অপরাধ
কুমিল্লায় পুলিশের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ

কুমিল্লা মহানগরের সদর দক্ষিণ এলাকার ইপিজেড ফাঁড়ির ইনচার্জ (ভারপ্রাপ্ত) মো. সাইফুল ইসলামসহ একাধিক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, মামলা বাণিজ্য ও অপহরণ করে অর্থ আদায়ের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মো. দিপু ২২ জুলাই ২০২৫ (মঙ্গলবার) কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দেন। অভিযোগে বলা হয়, ১০ জুলাই সকাল ১০টায় কনস্টেবল মোখলেছুর রহমান তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এসে ১ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন, না হলে ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেন।
এরপর ১৪ জুলাই রাত ১টায় দিপুর “চেয়ারম্যান বাড়ি দোকান” নামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে নগদ ১ লাখ ৫৫ হাজার টাকা, নথিপত্র ও যন্ত্রাংশ লুট করা হয়। একই সময় পাশের গ্যারেজ থেকে দুটি অটো রিকশা (মিশুক) জোরপূর্বক নিয়ে যাওয়া হয়, যা সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়ে।
২১ জুলাই দিপুর নামে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা (জি.আর-২৩৮/২৫) দায়ের করা হয়। জামিনে মুক্ত হওয়ার পর আবারও পুলিশ হুমকি দিয়ে জানায়, দাবিকৃত টাকা না দিলে জব্দ মালামাল ফেরত দেওয়া হবে না এবং তাকে আরও ভয়াবহ মামলায় ফাঁসানো হবে।
২২ জুলাই সকালে এসআই নেওয়াজ ও ফোর্স দিপুকে বাড়ি থেকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে ও পকেটে মাদক ঢুকিয়ে ফাঁসাতে চায়। স্থানীয় জনতা ছুটে এলে পুলিশ পালিয়ে যায়। বর্তমানে দিপু ও তার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
স্থানীয়দের মতে, দিপু একজন সৎ ব্যবসায়ী এবং তার বিরুদ্ধে করা মামলা ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। অভিযুক্তদের পূর্বেও এমন অভিযোগ রয়েছে বলে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফাঁড়ি ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “সব অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।”
ভুক্তভোগী দিপু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও কুমিল্লা পুলিশ সুপারের কাছে জীবন রক্ষার আকুতি জানিয়ে সঠিক তদন্ত ও বিচার দাবি করেছেন।