রাজনীতি
ঢাকা মহানগর ইউনিটের দুর্বলতা: সমাবেশে জনবল-ব্যবস্থাপনায় ফাটল

ফেসবুক পোষ্ট থেকে প্রতিবেদনঃ আজ শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত এনসিপির (জাতীয় নাগরিক পার্টি) সমাবেশে যোগদান করলেন একটি সচেতন সাধারণ নাগরিক প্রতিবেদক নয়, বরং যে কণ্ঠ স্বাধীনভাবে কথা বলছে। এক ঘণ্টা উপস্থিত থেকে তিনি দেখলেন সাংগঠনিক বিস্তারহীনতা, টুকরো ধারণা, ক্যামেরার উন্মাদনা এবং বাস্তবতার বিচ্ছিন্নতা স্তরে স্তরে প্রবাসহীন এক রাজনীতি।
অন্যান্য রাজনৈতিক সংগঠনের মতোই ঢাকা মহানগর ইউনিটই এখানে জনবল জোগানোর সবচেয়ে বড় শক্তি। কিন্তু দৃশ্যমান ছিল তা দুর্বল সামন্বয়হীনতায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে নেতারা, সম্মিলিত কর্মসূচির অভাবে লাগছিল এটাই একটা ‘চর্মরোচক’ ঘটনা। অনেক নেতা ছিলেন যেন ক্যামেরার প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত: মিলতে হবে ইমেজ, নাকো এজেন্সি। মূল প্লাটফর্ম ঘিরে হামলাকারীর মতো ছোট তারকা দলে আত্মপ্রকাশ, কিন্তু রাজনৈতিক উৎসর্গ? দেখা যায়নি।
প্রবল আকাঙ্ক্ষা ছিলো শোভাময় সমাবেশের, কিন্তু প্রথম দিকে ছড়ানো ছবি ও বিভ্রান্তিকর ক্যাপশন সেগুলো ছিল চোখে কাদা দেয়ার মতো। প্রকৃত ভিড় শুরু হয় বিকেল সাড়ে চারটার পর, যখন আস্তে আস্তে শহীদ মিনার এলাকা মানুষের বাইরে রাস্তায় ঠেকেছিল। সমালোচকরা বলছিলেন সমাবেশে স্লোগানভরা জনসংখ্যা নেই, অথচ আসলে ভিড় ছিলও সেটি প্রত্যাশার তুলনায় কম হলেও পূর্ণতা নিয়ে বেড়েছিল।
প্রতিবেদকের কথায় “ধান্ধাবাজ নামক সেই লোকেরা, যারা ব্যক্তিগত সুযোগের জন্য দলের নাম ব্যবহার করে, তারা নিজেদের ব্যস্ততার খাতিরে সরে যাবে। এ যেন দুধের মাছি একবার সুযোগ হারালেই উধাও!” তিনি আরো যোগ করেন, “কোরামবাজি দলের ভিতরে সীট, পদ, ছবি প্রাধান্য পাওয়ার জন্য লড়াই জনমত ও সংগঠনের দিব্যত্তা নষ্ট করছে।”
ভবিষ্যতে একটি প্রকৃত রাজনৈতিক দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করতে হলে ‘ছাপড়িগিরি’ থেকে বের হতে হবে, মহড়ার মতো সমাবেশ নয়, অপরাধ নয় সত্যিকারের রাজনীতি দাঁড়াতে হবে। – আব্দুল্লাহিল বাকি