বাংলাদেশ
দুর্ঘটনার পর জাগে টনক, প্রস্তুতি থাকে না আগে

দুর্ঘটনার পরেই নড়ে ওঠে আমাদের প্রশাসন, তদন্ত কমিটি গঠিত হয়, বেরিয়ে আসে গাফিলতির তালিকা। অথচ দুর্ঘটনা ঘটার আগেই সতর্কতা নিলে অনেক প্রাণহানি এড়ানো যেত। চুড়িহাট্টা, বনানী এফআর টাওয়ার, ইউনাইটেড হাসপাতাল, মগবাজার, বঙ্গবাজার, বেইলি রোড এবং সর্বশেষ মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ—প্রতিটি ঘটনায় শত শত প্রাণ গেছে, কিন্তু ব্যবস্থা নেওয়া হয় কেবল ঘটনার পরে।
চুড়িহাট্টা ট্র্যাজেডির পর পুরান ঢাকায় হাজারো অবৈধ কেমিক্যাল গোডাউনের কথা জানা গেলেও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বনানীর এফআর টাওয়ারে নকশা জালিয়াতির বিষয়টিও দুর্ঘটনার পরে উঠে আসে। ইউনাইটেড হাসপাতালের অগ্নিকাণ্ড, মগবাজার বিস্ফোরণ, বঙ্গবাজারের আগুন কিংবা বেইলি রোডে ৪৬ জনের মৃত্যু—সবই আগেভাগে প্রতিরোধযোগ্য ছিল, যদি তদারকি ও নিয়ম মেনে চলা হতো।

নগরের প্রতিটি ভবনে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা, অনুমোদিত নকশা ও নিরাপদ সিঁড়ি থাকা বাধ্যতামূলক হলেও বাস্তবে তা মানা হয় না। দুর্ঘটনার পরই ক্ষতিপূরণ, প্রতিবেদন আর অস্থায়ী অভিযান চলে। এরপর আবার নীরবতা।
মাইলস্টোন স্কুলের ঘটনার মতো নির্মম বিপর্যয় হয়তো আবার ঘটবে, কারণ আমরা প্রতিরোধের চেয়ে প্রতিক্রিয়ায় বেশি মনোযোগী। এখনই সময় কঠোর নগর পরিকল্পনা, ভবন নিরাপত্তা ও আগাম সতর্কতা নিশ্চিত করার।