয়, সামষ্টিকভাবে পুরো জাতিকে ধ্বংস করে দিতে পারে।

ইউনুস: বিশ্বজয়ী নাকি সুদ ব্যবসার মুখপাত্র?

ড. মুহাম্মদ ইউনুস আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত একজন অর্থনীতিবিদ এবং নোবেল বিজয়ী। তিনি ক্ষুদ্রঋণ ব্যবস্থা (Microcredit) চালু করে কোটি কোটি টাকার ক্ষুদ্র সুদ ব্যবসার পথ উন্মুক্ত করেছেন। ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে এই পদ্ধতি সুদের আদলে গড়ে উঠেছে, যদিও অনেকে এটাকে “সেবা” বলে প্রচার করে থাকেন।

ইউনুসের এ মডেল কার্যত গরিব মানুষকে ‘ঋণগ্রস্ত দাসে’ পরিণত করেছে— যা ইসলামি অর্থনীতির চরম পরিপন্থী। অথচ, বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন মহল এবং অনেক তথাকথিত ইসলামপন্থী দল এখন প্রকাশ্যেই ইউনুসের পক্ষ নিচ্ছে। এই অবস্থান জাতিকে এক ভয়াবহ ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

অভিশপ্ত জাতির লক্ষণ:

বর্তমানে বাংলাদেশে খুন, ধর্ষণ, লুটপাট, দুর্নীতি, পারিবারিক অবক্ষয় ভয়াবহভাবে বেড়ে গেছে। এর অন্যতম মূল কারণ হলো— আল্লাহর বিধান থেকে সরে গিয়ে সুদের অর্থনীতি, জালিমের পক্ষ সমর্থন, এবং ইসলামবিরোধী কার্যক্রমের প্রতি সমর্থন।

হাদীসে এসেছে:
“যখন কোনো জাতি সুদকে হালাল মনে করে নেয় এবং তা সমাজে ছড়িয়ে পড়ে, তখন আল্লাহ সেই জাতির ওপর আজাব পাঠান।”
— (মুসনাদে আহমাদ)

ইসলামপন্থীদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন:

বর্তমানে বাংলাদেশের অধিকাংশ ইসলামি দল ও সংগঠন ইউনুসের ব্যাপারে নিরব অথবা স্পষ্ট সমর্থন দিয়ে চলেছে। যা ইসলামের মূলনীতির চরম বিরোধী। প্রশ্ন উঠছে— ইসলামপন্থীরা আজ কীভাবে এমন এক ব্যক্তির পাশে দাঁড়ায়, যার চিন্তা-ভাবনা ও কার্যক্রম সরাসরি আল্লাহর বিধানের বিরুদ্ধে যায়?

এখনো সময় আছে— ফিরে আসুন আল্লাহর পথে:

বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ এবং নেতৃত্বস্থানীয় সকলের উচিত সুদের অর্থনীতি পরিত্যাগ করা, ইসলামী অর্থনীতির দিকে ফিরে যাওয়া এবং কোরআন-সুন্নাহর আলোকে একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা।

না হলে আমরা কেবল অর্থনৈতিকভাবে নয়, নৈতিক ও আধ্যাত্মিকভাবে ভয়াবহ ধ্বংসের দিকে ধাবিত হবো— যার আলামত ইতোমধ্যে দেখা যাচ্ছে।

আজ বাংলাদেশে খুন, ধর্ষণ, আত্মহত্যা, পারিবারিক ভাঙন, দুর্নীতি— সবকিছুই লাগামছাড়া। এর মূলে রয়েছে আল্লাহর বিধানকে উপেক্ষা করে সুদ, অন্যায় এবং জালিমদের সমর্থন। যদি এখনই জাতি না জাগে, তবে সেই অভিশাপ থেকে বাঁচার আর কোনো পথ খোলা থাকবে না।

Share