অবিবাহিত তরুণীর নামে মাতৃত্ব ভাতা! - Porikroma News
Connect with us

বাংলাদেশ

অবিবাহিত তরুণীর নামে মাতৃত্ব ভাতা!

Published

on

অবিবাহিত তরুণীর নামে মাতৃত্ব ভাতা!
দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার আংগারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ। ছবি : কালবেলা

দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় এক অবিবাহিত তরুণীর নামে সরকারি মাতৃত্বকালীন ভাতা চালু রয়েছে—যা সে নিজেই জানেন না! অথচ প্রতি মাসে সেই ভাতার টাকা যাচ্ছে এক ইউপি সদস্যার জামাতার মোবাইল নম্বরে।

আংগারপাড়া ইউনিয়নের তালেব মেম্বারপাড়া গ্রামের আক্তারিনা আক্তারের নামে ভাতা চালু করা হয় সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্যা মোছা. নুরনাহার বেগমের সুপারিশে। ভুয়া তথ্য দিয়ে তার নামেই গর্ভাবস্থার সনদপত্র ও স্বামী হিসেবে ‘পায়েল’ নাম ব্যবহার করে আবেদন করা হয়, যার ভিত্তিতে ২০২৪ সালের অক্টোবরে ভাতা অনুমোদন পায়।

এরপর থেকে প্রতি মাসে ৮০৫ টাকা করে উত্তোলন করা হচ্ছিল ইউপি সদস্যার জামাতার নগদ অ্যাকাউন্টে। অথচ আক্তারিনা এখনো অবিবাহিত এবং তার কোনো মাতৃত্বের অভিজ্ঞতা নেই।

তদন্তে উঠে আসে, ভাতার মোবাইল নম্বরটি ইউপি সদস্যার জামাতার। এ নিয়ে নাম বিভ্রাটও রয়েছে—আবেদনপত্রে আক্তারিনা আক্তার থাকলেও প্রকৃত স্ত্রী সুরাইয়া আক্তার বলে জানা যায়।

ভুক্তভোগী তরুণী বলেন, “আমি এমন কোনো ভাতা পাই না, জানিও না। যারা এ জালিয়াতি করেছে, তাদের শাস্তি হওয়া উচিত।”

এ বিষয়ে ইউপি সদস্যা নুরনাহার বেগম বলেন, “আমার ভুল হয়েছে। মেয়ের বয়স কম বলে অন্যের এনআইডি দিয়ে কার্ড করেছি।”

উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা বলেন, “ভাতা বন্ধ ও তদন্ত শুরু হয়েছে। আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” ইউএনও কামরুজ্জামান সরকারও জনপ্রতিনিধির এমন অনৈতিক কাজে হতাশা প্রকাশ করে আইনানুগ পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন।

স্থানীয়রা বলছেন, এভাবে প্রকৃত সুবিধাভোগীরা বঞ্চিত হচ্ছেন, এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।

Share

দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় এক অবিবাহিত তরুণীর নামে সরকারি মাতৃত্বকালীন ভাতা চালু রয়েছে—যা সে নিজেই জানেন না! অথচ প্রতি মাসে সেই ভাতার টাকা যাচ্ছে এক ইউপি সদস্যার জামাতার মোবাইল নম্বরে।

আংগারপাড়া ইউনিয়নের তালেব মেম্বারপাড়া গ্রামের আক্তারিনা আক্তারের নামে ভাতা চালু করা হয় সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্যা মোছা. নুরনাহার বেগমের সুপারিশে। ভুয়া তথ্য দিয়ে তার নামেই গর্ভাবস্থার সনদপত্র ও স্বামী হিসেবে ‘পায়েল’ নাম ব্যবহার করে আবেদন করা হয়, যার ভিত্তিতে ২০২৪ সালের অক্টোবরে ভাতা অনুমোদন পায়।

এরপর থেকে প্রতি মাসে ৮০৫ টাকা করে উত্তোলন করা হচ্ছিল ইউপি সদস্যার জামাতার নগদ অ্যাকাউন্টে। অথচ আক্তারিনা এখনো অবিবাহিত এবং তার কোনো মাতৃত্বের অভিজ্ঞতা নেই।

তদন্তে উঠে আসে, ভাতার মোবাইল নম্বরটি ইউপি সদস্যার জামাতার। এ নিয়ে নাম বিভ্রাটও রয়েছে—আবেদনপত্রে আক্তারিনা আক্তার থাকলেও প্রকৃত স্ত্রী সুরাইয়া আক্তার বলে জানা যায়।

ভুক্তভোগী তরুণী বলেন, “আমি এমন কোনো ভাতা পাই না, জানিও না। যারা এ জালিয়াতি করেছে, তাদের শাস্তি হওয়া উচিত।”

এ বিষয়ে ইউপি সদস্যা নুরনাহার বেগম বলেন, “আমার ভুল হয়েছে। মেয়ের বয়স কম বলে অন্যের এনআইডি দিয়ে কার্ড করেছি।”

উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা বলেন, “ভাতা বন্ধ ও তদন্ত শুরু হয়েছে। আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” ইউএনও কামরুজ্জামান সরকারও জনপ্রতিনিধির এমন অনৈতিক কাজে হতাশা প্রকাশ করে আইনানুগ পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন।

স্থানীয়রা বলছেন, এভাবে প্রকৃত সুবিধাভোগীরা বঞ্চিত হচ্ছেন, এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।

Share