অপরাধ
ক্যান্টনমেন্ট সার্কেলে ‘দালাল ঘুষ দুর্নীতি অনিয়মের অভিযোগ এসিল্যান্ড বাসিত সাত্রার গং বিরুদ্ধে!

ক্যান্টনমেন্ট সার্কেলে দালাল-ঘুষের ভয়ঙ্কর চিত্র, এসিল্যান্ড বাসিত সাত্তার গংয়ের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ
প্রথম পর্বে এসিল্যান্ড বাসিত সাত্তার ও ক্যাশিয়ার সলিমুল্লাহ হাওলাদারের নেতৃত্বে পরিচালিত দুর্নীতির চিত্র প্রকাশের পর এবার উঠে এসেছে আরও ভয়াবহ গোপন তথ্য ও ভিডিও ফুটেজ।
🔸 গোপন ক্যামেরায় ধরা ঘুষ লেনদেন:
প্রতিবেদকের কাছে থাকা ৪০ মিনিটের ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, নামজারির জন্য আসা এক ভুক্তভোগীকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়—ঘুষ ছাড়া কোনো সমাধান সম্ভব নয়। এসিল্যান্ড বাসিত সাত্তার ফোনে “তাড়াতাড়ি মিটিয়ে ফেল” বলেন।
🔸 দালাল ছাড়া অফিসে প্রবেশ নিষেধ:
অফিসে সরাসরি সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষের মুখে উঠে এসেছে একই অভিযোগ—বিনা দালালে কোনো ফাইল গৃহীত হয় না। চিহ্নিত দালালদের নামও সামনে এসেছে, যারা অফিসে অবাধে চলাফেরা করে।
🔸 সরকারি অফিস না, যেন ব্যক্তিগত প্রপার্টি:
প্রতিদিন বিকাল ৫টার পর অফিস বন্ধ হলেও ভেতরে চলে গোপন বৈঠক। বসুন্ধরা, আসিয়ান, যমুনা গ্রুপের প্রতিনিধিদের নিয়মিত আনাগোনা দেখা গেছে।
🔸 তথ্যচিত্রে ভয়াবহ চিত্র:
ভিডিও ও অডিওতে ধরা পড়েছে—
- ঘুষের টাকাগুলো হাতে গোনা
- ফাইল হাতে নিয়ে “টাকা মিললে কাল করে দেব” বলা
- পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ ও হয়রানি
🔸 রাজনৈতিক পরিচয়ে দাপট:
নিজেকে বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাসের আত্মীয় বলে দাবি করে বাসিত সাত্তার বলেন, “টিভি মিডিয়া আমার হাতে।” সাংবাদিকদের মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয়েছে তথ্য সংগ্রহের সময়।
🔸 সিন্ডিকেট চক্রে কর্মচারীরাও:
সলিমুল্লাহ হাওলাদারসহ কিছু কর্মকর্তা নিজেই দালালদের মাধ্যমে ঘুষ ভাগাভাগি করেন।
📌 ভুক্তভোগীদের মুখে সত্য:
“ঘুষ না দিলে ফাইল আটকে থাকে। সব ঠিক থাকলেও হাজারো অজুহাত দিয়ে বাতিল করে দেয়।”
এই পরিস্থিতি স্পষ্টভাবে দেখায়—ক্যান্টনমেন্ট সার্কেল ভূমি অফিস একটি সিস্টেমেটিক দুর্নীতির ফাঁদ, যেখানে ঘুষ, অনিয়ম, মিডিয়া দমন ও রাজনৈতিক প্রভাব সবকিছু মিলে গড়ে উঠেছে এক ভয়ঙ্কর অপরাধ সাম্রাজ্য।